আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫ ১১:১৮ এএম
গাজায় ১০ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি দিচ্ছে হামাস
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাদের হাতে থাকা ১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্ভাব্য নতুন যুদ্ধবিরতির আলোকে ‘শুভেচ্ছা উদ্যোগ’ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গোষ্ঠীটির হাইকমান্ড।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজায় প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির উদ্দেশ্যে সাম্প্রতিক সংলাপের সাফল্যকে স্বাগত জানাচ্ছে হামাস। সেই সম্মান ও শুভেচ্ছা হিসেবে ১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
তবে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, এখনো মূল ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে—
গাজায় ত্রাণ সরবরাহের নিশ্চয়তা,
ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার,
স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি।
হামাস আশা করছে, আলোচনার পরবর্তী ধাপে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই প্রস্তাব নিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতার-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দোহায় আলোচনা করছে হামাস ও ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, হামাস এই প্রস্তাবকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রূপান্তরের দাবি তুললেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার পরই গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
দুই বছরের এই সংঘাতে কয়েক ধাপে অনেক জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। কিছু মৃতদেহও ফেরত দিয়েছে। এখনও প্রায় ৫০ জন জিম্মি হামাসের কব্জায় রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও তাদের সবাই জীবিত কি না—তা নিশ্চিত নয়।
এর আগে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-এর মধ্যস্থতায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই মাসের একটি যুদ্ধবিরতিতে গিয়েছিল হামাস ও আইডিএফ। ওই সময় হামাস ৩০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়।
সূত্র: আরটি
ভোরের আকাশ//হ.র