আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৪:১১ এএম
ভারত থেকে ভুল মরদেহ পাঠানোর অভিযোগ, ক্ষোভে ব্রিটিশ নিহতদের পরিবার
ভারতের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের নাগরিকরাও ছিলেন। কিন্তু তাদের মরদেহ ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ভারতের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও ডেইলি মেইল জানিয়েছে, নিহতদের কিছু পরিবারের হাতে ভুল মরদেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা।
গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি লন্ডনগামী ফ্লাইট। বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর মধ্যে ২৪১ জনই প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে ৫২ জন ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। দুর্ঘটনার পর ভারত ১২টি মরদেহ যুক্তরাজ্যে পাঠায়। কিন্তু যুক্তরাজ্যে পাঠানো মরদেহগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি সঠিকভাবে শনাক্ত করা হয়নি বলে দাবি করা হচ্ছে।
নিহতদের পরিবারের পক্ষে আইনি সহায়তাকারী আইনজীবী জেমস হিলি প্র্যাট জানান, মরদেহ বদলের ঘটনায় পরিবারগুলো ভীষণভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, "একটি পরিবার তাদের প্রিয়জনকে চিরবিদায় জানানোর প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছিল। কিন্তু কফিন খোলার আগমুহূর্তে তারা জানতে পারেন সেটিতে ভুল মরদেহ রয়েছে। এরপরই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বাতিল করতে হয়।"
এমনকি আরেকটি ঘটনায় এক কফিনে দুটি ব্যক্তির দেহাবশেষ পাওয়া যায়। এতে সংশ্লিষ্ট পরিবারকে চরম মানসিক ও সামাজিক ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তারা পরে নিজেদের আত্মীয়ের মরদেহ থেকে অন্যজনের দেহাবশেষ আলাদা করে যথাযথভাবে সমাহিত করেন।
যুক্তরাজ্যের ফরেনসিক চিকিৎসক ফিয়োনা উইলকক্স মরদেহগুলো পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটি ডিএনএ নমুনায় অসঙ্গতি পান। তার প্রতিবেদনেই বিষয়টি সামনে আসে।
বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের অনেকেই ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে দাহ বা সমাহিত করা হয়। তবে যাদের মরদেহ যুক্তরাজ্যে আনা হয়েছিল, তাদের সঠিকভাবে শনাক্ত না করেই পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনার মাঝে আসছে রাজনৈতিক সংলাপের ইঙ্গিতও। আগামী দুই দিনের মধ্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাজ্যে সফরে যাবেন। সেখানে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এ সময় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ছাড়াও ভুল মরদেহ ফেরত পাঠানোর বিষয়টি উত্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনদের আইনজীবী।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
ভোরের আকাশ//হ.র