ছবি: সংগৃহীত
ঘনকুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিদ্যমান ঘনকুয়াশা আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় যাত্রী ও নৌযানের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী সব ধরনের লঞ্চের চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শাহাদাত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী লঞ্চ চলাচল আবার শুরু হবে।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন।আইজিপি বলেন, প্রাক-নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের দৃশ্যমান উপস্থিতি বাড়াতে হবে। পুলিশের টহল ছাড়াও চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি জোরদার করতে হবে।তিনি বলেন, পুলিশের আইনি কাজে কেউ কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি করলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করতে হবে।এছাড়া বাহারুল আলম থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারের তৎপরতা জোরদার করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে সরকার ঘোষিত পুরস্কারের বিষয়ে ব্যাপক প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।সভায় দেশের সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এ কে এম আওলাদ হোসেন, অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. রেজাউল করিম ও ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মো. কামরুল আহসানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কনকনে ঠান্ডা আর কুয়াশায় ঢাকার ব্যস্ততা থমকে গেছে, শহর যেন শীতের সঙ্গে এক নিঃশব্দ লড়াইয়ে নেমেছে। রাতের ঠান্ডা বাতাস আর ভোরের ঘন কুয়াশা মিলিয়ে দিনের বড় একটা সময়ই কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ। সকালবেলায় দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়কে যান চলাচল ধীরগতির হয়ে পড়ছে। অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবীরা শীতের সঙ্গে কুয়াশাজনিত ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক ও পথচারীদের কষ্ট বেড়েছে কয়েকগুণ।আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানুয়ারিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল, হাওর এলাকা ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি হতে পারে। এতে দরিদ্র ও খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী মানুষের জন্য ঝুঁকি আরও বাড়বে।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শীতজনিত ঝুঁকি এড়াতে শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। শীতে পর্যাপ্ত গরম কাপড় ব্যবহার, ভোরে অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়া এবং গরম খাবার গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বা জ্বর দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। অনেকেই প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে কাঁপতে কাঁপতে কাজে বের হচ্ছেন।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে, ফলে শীতজনিত ভোগান্তিও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রিকশাচালক সালাম মিয়া বলেন, ‘এই শীত আমাদের জন্য সবচেয়ে কষ্টের সময়। ভোরে ঘুম থেকে উঠে রিকশা নিয়ে বের হতে মন চায় না, কিন্তু না বের হলে সংসার চলে না। হাত-পা এত ঠান্ডা হয়ে যায় যে রিকশার হ্যান্ডেল ঠিকমতো ধরতেই কষ্ট হয়। যাত্রীও আগের চেয়ে কম। মানুষ ঠান্ডায় বের হতে চায় না, অনেক সময় ফাঁকা রিকশা নিয়ে বসে থাকতে হয়।’তিনি আরও বলেন, ‘দুপুরের দিকে একটু রোদ উঠলে স্বস্তি পাই, কিন্তু বিকেল নামলেই আবার ঠান্ডা বাড়ে। গরম কাপড় বলতে একটা পুরোনো জ্যাকেট আর পাতলা কম্বল, এগুলো দিয়ে পুরো শীত পার করা কঠিন। রাতে বাসায় ফিরেও ঠিকমতো ঘুম হয় না। শীতে শরীর ব্যথা করে, জ্বর-কাশি লেগেই থাকে। সরকারের বা সমাজের কেউ যদি আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করত, তাহলে অনেক উপকার হতো। শীত শুধু ঠান্ডা না, আমাদের জন্য এটা টিকে থাকার লড়াই।’ মিরপুর এলাকায় ফুটপাতে বাসবাস করেন বৃদ্ধা রোকেয়া বেগম।তিনি বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে, এই শীত শরীর আর সইতে পারে না। ফুটপাতে থাকি বলে ঠান্ডা সরাসরি গায়ে লাগে। রাতে ঘুমাতে গেলে মনে হয় হাড় ভেঙে যাবে। একটা পুরোনো শাল (চাদর) আছে, সেটাও পুরো শরীর ঢাকে না। অনেক সময় কুয়াশার মধ্যে সারারাত জেগে কাটে। আশপাশে গাড়ির শব্দ, ঠান্ডা বাতাস-সব মিলিয়ে খুব ভয় লাগে।’তিনি আরও বলেন, ‘অসুস্থ হলে দেখার কেউ নেই। শীতে জ্বর-কাশি বাড়ে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। মানুষ মাঝে মাঝে খাবার দেয়, কিন্তু গরম কাপড় খুব কমই পাওয়া যায়। এই বয়সে সবচেয়ে বেশি দরকার একটু উষ্ণতা আর নিরাপত্তা। যদি রাতে থাকার মতো কোনো আশ্রয় থাকত, তাহলে এত কষ্ট হতো না। শীত আসলেই আমাদের কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে যায়।’পোশাকশ্রমিক সায়মা বলেন, ‘শীত মানেই আমাদের কাজের চাপের সঙ্গে কষ্টও বাড়ে। সকালে খুব ভোরে বাসা থেকে বের হতে হয়। কুয়াশা আর ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করা সবচেয়ে কঠিন। বাসে ভিড় বেশি থাকে, জানালা খোলা থাকলে ঠান্ডা আরও লাগে। কারখানার ভেতরেও অনেক সময় গরমের ব্যবস্থা ঠিক থাকে না। কাজ করতে করতে হাত শক্ত হয়ে যায়।’তিনি আরও বলেন, ‘শীতের কাপড় থাকলেও সারাদিন কাজ করলে শরীর গরম থাকে না। শীতে অসুস্থ হলে ছুটি নেওয়া কঠিন, কারণ ছুটি মানেই মজুরি কাটা। অনেক সহকর্মী জ্বর-কাশি নিয়ে কাজ করছে। এই সময় যদি কারখানাগুলো গরম পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ আর শীতের উপযোগী ব্যবস্থা করত, তাহলে শ্রমিকদের কষ্ট কমত। শীত শুধু আবহাওয়ার বিষয় না, এটা আমাদের জীবনের বাস্তব লড়াই।’আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে হাওর-অধ্যুষিত কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া উত্তরের জেলা সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১ দশমিক ৩, কুমিল্লা ও যশোরে ১১ দশমিক ৫, পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও নীলফামারীর ডিমলায় ১২, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও নওগাঁর বদলগাছীতে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা নগরবাসীর জন্যও তীব্র শীতের অনুভূতি তৈরি করেছে।ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দেশের অনেক এলাকায় সকালবেলায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে। নৌপথে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল ধীর হয়ে পড়েছে, কোথাও কোথাও সাময়িকভাবে বন্ধও রাখা হচ্ছে। বিমানবন্দরগুলোতেও কুয়াশার কারণে ফ্লাইট শিডিউলে বিঘ্ন দেখা দিচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে, তাই চালকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।শীতের এই তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ফুটপাত, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও খোলা জায়গায় বসবাসকারী ছিন্নমূল মানুষদের জন্য শীত এখন বড় এক সংকট। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় শীতজনিত রোগ—সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন।আবহাওয়া অধিদপ্তর শৈত্যপ্রবাহের সংজ্ঞা অনুযায়ী জানিয়েছে, বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। বর্তমানে দেশের কিছু অংশে মৃদু থেকে হালকা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে রাতের তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমলে পরিস্থিতি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার দাপট বেশি থাকছে। নদী অববাহিকা ও নিম্নাঞ্চলে কুয়াশার ঘনত্ব তুলনামূলক বেশি, যার প্রভাব পড়ছে নৌযানে চলাচলে।আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানার সই করা বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার রাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে দিনের তাপমাত্রা খুব একটা বদলাবে না। বুধবার বছরের শেষ দিনে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে।এদিকে নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কুয়াশা পুরোপুরি কাটতে সময় লাগতে পারে। বিআইডব্লিউটিএ ও হাইওয়ে পুলিশ কুয়াশার মধ্যে চলাচলের সময় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলার নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে শীতবস্ত্র বিতরণ ও শীতকালীন প্রস্তুতি জোরদারের আহ্বান জানানো হয়েছে।আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শীতের ধরন বদলে যাচ্ছে। কখনো স্বল্প সময়ের মধ্যে তীব্র ঠান্ডা, আবার কখনো দীর্ঘ সময় ধরে কুয়াশাচ্ছন্ন ও শুষ্ক আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা জরুরি। শীতের এই হাড়কাঁপানো সময়ে জনজীবনকে স্বাভাবিক রাখতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সুরক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঘনকুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, বিদ্যমান ঘনকুয়াশা আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় যাত্রী ও নৌযানের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী সব ধরনের লঞ্চের চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।শাহাদাত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী লঞ্চ চলাচল আবার শুরু হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একইদিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ ১২ ফেব্রুয়ারি।ভোরের আকাশ/তা.কা