সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৫ ০৪:৫৫ পিএম
সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এসআই নিহত
কর্মস্থল থেকে ঈদের ছুটি পেয়েছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাভার থানার এসআই মো. ফজলুর রহমান কবীর (৩৯)। ছুটিতে তিনি মা ও সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে তৈরি হচ্ছিলেন। শুক্রবার তার বাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু ছুটির আগেই বাড়িতে এলো তার নিথর দেহ।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ঢাকার সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার ভোরে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে তার নিথর দেহ যায় ময়মনসিংহে তার নিজ বাড়িতে। এ সময় তার মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনসহ পাড়া-পড়শিরা। এদিন বাদ জুমা জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী মেঘলা, মেয়ে আয়াত (৩) ও ছেলে আলভি (১৮ মাস)-সহ মা শরবানুও কবিরের সঙ্গে সাভারে বসবাস করতেন তিনি। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবারে স্ত্রী-সন্তান ও মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসার কথা ছিল তার।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সাভার থানা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত একটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে অন্যদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন কবীর। দায়িত্ব পালন শেষে দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্পে রাখা তার মোটরসাইকেল নিয়ে থানায় ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে একটি বালুবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে শ্যামলীর একটি স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাভার থানার ৫ জন পুলিশ সদস্য লাশবাহী একটি ফ্রিজিং গাড়িতে করে তার মরদেহ নিয়ে শুক্রবার ভোরে কবিরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেন।
নিহত কবীর নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের মেরেঙ্গা ভূইয়া বাড়ির মৃত শুনু ভূইয়ার ছেলে। স্থানীয় আব্দুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশের পর নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেনে। এরপর ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতকসহ মাস্টার্স ডিগ্রি পাশের পর আইনে স্নাতক ডিগ্রি করেন। ২০০৬ সালে পুলিশের কনস্টেবলপদে যোগদান করেন কবির। এরপর পদোন্নতি পেয়ে এএসআই ও ৬ বছর এসআই হন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ