রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:১৯ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রংপুরে সংসদীয় আসনের সীমানা পুর্নবিন্যাসে ফুঁসে উঠেছেন নগরবাসী। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডবাসী নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে।
আন্দোলনকারীরা সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডকে সদর আসনে পুনর্বহালের দাবিতে নানা শ্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম দেওয়ানী, এলাকাবাসী আহসান হাবীব লিমন, আলমগীর শাহীনসহ অন্যরা।
বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডকে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি কর্পোরেশন) আসনে যুক্ত করেছে। ৯নং ওয়ার্ড থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে এ আসনের প্রাণকেন্দ্র হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের এ গেজেটকে প্রত্যাখ্যান করেছে এলাকাবাসী। রংপুর সদরের প্রাণকেন্দ্র থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরবর্তী ৯নং ওয়ার্ডকে রংপুর-১ আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্তকে এলাকাবাসীর স্বার্থবিরোধী বলে উল্লেখ করেন।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, রংপুর সদর আসনে সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ড অধিভুক্ত থাকবে। অথচ ২০১২ সালে হঠাৎ করে রংপুর-১ আসনে সিটি কর্পোরেশনের ৮টি ওয়ার্ড যুক্ত করা হয়। সর্বশেষ সিটি কর্পোরেশনের বৃহত্তর ৯নং ওয়ার্ডকে যুক্ত করা হয়েছে রংপুর-১ আসনে। যেখানে এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মাত্র ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সদরের প্রাণকেন্দ্রে গিয়ে সেবা নিতে পারবে, সেই জায়গায় তারা কেন ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রংপুর-১ আসনে সেবা নিতে যাবে।
তিনি বলেন, গণশুনানী ছাড়া কিভাবে এসি রুমে বসে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা এ ধরনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছি। সেই সাথে সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডকে সদর আসনে ফিরিয়ে আনতে আমাদের আন্দোলন ও আইন লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে। দ্রুত দাবি মানা না হলে আগামী দিনে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। শেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলামকে স্বারকলিপি দেয় এলাকাবাসী।
ভোরের আকাশ/জাআ