ছবি : ভোরের আকাশ
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার চরকাচি কাটা(সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের বাড়ি সংলগ্ন) এলাকার রানু বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ মাদারীপুর।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর এলাকার চরকান্দি থেকে একটি হত্যা মামলার আসামী কাজী রাসেল সবুজকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প।
গ্রেফতারকৃত আসামী ঢাকার ইব্রাহিমপুর থানার পশ্চিম শেওড়া পাড়ার মৃত কাজী কেরামত আলীর ছেলে।বর্তমানে সে উপজেলার যাদুয়রচর এলাকায় বসবাস করেন।সে আগে নিহত রানু বেগমের বাড়িতে ভাড়া ছিলেন।
নিহতের বাড়িতে চুরির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আসামীকে সন্দেহ করার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে রানু বেগমকে হত্যা করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানান।
নিহত রেনু বেগমকে গত ২২ সেপ্টেম্বর নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলায় উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন কর্নেল হারুনুর রশিদ খান (অব.), বিএনপির মনোনীত প্রার্থী।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি উপজেলার বিভিন্ন বাজার, হাট, জনবহুল স্থান ও গ্রামীণ অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের অভাব-অভিযোগ শোনেন।গণসংযোগের সময় তার সঙ্গে বিএনপির উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয়রা তাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অভ্যর্থনা জানায়। ব্যবসায়ী, কৃষক, দিনমজুর ও তরুণ ভোটাররা কর্নেল হারুনুর রশিদ খানের হাত ধরে সমর্থন প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান এবং শিক্ষিত প্রার্থী চাই। কর্নেল হারুনুর রশিদ খান অত্যন্ত সৎ ও দেশপ্রেমিক মানুষ। আমরা তার পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”কর্নেল হারুনুর রশিদ খান গণসংযোগকালে বলেন, “আমি বেতাগী উপজেলা থেকে গণসংযোগ শুরু করেছি। প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং তাদের সমস্যার কথা শুনেছি। আজ আমি বামনা উপজেলায় এসেছি। এখানেও প্রতিটি ইউনিয়নের হাট-বাজারে গিয়ে মানুষের সুখ-দুঃখ জানবো এবং চেষ্টা করব তাদের পাশে থাকার।”তিনি আরও বলেন, “আমার কাছে রাজনীতি মানে মানুষের সেবা। জনগণের কল্যাণ ছাড়া রাজনীতির কোনো মূল্য নেই। আমি অতীতে যেমন জনগণের পাশে থেকেছি, ভবিষ্যতেও তেমনি থেকে যাব। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ শুধু একটি রাজনৈতিক প্রতীক নয়, এটি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার প্রতীক। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।”গণসংযোগ চলাকালে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী ও নারীরাও তাকে অভ্যর্থনা জানান। অনেকেই জানান, কর্নেল হারুনুর রশিদ খান এলাকায় একজন গ্রহণযোগ্য, শিক্ষিত ও নির্লোভ নেতা। তার প্রার্থিতা এলাকায় নতুন আশার আলো জাগিয়েছে।বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরাও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কর্নেল হারুনুর রশিদ খানের নেতৃত্বে ধানের শীষ বিজয়ী হবে। তারা বলেন, জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। আর সেই পরিবর্তনের জন্য সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব দরকার।বামনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নজুড়ে দিনব্যাপী এই গণসংযোগে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, কৃষক, শিক্ষক, ছাত্র-যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ কর্নেল হারুনুর রশিদ খানের প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
আশ্বিনের গুটি গুটি বৃষ্টিতে হঠাৎ বজ্রপাতে কক্সবাজারের মহেশখালীর চিংড়িঘের শ্রমিক সুমন নামক যুবকের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের মাতম।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ঘটিকার দিকে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার পশ্চিমে বৃষ্টির সাথে হঠাৎ ব্রজপাতে চিংড়িঘের শ্রমিক সুমন(২৫) নামক যুবক আহত হয়। সহপাঠিরা সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাঃ তমা সেন মৃত ঘোষণা করেন। সুমন ওই এলাকার মঞ্জুর আলমের দ্বিতীয় সন্তান।স্থানীয়ারা জানান, সুমন উপজেলা কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালী মাইজপাড়ার পশ্চিমে নয়াকাটা ঘোনা নামে চিংড়ী ঘেরে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আজ হঠাৎ বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হয়, তখন তিনি চিংড়ী ঘেরের বাসা থেকে বের হতেই বজ্রপাত সংস্পর্শ হয়ে আহত হয়। পরে সেখান থেকে অন্যান্য শ্রমিকেরা দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসে ইউনুসখালী বাজারে পল্লী কাছে নেয়ে গেলে, সেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এরপর তারা চকরিয়া বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ বিষয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আবু আহমেদ জানান- বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর শোনেন এবং উপরের মহলের নিকট জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
পিআর ছাড়া নির্বাচন মানবে না জনগণ। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন বাংলার জমিনে হবে না। সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ। তারা আইনশৃংখলা সামলাতে পারেনি। এসব দাবি নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী এক বিক্ষোভ মিছিল ও সামবেশ করেছে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বাগমারা স্কুলের সামনে থেকে নবাবগঞ্জ গোল চত্বর পর্যন্ত মিছিলটি প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা নবাবগঞ্জ গোল চত্বরে সমাবেশ করে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।নবাবগঞ্জ উপজেলা জামায়তের আমীর মো. ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা-১ আসনের(দোহার-নবাবগঞ্জ) সংসদ সদস্য প্রার্থী ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার নজরুল ইসলাম। বাগমারা থেকে ১৪ টি ইউনিয়ন জামায়াতের নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে ব্যানার ফেষ্টুন ও দাড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে মিছিলে অংশ নেয়।নবাবগঞ্জ গোলচত্বর সমাবেশে নজরুল ইসলাম বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। কালো টাকার প্রভাব ও দুর্নীতি প্রতিরোধে এ প্রক্রিয়া ছাড়া জনগণের আশা পূরণ হবে না। একটি দল ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে গেছে। তারা পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পথে হাটতে চায়। তারা রাতে ভোট মেরে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। তাঁদের সে আশা কখনোই পূরন করতে দেবে না জানগণ।জামায়াতের এ নেতা বলেন, ছাত্রজনতার রক্ত মাড়িয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় বসেছে। তারা দেশের আইনশৃংখলা ঠিক করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সংস্কার ছাড়া এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি দোহার নবাবগঞ্জের মানুষের জন্য শান্তি ও উন্নয়ন টেকসই করতে দাড়িপাল্লায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান।ব্যারিষ্টার নজরুল বলেন, কোনো চাঁদাবাজ ও দখলদারদেরকে আপনারা ভোট দিবেন না। জামায়াত যদি কারো বাড়ি দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান দখল করে থাকে এমন একটি প্রমাণ হাজির করুন। প্রকাশ্যে তার বিচার হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা সহকারি সেক্রেটারী জেনারেল এবিএম কামাল হোসাইন, দোহার উপজেলা সভাপতি ডা. শহিদুজ্জামান, সেক্রেটারী মাওলানা নুরে আলম ঝিলু, হাফেজ আব্দুল ওয়াহাব দোহারী প্রমুখ।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ধামরাইয়ে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের কালামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চন্ডিদুয়ার এলাকার মৃত ফুল মিয়ার ছেলে আক্তার আলী (৪২) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার আলমপুর এলাকার মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবির (৫৫)।পুলিশ জানায়, ধামরাই থানার এসআই মোঃ কাওসার সুলতান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে কালামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে মাদক কেনাবেচা চলছে। খবর পেয়ে রাত ১০টা ২০ মিনিটে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে দুইজনকে ঢাকা মেট্রো-গ-২৭-৯৯০১ নম্বরের প্রাইভেটকারসহ আটক করা হয়।এসময় তাদের কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা। মনিরুল ইসলাম (ওসি)জানান, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের বিশেষ অভিযান চলছে। সেই অভিযানের অংশ হিসেবেই বড় একটি চালানসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এই চালান ভারত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে কালামপুরে আনা হয়েছিল।”গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো..আ.