ছবি: সংগৃহীত
ইসলামে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত অন্যতম। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো গোসল করে এবং প্রথম প্রহরে মসজিদে যায়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল।’
দ্বিতীয় প্রহরে গেলে গরু কোরবানির সওয়াব, তৃতীয় প্রহরে গেলে ভেড়া, চতুর্থ প্রহরে গেলে মুরগি এবং পঞ্চম প্রহরে গেলে ডিম কোরবানির সওয়াব পাবে। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে মিম্বারে ওঠেন, তখন ফেরেশতারা আর আমল লেখেন না, তারা খুতবা শুনতে থাকেন। (বোখারি : ৮৮১)
এদিকে জুমার নামাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো খুতবা। খুতবা চলাকালে নিশ্চুপ ও মনোযোগসহকারে তা শোনা ওয়াজিব। কিন্তু অনেক মসজিদে দেখা যায়, খুতবা চলাকালে দানবাক্স চলতে থাকে। অথচ হাদিস শরিফে খুতবা চলাকালে অন্যকে চুপ থাকার জন্য বলাও অনর্থক কাজ বলা হয়েছে। সেখানে খুতবার সময় দানবাক্স চালানো তো আরও বড় কাজ। সুতরাং তা পরিহার করা জরুরি। নবীজি (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন খুতবা চলা অবস্থায় যদি তোমার পাশের জনকে বলো, ‘চুপ করো’ তাহলে তুমিও একটি অনর্থক কাজ করলে।’ (বোখারি : ৯৩৪)
আরেক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করে জুমার জন্য মসজিদে এলো, তারপর চুপ থেকে খুতবা শুনল তার দশ দিনের গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে নুড়ি স্পর্শ করল সে অনর্থক কাজ করল।’ (মুসলিম : ৮৫৭)
খুতবা শোনা এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, খুতবা চলাকালে পাশের ব্যক্তি কথা বললে তাকেও চুপ থাকার জন্য কথা বলার অনুমতি দেননি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। খুতবা চলাকালীন এ কাজকেও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলা হয়েছে।
মসজিদের জন্য দান করা বা দান সংগ্রহ করা নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। কিন্তু তা যদি খুতবা চলা অবস্থায় করা হয় তাহলে তাও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলে গণ্য হবে। এজন্য এ বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকা জরুরি।
সূত্র : মাসিক আল কাউসার
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
ইসলামে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত অন্যতম। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো গোসল করে এবং প্রথম প্রহরে মসজিদে যায়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল।’দ্বিতীয় প্রহরে গেলে গরু কোরবানির সওয়াব, তৃতীয় প্রহরে গেলে ভেড়া, চতুর্থ প্রহরে গেলে মুরগি এবং পঞ্চম প্রহরে গেলে ডিম কোরবানির সওয়াব পাবে। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে মিম্বারে ওঠেন, তখন ফেরেশতারা আর আমল লেখেন না, তারা খুতবা শুনতে থাকেন। (বোখারি : ৮৮১)এদিকে জুমার নামাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো খুতবা। খুতবা চলাকালে নিশ্চুপ ও মনোযোগসহকারে তা শোনা ওয়াজিব। কিন্তু অনেক মসজিদে দেখা যায়, খুতবা চলাকালে দানবাক্স চলতে থাকে। অথচ হাদিস শরিফে খুতবা চলাকালে অন্যকে চুপ থাকার জন্য বলাও অনর্থক কাজ বলা হয়েছে। সেখানে খুতবার সময় দানবাক্স চালানো তো আরও বড় কাজ। সুতরাং তা পরিহার করা জরুরি। নবীজি (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন খুতবা চলা অবস্থায় যদি তোমার পাশের জনকে বলো, ‘চুপ করো’ তাহলে তুমিও একটি অনর্থক কাজ করলে।’ (বোখারি : ৯৩৪)আরেক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করে জুমার জন্য মসজিদে এলো, তারপর চুপ থেকে খুতবা শুনল তার দশ দিনের গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে নুড়ি স্পর্শ করল সে অনর্থক কাজ করল।’ (মুসলিম : ৮৫৭)খুতবা শোনা এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, খুতবা চলাকালে পাশের ব্যক্তি কথা বললে তাকেও চুপ থাকার জন্য কথা বলার অনুমতি দেননি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। খুতবা চলাকালীন এ কাজকেও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলা হয়েছে।মসজিদের জন্য দান করা বা দান সংগ্রহ করা নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। কিন্তু তা যদি খুতবা চলা অবস্থায় করা হয় তাহলে তাও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলে গণ্য হবে। এজন্য এ বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকা জরুরি।সূত্র : মাসিক আল কাউসারভোরের আকাশ/মো.আ.
সৌদি আরবের নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ। পূর্ববর্তী গ্র্যান্ড মুফতি ড. আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খের ইন্তেকালের পর তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।মঙ্গলবার পূর্ববর্তী গ্র্যান্ড মুফতি ড. আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খের ইন্তেকালের পরই এই গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সৌদির রাজকীয় আদালত এ বিষয়ে শিগগিরই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে বলে আল আরাবিয়া জানিয়েছে। শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগলাভের আগ পর্যন্ত মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির ইমাম ও খতিবদের তত্ত্বাবধানকারী ‘প্রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স’ পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৫ সালের হজের খুতবাও প্রদান করেছিলেন তিনি।শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ সৌদি আরবের কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্স-এর সদস্য এবং মসজিদুল হারামের প্রবীণ ইমাম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি জ্ঞান, হিকমাহ এবং বিচার বিভাগীয় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। তার বক্তৃতা, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ চিন্তা তাকে মুসলিম বিশ্বের কাছে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের আকাশে ১৪৪৭ হিজরি সনের রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে রবিউস সানি মাস গণনা শুরু।পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৪ অক্টোবর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।সভায় ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়,বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।সভায় জানানো হয়, আজ বুধবার ২৪ সেপ্টেম্বর ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা শুরু। পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১১ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি, ৪ অক্টোবর পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে। সভায় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
মানুষের সৌন্দর্য অনেকাংশেই নির্ভর করে চুলের ওপর। বয়সের সঙ্গে চুল ও দাড়ি সাদা হতে থাকে। তবে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে পাকা চুল বা দাড়ি তুলে ফেলা জায়েজ নয়। হাদিসে নবীজি (সা.) স্পষ্টভাবে এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।হাদিসে নির্দেশনাআমর বিন্ শুআইব (রাহিমাহুল্লাহ্) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সাদা চুলগুলো উঠিয়ে ফেলো না। কারণ, যেসব চুল ইসলামী জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে পেকে সাদা হয়েছে, সেগুলো কিয়ামতের দিনে আলোর মতো উদ্ভাসিত হবে। প্রতিটি চুলের বিপরীতে আল্লাহ্ তায়ালা একজন মুসলিমকে একটি সাওয়াব দেবেন এবং একই সঙ্গে গোনাহ ক্ষমা করবেন।চুল-দাড়ি রঙানোর নিয়মযদি চুল বা দাড়ি সাদা হয়ে যায়, তবে প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করা যায়। তবে কালো রঙ ব্যবহার নিষিদ্ধ। হাদিসে বর্ণিত, রাসুল (সা.) মক্কা বিজয়ের দিন আবু ক্বুহাফার সাদা চুল ও দাড়ি দেখার পর সাহাবাদেরকে নির্দেশ দেন, চুল-দাড়িকে কালো রঙে রাঙানো যাবে না।ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সাথে পার্থক্যআবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা তাদের চুল-দাড়ি কালো করে না। মুসলমানদের উচিত এ থেকে আলাদা থাকা, অর্থাৎ কালো রঙ ব্যবহার না করা।ইসলামে পাকা চুল ও দাড়ি তুলে ফেলা নিষিদ্ধ। সাদা চুলগুলো কেবল প্রাকৃতিকভাবে রাখা বা কালো ছাড়া অন্য প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করা যায়। এ নির্দেশনার মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলমানদের আলাদা চিহ্ন বজায় রাখা এবং হাদিসের আলোকে সৎভাবে জীবনযাপন করা।সূত্র: আবু দাউদ : ৪২০২, মুসলিম : ২১০২, ২১০৩ভোরের আকাশ // হ.র