ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৪৯ পিএম
গাজীপুরে দোকানপাট গুঁড়িয়ে হাটের জমি দখলের অভিযোগ
গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে একটি হাটের প্রায় অর্ধশত সবজি ব্যবসায়ীর দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে রাতের আঁধারে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি চষে সেখানে পাটবীজ বপন করে বাঁশের বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর বাজারে দখলের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। শুক্রবার বিকেলে সাপ্তাহিক হাট থাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হাটের স্থান না পেয়ে পাশে সাতখামাইর-দুর্লভপুর জামে মসজিদ রোডের ওপর বসে পণ্য বিক্রি করে।
বাজারটির ইজারাদার রুহুল আমিন অভিযোগ করেছেন, রেলওয়ে বিভাগের লিজ রয়েছে দাবি করে কয়েকজন প্রভাবশালী হাটের ওই অংশটুকু দখল করে নিয়েছে। দখলে নেতৃত্ব দেন বরমী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, তার সৎভাই টফি ও সোহরাব হোসেন (সোহেল) নামে রেলওয়ের একজন কর্মী। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রভাবশালী চক্রটির এই দখলবাজির কারণে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো হাটটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
বাজারের ইজারাদার রুহুল আমিন জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুর প্রায় ১২টার দিকে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) কামরুজ্জামান সাতখামাইর বাজারে যান। তিনি সেখানে পৌঁছার পরই আফজাল, টফি ও সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন কোদাল, শাবল দিয়ে ছোট ছোট প্রায় অর্ধশত দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, পরে রাতের আঁধারে সেখানে ট্রাক্টর দিয়ে চষে পাটবীজ বপন করে বাঁশের বেষ্টনী দেয় তারা (প্রভাবশালী)। ঘটনাটি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।
পাশের সোনাকর গ্রামের বাসিন্দা কফিল উদ্দিন সরকার অভিযোগ করেন, ‘এর আগে ওই প্রভাবশালীরা প্রায় দেড় মাস আগে বাজারের নিরীহ ব্যবসায়ী ফারুকের একটি ঘরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে। তার কাছে কে বা কারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদাও দাবি করেছে। এই প্রভাবশালী চক্রটি হাটটির পূর্ব পাশে প্রায় ৩৫ বছর ধরে বসবাস করা সংখ্যালঘু একটি পরিবারকে (হরি লাল দাস) উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে আফজাল হোসেন বলেন, ‘এটা আমাদের লিজকৃত জমি। আমিসহ টফি ও সোহরাব হোসেনের নামে রেলওয়ে বিভাগ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে কৃষি লিজ নিয়েছিলাম। আমাদের জমি থেকে দোকানপাট সরিয়ে সেখানে কৃষিকাজ শুরু করেছি। যা করছি তা বৈধ উপায়ে করছি।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ইউএনও সাহেবও ফোন করে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। পুলিশের কেউ জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, ‘সাতখামাইর হাটটি অনেক পুরনো। এর কিছু অংশ পড়েছে রেলওয়ের জমিতে। তবে পূর্ব নোটিশ ছাড়া রেলওয়ের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ছাড়া এভাবে যেকেউ উচ্ছেদ চালাতে পারেনা। বিষয়টি আমি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’
ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৬ দিন আগে
আপডেট : ৬ দিন আগে
গাজীপুরে দোকানপাট গুঁড়িয়ে হাটের জমি দখলের অভিযোগ
গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে একটি হাটের প্রায় অর্ধশত সবজি ব্যবসায়ীর দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে রাতের আঁধারে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি চষে সেখানে পাটবীজ বপন করে বাঁশের বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর বাজারে দখলের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। শুক্রবার বিকেলে সাপ্তাহিক হাট থাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হাটের স্থান না পেয়ে পাশে সাতখামাইর-দুর্লভপুর জামে মসজিদ রোডের ওপর বসে পণ্য বিক্রি করে।
বাজারটির ইজারাদার রুহুল আমিন অভিযোগ করেছেন, রেলওয়ে বিভাগের লিজ রয়েছে দাবি করে কয়েকজন প্রভাবশালী হাটের ওই অংশটুকু দখল করে নিয়েছে। দখলে নেতৃত্ব দেন বরমী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, তার সৎভাই টফি ও সোহরাব হোসেন (সোহেল) নামে রেলওয়ের একজন কর্মী। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রভাবশালী চক্রটির এই দখলবাজির কারণে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো হাটটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
বাজারের ইজারাদার রুহুল আমিন জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুর প্রায় ১২টার দিকে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) কামরুজ্জামান সাতখামাইর বাজারে যান। তিনি সেখানে পৌঁছার পরই আফজাল, টফি ও সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন কোদাল, শাবল দিয়ে ছোট ছোট প্রায় অর্ধশত দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, পরে রাতের আঁধারে সেখানে ট্রাক্টর দিয়ে চষে পাটবীজ বপন করে বাঁশের বেষ্টনী দেয় তারা (প্রভাবশালী)। ঘটনাটি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।
পাশের সোনাকর গ্রামের বাসিন্দা কফিল উদ্দিন সরকার অভিযোগ করেন, ‘এর আগে ওই প্রভাবশালীরা প্রায় দেড় মাস আগে বাজারের নিরীহ ব্যবসায়ী ফারুকের একটি ঘরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে। তার কাছে কে বা কারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদাও দাবি করেছে। এই প্রভাবশালী চক্রটি হাটটির পূর্ব পাশে প্রায় ৩৫ বছর ধরে বসবাস করা সংখ্যালঘু একটি পরিবারকে (হরি লাল দাস) উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে আফজাল হোসেন বলেন, ‘এটা আমাদের লিজকৃত জমি। আমিসহ টফি ও সোহরাব হোসেনের নামে রেলওয়ে বিভাগ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে কৃষি লিজ নিয়েছিলাম। আমাদের জমি থেকে দোকানপাট সরিয়ে সেখানে কৃষিকাজ শুরু করেছি। যা করছি তা বৈধ উপায়ে করছি।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ইউএনও সাহেবও ফোন করে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। পুলিশের কেউ জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, ‘সাতখামাইর হাটটি অনেক পুরনো। এর কিছু অংশ পড়েছে রেলওয়ের জমিতে। তবে পূর্ব নোটিশ ছাড়া রেলওয়ের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ছাড়া এভাবে যেকেউ উচ্ছেদ চালাতে পারেনা। বিষয়টি আমি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’
ভোরের আকাশ/এসএইচ