মান্দায় কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি
নওগাঁর মান্দায় কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী আঘাত হানে।
এর আগে গত রোববার বিকেলে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে গণেশপুর ও ভালাইন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ধান,কলা ,আম ও লিচু বাগান,বসত বাড়ি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
মান্দা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও ৫ নং গণেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে গণেশপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও অত্র এলাকার অসংখ্য গাছপালা এবং বেশকিছু বসতবাড়ির টিন উড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষেত এবং বাড়িঘর পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি। এমতাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রস্তুত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
অপরদিকে ভালাইন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ২ নং ভালাইন ইউনিয়নের আঁয়াপুর-পাঁঠাকাটা ঘাট এলাকার বসতবাড়ি,গাছপালা ও কলাবাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
টাঙ্গাইল-বরংগাইল মহাসড়কে মীরের বেতকা এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। আজ বুধবার সকালে মীরের বেতকা এলাকাবাসীর উদ্যোগে মীরের বেতকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তায় উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন শেষে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন এলাকাবাসী। মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মীরের বেতকা নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. হাফিজুর রহমান, প্রফেসর আব্দুল মোমেন তালুকদার, কাজী বজলুর রহমান এবং মীরের বেতকা এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও মীরের বেতকা এবং আশেপাশের এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের মীরের বেতকা গ্রামের উপর দিয়ে টাঙ্গাইল-বরংগাইল মহাসড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও একটি মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশেই অবস্থিত একটি বাজার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় এক হাজারের অধিক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে। প্রতিষ্ঠানের নিকট দিয়ে বরাবর চলে গেছে টাঙ্গাইল বরংগাইল মহাসড়ক। এলাকার আধিকাংশ লোকজন রাস্তার বিপরীত পাশে বসবাস করে। প্রতিদিন কয়েকটি গ্রামের অধিকাংশ লোকজন এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার স্বার্থে ও নিত্য প্রয়োজনীয় কেনা কাটার জন্য বাজারে আসা যাওয়া করতে হয়। অনিয়ন্ত্রনভাবে গাড়ী চলাচলের কারণে বর্তমানে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার আশংকা জনক বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং একটি আন্ডারপাস নির্মাণের দাবি জানান।ভোরের আকাশ/আজাসা
চায়ের নগরী শ্রীমঙ্গল। এর পাশাপাশি এখানকার আনারসেরও খ্যাতি দেশজুড়ে। যা স্বাদে-গন্ধেও অতুলনীয়। সবচেয়ে বেশি আনারস আম কাঠালসহ বিভিন্ন রসালো ফল উৎপন্ন হয় শ্রীমঙ্গলে। এই ঋতুতে বাজারজুড়ে অন্য ফলের সাথে শ্রীমঙ্গলের আনারসও আধিপত্য বিস্তার করছে। চাষিরা জানান, শ্রীমঙ্গলে পাহাড়ি উঁচু-নিচু টিলায় ষাটের দশক থেকে আনারস চাষ শুরু করা হয়। এখানকার উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু আনারস চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এখানে বারো মাস আনারসের চাষ করা হয়। নিজ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে সারা বছরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয় শ্রীমঙ্গলের আনারস। আনারস একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসলও বটে। সিলেট, মৌলভীবাজার, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপকভাবে আনারস চাষ হয়। তবে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উৎপাদিত আনারস দেশখ্যাত। এখানে দিগন্তজোড়া সবুজ চা বাগান আর পাহাড় এরই মধ্যে রয়েছে আনারস বাগান। চায়ের রাজ্যে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে আনারসের সারি সারি বাগান। এই আনারসের গাছগুলো নিচ থেকে টিলার উপরে এমন ভাবে গিয়ে উঠেছে দূর থেকে মনে হবে যেন একদল পিপিলিকা ডানা মেলে সারি বেঁধে উপরে উঠছে।কৃষি বিভাগ বলছে, মে থেকে জুন পর্যন্ত আনারসের ভরা মৌসুম। এ বছর মৌলভীবাজার জেলার প্রায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ হয়েছে। এ অঞ্চলে হানিকুইন ও জাইনকিউ নামের আনারসের উৎপাদন হয়ে আসছে বলে জানান কৃষি বিভাগ। সড়জমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর হতে না হতেই শত শত ঠেলা, জিপ ও পিকআপে করে নিয়ে আসে শ্রীমঙ্গলের আড়ৎগুলোতে।এই উপজেলার বিষামণি, মাইজদিহি, হোসেনাবাদ, এমআর খান, নন্দরানী, বালিশিরা, নূরজাহান, ডলুছড়া, সাতগাঁও, মোহাজেরাবাদসহ প্রতিটি এলাকা থেকে প্রচুর আনারস আসে বাজারে। বাজারে আসা ঠেলাগাড়ি গুলোর সামনের দিক মাটিতে মুখ দিয়ে তার পিঠে রাখা আনারসকে ডিসপ্লের মতো করে সাজিয়ে রাখা হয়।যেন দূর-দূরান্ত থেকে ছোট-বড় আড়ৎদার ও পাইকারি-খুচরা ক্রেতারা এগুলো দেখে সহজে আকৃষ্ট হন। আর এখান থেকেই আনারস যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। গাড়ি অনুপাতে একেকটা ঠেলাগাড়িতে একশ পঞ্চাশ থেকে ৫০০ পিস আনারস সুন্দর করে ডিসপ্লে করে রাখা হয়। সে গুলো সাইজ অনুযায়ি বিক্রি হয়ে থাকে।এছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা কমলগঞ্জ, চুনারুঘাট এমনকি বাহুবল থেকেও আনারস আসে শ্রীমঙ্গলের বাজারে। বাগান মালিক ও আড়ৎদারদের তথ্য মতে বাজারের ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন আড়ৎদার রয়েছেন। যাদের কাছে বাগান মালিকগন তাদের আনারস বিক্রির জন্য দিয়ে থাকেন।আশিক বানিজ্যালয়ের আড়তদার মো: আশিকুর রহমান বলেন, অন্য বছরের চেয়ে এবার আনারসের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আমরা ৬ মাস যাবৎ মৌসুমি এই সিজনের আনারস বিক্রি করছি, এবারের আনারসের স্বাধ-গন্ধ অনেক মজার এবং ক্রেতাদের চাহিদা অনেক হওয়াতে আমরা দামও ভালো পাচ্ছি। মেসার্স মনজুর আলী আড়তদার অভিযোগ করে মো. মছর উদ্দিন বলেন, আনারসের ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু আনারস সংরক্ষণের অভাবে পচে যাচ্ছে। পুক্ত আনারস বেশি দিন বাগানে রাখা যায় না, বৃষ্টি হলে সেই আনারস বাগানেই পচে যায়। সে জন্য আনারস সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি।আনারস কিনতে আসা পারভেজ, জাহেদ ও সাইদুল ইসলাম জানান, শ্রীমঙ্গলের আনারস খুব সুস্বাধু। তাই পাশের উপজেলা কমলগঞ্জ থেকে কিনতে আসছেন। এখানে প্রতি আলী (৪পিচ) আনারস ৫০-১২০ টাকা ধরে কিনে নিয়েছেন তারা।শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) মো: আলাউদ্দিন, এবছর শ্রীমঙ্গল ৪২০ হেক্টর আনারস লেবু চাষ হয়েছে ১২৫০ হেক্টর চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি অফিস থেকে ২০ জন কৃষককে প্রনোদনা হিসেবে ২হাজার ২ ৫০টি আনারসের চারা দিয়েছি। সকল চাষীকে কৃষি অফিস সবসময় ভালো পরামর্শ দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, আনারসের পাশাপাশি লেবু ও নাগামরিচ ও বিভিন্ন ফলের চাষ হয় এ অঞ্চলে। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি জানান, বর্তমানে জেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হচ্ছে। তিনি বলেন, এবছর আমাদের এলাকায় পছন্ড খরা দিয়েছে, যার কারণে হানিকুইন জাতের আনারসগুলো একবারে ছোট হয়ে গেছে। কিন্তু বিক্রি করার জন্য পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জুলডুগি আনারস বলে বিক্রি করছে। আমাদের এলাকায় এই আনারস চাষ হয়না। কিন্ত বিক্রেতারা এই নাম বলে বিক্রি করছেন। আনারস ও লেবু সংরক্ষণাগার ও প্রসেসিং প্লান্ট স্থাপনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।ভোরের আকাশ/আজাসা
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর বহুল প্রত্যাশিত রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বুধবার (১৪ মে) বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন তিনি।এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সড়ক পথে সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফর করছেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কালুরঘাট ব্রিজে আমার অনেক স্মৃতি। এই সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দাও উপস্থিত আছেন। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামীর ছুরিকাঘাতে রেহেনা আক্তার (২৯) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এ খুনের ঘটনায় জড়িত স্বামী নুরুল ইসলামকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উখিয়া ক্যাম্প-১৯ এর নিজঘরে এ খুনের ঘটনা ঘটে।নিহত রেহেনা আক্তার উখিয়ার ক্যাম্প-১৯ এ-৭ ব্লকের আবু সাদেকের মেয়ে এবং রেহেনার স্বামী নুরুল ইসলাম একই ক্যাম্পের আব্দু শুক্কুরের ছেলে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাদি।স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে ক্যাম্প-১৯ এ নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রেহেনা আক্তারের মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম তার স্ত্রী রেহেনাকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক নুরুল ইসলামকে আটক করে। তিনি আরও বলেন, আটক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।ভোরের আকাশ/আজাসা