চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে অর্থনীতির অগ্রগতি অসম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, বন্দরের পরিবর্তন নিয়ে আগে লেখালেখি করলেও এবার সুযোগ পেয়েছি। এটাকে সত্যিকারের বন্দর হিসেবে তৈরি করতে প্রথম দিন থেকে কাজ শুরু করেছি।
চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন পথ খোলা সম্ভব না। এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিদেশিদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে, সকাল সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রাম পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে যান তিনি। একদিনের এ সফরে যোগ দেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে। এ ছাড়া কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনেরও কথা রয়েছে তার।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস প্রেসিডেন্ট ক্যারি কেনেডির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (১৪ মে) সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে কমিশন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি এবং লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।এতে আর. এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটসের এশিয়ার স্টাফ অ্যাটর্নি ক্যাথরিন কুপার এবং আন্তর্জাতিক পরামর্শ ও বিচারিক কার্যক্রমের ভাইস-প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলিটা ব্যায়েন্স উপস্থিত ছিলেন।জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সমৃদ্ধশালী গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায়, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নির্দেশ করবে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ হবে এবং দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করবে কমিশন। অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই কেবল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ জনগণের দোরগোড়ায় সুবিচার ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে পারে।এ সময় ক্যারি কেনেডি ঐকমত্য কমিশনের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কমিশনের সাফল্য কামনা করেন। ভোরের আকাশ/এসআই
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৬ মে থেকে দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবেন বাসমালিকেরা। ২৯ মে থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত যাত্রার টিকিট এই অগ্রিম বিক্রির আওতায় থাকবে। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বুধবার (১৪ মে) বিকালে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ।শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, ১৬ মে শুক্রবার থেকে বাসের মালিকেরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ দিন থেকে যাত্রীরা একযোগে অনলাইনে ও কাউন্টার থেকে বাসের টিকিট কিনতে পারবেন। তবে অনেক পরিবহন এবার পুরোপুরি টিকিট অনলাইনে বিক্রি করবে। ফলে যাত্রীরা বাসের কাউন্টার ও অনলাইন–উভয় মাধ্যমেই টিকিট পাবেন।অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী বাসের ভাড়া নেওয়া হবে। ভাড়ার তালিকার বাইরে বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না। সব মালিককে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে আগের তুলনায় অর্ধেকে এবং ক্রমান্বয়ে শূণ্যে নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই নির্দেশনা দেন তিনি।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা অনেক রকম থিওরিটিক্যাল আলোচনা করেছি, সেসব আর করতে চাইনা, আমরা চাই জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে চিরতরে বের হয়ে আসতে। কিন্তু সেটা একবারেই হবে না, তাই আমাদেরকে ক্রমান্বয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।তিনি বলেন, “এবছর যেহেতু বর্ষা মৌসুম ইতোমধ্যে এসে গেছে তাই এবার সমস্যা পুরোপুরি সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু গত কয়েক মাসে সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তাতে যদি এবছর যদি তারা আশানুরূপ ফল না আসে তাহলেতো সব কিছু মনে হবে জলে গেল।”চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক অর্জনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে একটি প্রতীকী সমস্যা এবং খুবই জটিল সমস্যা। এই সমস্যা নিরসনের মাধ্যমে অন্যান্য শহর ও জেলা উৎসাহিত হবে, তাই চট্টগ্রামকে এই কাজে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে।এই সমস্যা নিরসনে নিয়মিত তাগিদ দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম শহরের যে সক্ষমতা রয়েছে অন্য অনেক অনেক শহরের সেই সক্ষমতা নেই। তাই চট্টগ্রামের সকল প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় হতে হবে এবং নাগরিক সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে।”এতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নানা উদ্যোগ ও অভিজ্ঞতার কথা শোনেন প্রধান উপদেষ্টা।সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম, প্রধান উপদেষ্টার স্পেশাল এনভয় লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে সরকার। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠনের ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, টেলিগ্রাম, এক্সের (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি মঙ্গলবার (১৩ মে) বিটিআরসিকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।এর আগে গত সোমবার (১২ মে) আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।এ নির্দেশনার আলোকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।ভোরের আকাশ/আজাসা