বাবুল আহমেদ, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১০:১১ এএম
মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া ব্রিজ তো নয় যেন মরণফাঁদ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গাজীখালী নদীর ওপর ২০১৩ সালে বিকল্প একটি বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। পাশে একটি ব্রিজ নির্মাণের বিকল্প হিসাবে এ বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করে ঠিকাদার। একযুগ পর এসে এই বিকল্প সেতুটি ডেবে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলতে গিয়ে পড়ছে নানা দুর্ঘটনায়। সওজ চলাচলের অনুপযোগী ঘোষণার পড়েও জনসাধারণ চলাচল করছে।
এলাকাবাসী ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মানিকগঞ্জ-বালিয়াটি সড়কে গাজীখালী নদীর ওপর ২০১৩ সালে সেতু নির্মাণের বিকল্প হিসাবে সাময়িক একটি বেইলি নির্মান করা হয়। সেতু নির্মাণের পর বিকল্প বেইলি টি সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল। ৪ জুন ২০১৩ স্থানীয় এলাকাবাসী বিকল্প বেইলির স্থানে স্থায়ী ব্রিজের দাবিতে মানববন্ধন ও আন্দোলন করে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গায় একটি ব্রিজের প্রয়োজন। কিন্তু ১শ মিটার দূরে আরেকটি ব্রিজ থাকায় নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ হয় নি।
২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর নব নির্মিত সেতু জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলেও স্থানীয় জনসাধারণের দাবির মুখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিকল্প বেইলি টি অপসারণ করতে পারে নি। দীর্ঘদিন এ বেইলি টির কোন সংস্কার করা হয় নি। জনসাধারণের জন্য চলাচল অনুপযোগী সাইনবোর্ড টানিয়ে দায়মুক্তি হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিকল্প রাস্তায় প্রতিদিন হাজার হাজার লোক চলাচল করে।
উপজেলা প্রকৌশলী ইমরুল হাসান বলেন, বিকল্প বেইলি টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উনারা এটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।
সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতিবছর বেইলির দু পাশে মাটি ফেলে চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এবছর আগাম বৃষ্টিপাতে রাস্তা ভেঙ্গে সেতুর একপাশ ডেবে গেছে। এখন পুরোপুরি চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দেবাশীষ সাহার বলেন, বিকল্প এ সেতু দিয়ে চলাচলের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও মানুষ চলাচল করছে। এটি একাধিকবার অপসারণের জন্য গেলেও জনসাধারণের অনুরোধ ও বাধার কারণে অপসারণ করা সম্ভব হয়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাবুল আহমেদ, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ : ৩ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া ব্রিজ তো নয় যেন মরণফাঁদ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গাজীখালী নদীর ওপর ২০১৩ সালে বিকল্প একটি বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। পাশে একটি ব্রিজ নির্মাণের বিকল্প হিসাবে এ বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করে ঠিকাদার। একযুগ পর এসে এই বিকল্প সেতুটি ডেবে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলতে গিয়ে পড়ছে নানা দুর্ঘটনায়। সওজ চলাচলের অনুপযোগী ঘোষণার পড়েও জনসাধারণ চলাচল করছে।
এলাকাবাসী ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মানিকগঞ্জ-বালিয়াটি সড়কে গাজীখালী নদীর ওপর ২০১৩ সালে সেতু নির্মাণের বিকল্প হিসাবে সাময়িক একটি বেইলি নির্মান করা হয়। সেতু নির্মাণের পর বিকল্প বেইলি টি সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল। ৪ জুন ২০১৩ স্থানীয় এলাকাবাসী বিকল্প বেইলির স্থানে স্থায়ী ব্রিজের দাবিতে মানববন্ধন ও আন্দোলন করে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গায় একটি ব্রিজের প্রয়োজন। কিন্তু ১শ মিটার দূরে আরেকটি ব্রিজ থাকায় নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ হয় নি।
২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর নব নির্মিত সেতু জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলেও স্থানীয় জনসাধারণের দাবির মুখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিকল্প বেইলি টি অপসারণ করতে পারে নি। দীর্ঘদিন এ বেইলি টির কোন সংস্কার করা হয় নি। জনসাধারণের জন্য চলাচল অনুপযোগী সাইনবোর্ড টানিয়ে দায়মুক্তি হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিকল্প রাস্তায় প্রতিদিন হাজার হাজার লোক চলাচল করে।
উপজেলা প্রকৌশলী ইমরুল হাসান বলেন, বিকল্প বেইলি টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উনারা এটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।
সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতিবছর বেইলির দু পাশে মাটি ফেলে চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এবছর আগাম বৃষ্টিপাতে রাস্তা ভেঙ্গে সেতুর একপাশ ডেবে গেছে। এখন পুরোপুরি চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দেবাশীষ সাহার বলেন, বিকল্প এ সেতু দিয়ে চলাচলের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও মানুষ চলাচল করছে। এটি একাধিকবার অপসারণের জন্য গেলেও জনসাধারণের অনুরোধ ও বাধার কারণে অপসারণ করা সম্ভব হয়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ