নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের বিএনপি দলীয় কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
র্যালি পূর্বে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার মঞ্জুরুল সাঈদ বাবু। সদস্য সচিব আরিফুজ্জামান মিলনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। এ সময় আরো বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জুলফিকার আলী মন্ডল, যুগ্ম সম্পাদক আলী হাসান, জেলা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক নবীর হোসেন,
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান পলাশ, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফশিয়ার রহমান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সায়দাত কবি রুবেল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খন্দকার মশিয়ার রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ হোসেন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সনি প্রমুখ।
এ সময় দলীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, প্রয়োজনীয় সংষ্কার, পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ কেন্দ্র ঘোষিত ৫-দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাদ আছর কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে উপজেলা কমপ্লেক্সর প্রধান ফটক চত্বর থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা সদরের থানার মোড়, কলেজ রোড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, প্রেসক্লাব মোড়, ডাকবাংলো মোড়, তাজউদ্দিন চত্বরসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ফকির মজনু শাহ সেতুর পশ্চিম পাশে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ফরহাদ হোসেন মোল্লা এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন।সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আইউবী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা শেফাউল হক,বিশিষ্ট সাংবাদিক অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবুল ফাত্তাহ, মাওলানা ইমতিয়াজ হোসেন বকুল প্রমূখ।সমাবেশে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আইউবী বলেন, জাতীয় সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।তিনি আরো বলেন,গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার রক্ষায় এই ৫ দফা দাবির বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতি ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন জনগণ মেনে নিবেনা।বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও নানা স্লোগানে সজ্জিত হয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত পুরো কর্মসূচি ছিল শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে পটুয়াখালীর মহিপুরে মাছ ধরতে গিয়ে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের শিকার হেলালের (২৪) খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিহত হেলাল তুষখালী ইউনিয়নের ছোটমাছুয়া গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে পাঁচ শতাধিক নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আরিফ ফরাজী,আলী আকব্বর,ফিরোজ হোসেন, মোঃ শাহ আলম, কুদ্দুস শরীফ, নিহত হেলালের বোন শারমিন আক্তার, বাবা হারুন হাওলাদার ও মা শেফালী বেগম।বক্তারা বলেন, মাছ ধরার জন্য ফিশিং বোটে যেতে দেরি হওয়ায় রাতভর নির্যাতন করে হেলালকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হেলালের ডাক চিৎকার শুনে কেউ যাতে উদ্ধার করতে না পারে সেজন্য বঙ্গোপসাগরের নির্জন জলরাশীতে গিয়ে নির্যাতন চালানো হয়।বেহুশ হয়ে হুশ হওয়ার পর আবারও নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে দীর্ঘসময় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে সকাল ১০টার দিকে প্রথমে কুয়াকাটা ২০ শযা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও পরে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে।এরপর হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে আসামীরা পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর নিহত হেলালের মা বাদী হয়ে মহিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ৪ নং আসামী শুক্কুর গত ৮ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর মামলার প্রধান আসামী মন্টু ফরাজীসহ অন্য আসামীরা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে।মামলার প্রধান আসামী মন্টু ফরাজী মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট মাছুয়া গ্রামের (৫ নং ওয়ার্ড) আমির হোসেন ফরাজীর ছেলে।ঘটনার পর সে অন্য আসামীদের নিয়ে মহিপুর থেকে ফিশিং বোট চালিয়ে মোড়েলগঞ্জে এসে বোট ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মহিপুর থানা পুলিশ বোটটি জব্দ করেছে।এ ব্যাপারে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহমুদ হাসান জানান, ঘটনাস্থল বিবেচনায় মহিপুর থানায় মামলা হলেও বাদী ও আসামীদের বাড়ি মঠবাড়িয়া এলাকায়। এক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলেও আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগীয় কমিটি ও পিরোজপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ও রেজিস্ট্রার জেনারেল মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ২০ হাজার কর্মচারীর দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিদাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বরিশাল সার্কিট হাউজে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত উপদেষ্টা ও বরিশালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব আবুল কালাম আজাদ।এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল বিভাগীয় কমিটির সভাপতি জনাব হেদায়াতুল নবী খান জাকির, পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ অহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুল ইসলামসহ বরিশাল বিভাগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।নেতৃবৃন্দ জানান, বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা, পদোন্নতি, বেতন-ভাতা কাঠামো এবং অন্যান্য ন্যায্য দাবির দ্রæত বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে তারা আশা প্রকাশ করেন যে, মাননীয় প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। ভোরের আকাশ/হ.র
পিরোজপুর-২ (ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী, নেছারাবাদ) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী, ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মো. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, “বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান আছে। বিএনপি সবসময়ই ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। একটি নিরপেক্ষ ও জনগণের সরকার গঠনের মাধ্যমে আমরা আবার সেই শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে চাই। আপনারা ভয়ের মধ্যে নয়, নিরাপদে উৎসব পালন করুন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া মদনমোহন জিউর মন্দিরে আয়োজিত শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, “ দুঃশাসন, দুর্নীতি ও নির্যাতনের রাজনীতি থেকে মুক্তি পেতে হলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমার পরিবার আগেও আপনাদের সাথে ছিলো, ভবিষ্যতে থাকবে। আমি আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই, যেন এই এলাকার সেবা করার সুযোগ পাই।”ভান্ডারিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বাবু কিরণ চন্দ্র বসু ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার দাসের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মস্তফা শরিফ, বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন মিঠু, পৌর যুবদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান মুন্সী, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা মাহফুজুল ইসলাম প্রমূখ্য। পরে উপজেলার ৪৯টি মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে শুভেচ্ছা অনুদান তুলে দেন তিনি।ভোরের আকাশ/হ.র