নিত্যপণ্যের বাজার
নিখিল মানখিন
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:০৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত
বাজারে অসহায় ক্রেতারা। অনেক আগেই সব নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে গিয়ে স্থির হয়ে আছে। প্রতি সপ্তাহে এই অবস্থার সামান্য পরিবর্তন ঘটলেও ক্রয়ক্ষমতায় ফিরতে পারছেন না ক্রেতারা। শুধু নিম্নবিত্ত নয়, পণ্যের চড়া দামে মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়ছে। মূল্যস্ফীতির তীব্র প্রভাব পড়েছে পণ্যের দামে। বাজারে আসা ক্রেতাদের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। বাজারের একের পর এক দোকান ঘুরে দামের পার্থক্য খুঁজে পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। মান নয়, তুলনামূলক কম দামে ঝুড়িতে পণ্য ভরাতে পারলেই যেন ক্রেতাদের প্রশান্তি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুঁচরাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকাল দশটায় কারওরানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কুড়িয়ে পাওয়া বিভিন্ন শাক-সবজির পসরা সাজানো হয়েছে। ছিন্নমূল লোকজনের এমন দোকানের সংখ্যা দশটির কম হবে না। দাম কম হওয়ায় ওই দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এমন দোকানদের একজন হলেন হালিমা খাতুন।
তিনি জানান, আড়তদারদের পণ্য ওঠানামায় সাহায্য করার বিনিময়ে তারা এসব পণ্য পেয়ে থাকেন। কিছু পণ্য কুড়িয়েও আনা হয়। তবে পণ্যের মান কোনওভাবেই খারাপ নয় বলে দাবি করেন হালিমা খাতুন।
সবজি কিনছেন নগরীর সেন্ট্র্রালরোডবাসী মো. ইউসূফ। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেন। সবজি কেনা শেষে ভোরের আকাশকে বলেন, ‘পণ্যের দাম কমে যাওয়ার কোনো লক্ষ্য দেখছি না। এলাকার বাজারের তুলনায় কারওরানবাজারে সামান্য কম দামে কেনা যায়। কিন্ত জিনিসপণ্যের দাম তো অনেক আগেই বেড়ে গিয়ে আর নিচে নামেনি। এখন দু’-এক টাকা কমলেও আমাদের লাভ নেই।’
আরেক ক্রেতা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আগে মাসে কয়েকবার দেশি মুরগি কিনতাম, এখন সেটা স্বপ্ন হয়ে গেছে। ব্রয়লারের দাম প্রতিনিয়ত বাজারে ওঠানামা করছে, বাজার গরম থাকে সবসময়। মাছ কিনতে গেলেও গুনতে হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দাম। বাজারের নিত্যপণ্যের দামের সঙ্গে আয়-রোজগারের কোনো মিল নেই। অসাধু চক্রের সদস্যরা অদৃশ্য থেকে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যানারে দাঁড়িয়ে এসব লুটপাট করলেও সরকার তাদের কখনও চিহ্নিত করতে পারে না- এমন ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আমজাদ হোসেন।
কারওয়ানবাজার থেকে এক কিলোমিটার দূরে নগরীর মোতালেব মার্কেটের পাশের হাতিরপুল খুচরা বাজারেও পণ্যের লাগামহীন দাম। একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ভোরের আকাশকে বলেন, ‘দু’টি জিনিস কিনব। তাই কারওয়ানবাজারে গেলাম না। কিন্ত এক কেজি বেগুনের দাম ১৭০ টাকা চেয়ে বসেছে। আর চাল কুমড়ার দাম নিল ৬৫ টাকা।’
পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন এক ক্রেতা। তিনি বলতে শুরু করলেন ‘বাজারে আসলে সব সময় আগে দেখি কোন পণ্যের দাম কম। সেই পণ্য আগে কেনার চেষ্টা করি। কখন যে দাম বেড়ে যায় এই আতঙ্কে থাকতে হয়। যে স্বল্প বেতন পাই। তা দিয়ে কোনোরকম সংসার চালাই। তাও মাঝেমধ্যে টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে কম টাকায় পণ্য বাসায় কিনে নিয়ে যাই। লাগামহীন বাজারে আমরা কথা বলে কোনো লাভ নাই। আমদের কথায় কিছু যায় আসে না। সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। এমন অসহায় অবস্থায় আমরা।’
একই চিত্র দেখা গেছে নগরীর শান্তিনগর বাজারে। মাছের দরকষাকষিতে ব্যস্ত মো. সালাম। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, ‘ইলিশ মাছের দিকে তো তাকাতেই পারি না। এক কেজির বেশি ওজনের কাতলের কেজি ৩৫০ টাকা, এক কেজির কম ওজনের কাতলের কেজি ২৮০ টাকা, রুই ৩২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, মাছ ছাড়াই বাসায় ফিরতে হবে।’
আরেক ক্রেতা মো. সুলাইমান বলেন, ‘দাম কমে যাওয়ার আশা নিয়ে বাজারে আসি। কিন্ত কোনো পরিবর্তন নেই। তিন-চারটি সবজি কিনলেই পাঁচশ টাকা চলে যায়।’
সাপ্তাহিক বাজার পরিস্থিতি রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব বাজারে প্রায় কোনো সবজির কেজিই ৮০ টাকার নিচে নেই। চিচিঙ্গার কেজি ৮০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, বড় (বেগুনি রং) বেগুন ২০০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০০ টাকা, চালকুমড়া ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে বাজারভেদে ৩৫ কাটা, পটল ৮০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেড়স ১০০ টাকা, ধুন্দল ১০০ টাকা এবং কাকরোলের কেজি ১০০ টাকা দেখা গেছে বাজারগুলোতে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। এছাড়া গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা কেজি এবং লেবুর হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় মিলছে।
বাজারে মাঝারি মানের এক হালি কাঁচকলা ৪০ টাকা, বড় কাঁচকলা ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ওলের কেজি মিলছে ৭০ টাকা। বাজারে মণ খারাপ শুধু আলুর। প্রতি কেজি আলুর দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা। কোনো বাজারেই এ সবজির দাম ২৫ টাকার ওপরে দেখা যায়নি। উচ্চ মূল্যের বাজারে বাড়তি পকেট কাটছে শাকের দাম। বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ২৫ টাকা, পুঁই শাকের আঁটি ৫০ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ২৫ টাকা এবং কচুর শাকের আঁটি ১০ টাকায় মিলছে।
প্রতিযোগিতার দামে দেশি সবজির মন খারাপের অবস্থা সবজিতে। এত বেড়েও নাগাল ছুতে পারেনি বিদেশি সবজির দামে। বাজারে সবুজ ক্যাপসিকাম মিলছে ৩৫০ টাকা কেজি, রঙিন ক্যাপসিকাম ৮০০ টাকা এবং বিটরুট প্রতি কেজির দাম রাখা হচ্ছে ১৪০ টাকা। শীত আসতে ঢের দেরি। তার আগে বাজারে যে নতুন শিম উঠেছে তার কেজি ২৫০ টাকা এবং ২০০/২৫০ গ্রামের একটি ফুল কপির দাম বাজারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দেখা যাচ্ছে।
শান্তিনগর বাজারে আসা মোসলেম উদ্দিন পণ্যের দাম নিয়ে এতটাই অস্বস্তিতে যে কোনো কথা বলতেই নারাজ। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই এসব সবজির অনুভূতি আছে। দামে তারা খুবই খুশি। কারণ নিজের দাম অনেক উঠছে। বিক্রেতারাও খুশি। তারা ৫ টাকা বাড়তি দাম দিয়ে কিনলে খুচরা বাজারে ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে। কেন বাড়লো, কত বাড়লো, এটা দেখার কেউ নেই, জবাবদিহি করার কোনো জায়গা নেই।’
সবজির দামের যখন এই অবস্থা, জাতীয় মাছ সোনালি ইলিশের দাম বেশি না হলে হয়! রাজকীয় দাম এই মাছের। কিন্ত চড়া দামে কুলাতে না পেরে ক্রেতারা দাম জিজ্ঞেস করেই কেটে পড়তে চাইছেন। অবশ্য বিক্রেতারা যেন নাছোড়বান্দা। কেউ দাম জানতে চাইলে যেন কিনিয়েই ছাড়তে চান। এক কেজি থেকে বেশি ওজনের ইলিশের কেজি ২৩শ’ টাকার ওপরে। ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১৮শ’ টাকা, ২০০/২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৫৫০ টাকা থেকে বাজারভেদে ৬০০ টাকা রাখা হচ্ছে।
দামে কম যায় না অন্য মাছগুলোও। এক কেজির বেশি ওজনের কাতলের কেজি ৩৫০ টাকা, এক কেজির কম ওজনের কাতলের কেজি ২৮০ টাকা, রুই ৩২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের বোয়ালের কেজি ৬০০ টাকা এবং আইড় ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাবদা মাছের কেজি ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, ছোট বাইম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় বাইম ১২০০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, শোল ৬০০ টাকা, মলা মাছ ৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ টাকা, ট্যাংরা ৮০০ টাকা, বড় বেলে ১০০০ টাকা, ছোট বেলে ৮০০ টাকা, সরপুঁটি ২০০ টাকা, মাঝারি রূপচাঁদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দামের স্থিতিশীলতা কেবল মুরগিতে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বাজারভেদে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে বাজার ভেদে ৩২০ টাকা এবং লেয়ার ৩০০ টাকা রাখা হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা। খোলা চিকন চাল (মিনিকেট) ধরন ও কোম্পানিভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা মোটা চাল ৬০ টাকা, পাইজাম ৬৫ টাকা এবং আঠাশ চালের কেজি ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৫০ টাকা, আমদানি করা মোটা ডাল ১১০ টাকা, ছোলার ডাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং মুগ ডালের কেজি ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস মিলছে ৭৬০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি। ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি এবং ছাগি ১০৫০ টাকা কেজি। ভোজ্যতেলের লিটার রাখা হচ্ছে ১৮৯ টাকা। পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা, আমদানি রসুন ১৫০ টাকা, দেশি মাঝারি রসুন ১২০ টাকা কেজি এবং ছোট রসুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি রাখা হচ্ছে।
ক্রেতা-বিক্রেতার পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ
দেশের বাজারে লাগামহীন নিত্যপণ্যে স্বস্তি ফিরছেই না। রোজকার খাবারের মৌলিক উপাদান মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, শাক-সবজি- সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলো এখন আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতেই হিমসিম খাচ্ছে। মাসের শেষে সংসার চালাতে ঋণ নিতে হচ্ছে বহু পরিবারকে। ব্যয় কাটছাঁট করেও মিলছে না স্বস্তি। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য জীবনধারণ এখন এক দুঃসাধ্য লড়াইয়ের নাম। ক্রেতাদের অভিযোগ, নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কখনো কোনো পণ্যের দাম ‘সামান্য’ কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে তা ফের বাড়ছে। এ অবস্থায় বাজারে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।
টিসিবির বাজারদর বিশ্লেষণ বলছে, গত দুই মাসেই পেঁয়াজ, ডিম, ডাল ও সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। অন্যদিকে বিক্রেতারাও বলছে, টানা বৃষ্টির কারণে কৃষকের খেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, ফলে সরবরাহ কমেছে।
কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা রকিব উদ্দিন জানান, পাইকারি বাজারেই আগের চেয়ে দ্বিগুণ দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরায়ও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। দাম বাড়ায় ক্রেতারা সবজি কেনা কমিয়ে দিয়েছে, এতে আমাদেরও লোকসান হচ্ছে।
মগবাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সুরুজ মিয়া জানালেন, আগে যেখানে প্রতিদিন ১৪০-১৫০ টাকা কেজি মুরগি বিক্রি হতো। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ৪০-৫০ টাকা কেজি প্রতি বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা এক কেজির বদলে আধা কেজি মুরগি কিনছেন। আমাদের বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা খুচরা ব্যবসায়ী আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে কম দামে পেলে তা কম দামে বিক্রি করতে পারতাম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হার নিরূপণের জন্য বিভিন্ন বাজার থেকে নিত্যপণ্যের দামের যেসব তথ্য সংগ্রহ করে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব পদ্ধতিতে মূল্যস্ফীতির উত্তাপের নকশা তৈরি করেছে। ওই নকশায় কোনো পণ্যের দাম কোনো মাসে গড়ে ১০ শতাংশের বেশি বাড়লে তা লাল তালিকায় বা রেড জোনে ফেলা হয়। ৮ শতাংশের বেশি থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে বাড়লে হালকা লালে, ৬ শতাংশের বেশি থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে বাড়লে লাল-সবুজের মিশ্রণের অঞ্চলে, ৪ শতাংশের বেশি থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে বাড়লে সবুজাভাব অঞ্চলে, ২ শতাংশের বেশি থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে বাড়লে হালকা সবুজ ও শূন্য থেকে ২ শতাংশের মধ্যে বাড়লে সবুজ রংয়ে ফেলা হয়। কোনো পণ্যের দাম কমলেও তাকে গাঢ় সবুজ রংয়ের মধ্যে ফেলা হয়।
ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠন ‘ভোক্তা’র নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল মনে করেন, ভোক্তারা এখন এতটাই সহনশীল হয়ে গেছে যে, এই অস্বাভাবিক দামকে ভাগ্যের ফের মনে করছে। অথচ সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিয়মিত বাজারে হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হতো না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফাকে মুজেরি বলেন, এই সংকট নিরসনে বাজার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনা জরুরি। পাইকারি পর্যায়ে মনোপলি ভাঙা, খাদ্য আমদানিতে শুল্ক কমানো এবং কৃষিপণ্যের সরাসরি বিপণন চ্যানেল শক্তিশালী করা এখন সময়ের দাবি। এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা না হলে খাদ্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই থাকবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ