নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫ ০২:১৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীতে মেঘনা নদীতে ডুবে থাকা এমবি আসাদ উল্যাহ নামের জাহাজের যন্ত্রপাতি ও মালামাল কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে জনৈক রাসেল ওরফে শাহ আলমের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আক্তার মিয়ার হাট বাজারের পূর্বপাশে চর আলাউদ্দিন নামক স্থানে।
এ বিষয়ে জেলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জাহাজের বর্তমান মালিক ও ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. আলমগীর হোসেন একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে জাহাজটি নোটারি মূলে ক্রয় করেন জাহাঙ্গীর হোসেন ও আলমগীর হোসেন। এরপর জাহাজটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তারা চর আলাউদ্দিনের মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখেন। অতঃপর জাহাজের বিক্রেতা মো. রাসেল ওরফে শাহ আলম লোভ, লালসার বশবর্তী হয়ে নোঙরে থাকা জাহাজটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ কেটে নিয়ে যায়।
জাহাজের বর্তমান মালিক জাহাঙ্গীর ও আলমগীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর এসব বিষয়ে রাসেলের কাছে জানতে চাইলে, রাসেল তার বাহিনী দ্বারা জাহাঙ্গীর ও আলমগীরের উপর হামলা ও প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে।
এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন প্রতিকার চেয়ে জেলার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
নোয়াখালী পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিশেষ গোয়েন্দা শাখা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে অভিযোগের স্বপক্ষে প্রতিবেদনও দিয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবী সালাহ উদ্দিন সাকি। আদালত ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদনের আলোকে আসামি মো. রাসেল ওরফে শাহ আলমকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। তবে শাহ আলম আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, আসামি শাহ আলম গ্রেফতারি পরোয়ানার খবর পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। এরপর জাহাজের ডুবন্ত অংশ বিশেষও তার জলদস্যু বাহিনীদের দিয়ে রাতে ও প্রকাশ্য দিনের বেলা কেটে নিচ্ছেন বলে জানান জাহাঙ্গীর হোসেন। অত:পর তিনি জাহাজটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদালতে আরেকটি আবেদন দায়ের করেন।
আদালতের নির্দেশনা মতে, এ বিষয়ে চরজব্বর থানা অভিযোগের সার্বিক সত্যতা নিশ্চিত হয়ে আদালতে প্রতিবেদন দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে, এম বি আসাদ উল্যাহ জাহাজটির প্রয়োজনীয় ও আইনি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দিনদিন আসামি শাহ আলমসহ সংঘবদ্ধরা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি লুট করে নেওয়ায় জাহাজের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন ও আলমগীর হোসেন চরম আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। একইসঙ্গে,অভিযুক্ত শাহ আলমের বিরুদ্ধে জরুরি গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকরের দাবি করছেন তারা।
ভোরের আকাশ/মো.আ.