ফুলবাড়ীতে সবজির দরে খুশি ক্রেতা, লোকসানে কৃষক

ফুলবাড়ীতে সবজির দরে খুশি ক্রেতা, লোকসানে কৃষক

মো. আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

প্রকাশ : ৩ দিন আগে

আপডেট : ৩ দিন আগে

ফুলবাড়ীতে সবজির দরে খুশি ক্রেতা, লোকসানে কৃষক

ফুলবাড়ীতে সবজির দরে খুশি ক্রেতা, লোকসানে কৃষক

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ সস্তায় সবজি মিলছে। এতে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরলেও লোকসানে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

উপজেলার বেশ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা হাটবাজারের ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সব ধরনের সবজির দামই কমে গেছে। বিশেষ করে আলু, টমেটো, শসা, খিরা, কাঁচা মরিচ, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শখের বসে সবজি চাষ করতে গিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। রমজানের শুরু থেকেই বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম বেড়ে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। তবে অল্প সময়ের মধ্যে এসব সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসে। গত রমজানে প্রতিকেজি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া টমেটো এবার বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৫ থেকে ৭ টাকায়। গাজর মিলছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজিতে, যা আগের বছর ৮০ থেকে ৯০ টাকা ছিল।

এদিকে, সবজির মৌসুম শেষ পর্যায়ে থাকায় কিছু কিছু সবজির দাম আবার চড়তে শুরু করেছে। তবে রোজার শুরু থেকে কম দামে সবজি কিনতে পারায় ক্রেতারা খুশি হলেও কৃষকরা দাম কম পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন।

শনিবার ফুলবাড়ী পৌরশহরের সুজাপুরস্থ সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৫-৭ টাকা, আলু ১২-১৪ টাকা, কাঁচামরিচ ২০-২২ টাকা, গাজর ও শসা ৭-১০ টাকা, ফুলকপি ১৫-১৮ টাকা, শিম ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, পেঁয়াজ ২২-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী জয়ন্ত সাহা বলেন, এবার সবজির উৎপাদন ভালো হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বেশি, এজন্য দাম কম রয়েছে। তবে মৌসুমের শেষ সময় হওয়ায় কিছু সবজির দাম আবার বাড়তে পারে।

সবজি কিনতে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম অনেক কম। বাজারে সবচেয়ে কম দামের সবজি এখন টমেটো, গাজর ও শসা-খিরা।

স্থানীয় দীপা হোটেলের স্বত্বাধিকারী দুলাল সাহা বলেন, সবজির দাম কমে যাওয়ায় হোটেল ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের সবজি সরবরাহ করা যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৮ হেক্টর জমিতে টমেটো, ১১০ হেক্টর জমিতে মরিচ, ৩৮ হেক্টর জমিতে শসা ও ২০ হেক্টর জমিতে খিরা আবাদ হয়েছে।

উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের টমেটো চাষি রেবতি মোহন বলেন, এ বছর ১০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে, কিন্তু ২০ হাজার টাকাও বিক্রি হয়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, সবজির উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় এবার বাজারে দর কম। চাহিদার তুলনায় বিভিন্ন ধরনের সবজির জোগান ও মজুদ বেশি। সবজি চাষিদের লোকসান থেকে বাঁচাতে আগাম ও শেষ পর্যায়ে সবজি বাজারে আনার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

কুয়াকাটায় ঈদের দিনে পর্যটকদের ঢল

কুয়াকাটায় ঈদের দিনে পর্যটকদের ঢল

চট্টগ্রামে বাস-মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৫

চট্টগ্রামে বাস-মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৫

দিনাজপুরে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল

দিনাজপুরে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল

শেরপুরের ৭ গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

শেরপুরের ৭ গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

মন্তব্য করুন