জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৫ ১০:৫০ এএম
জামালপুরে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
জামালপুরে মাদক মামলায় এক ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেক ভাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জামালপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আবুবকর সিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ভুট্টু মিয়া ও খালাসপ্রাপ্ত মনু মিয়া সহোদর। তারা বকশীগঞ্জ উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. নাজমুল হুদা জানান, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় এলাকায় অভিযান চালায়। পালানোর সময় ভুট্টু মিয়াকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে পলিথিনে মোড়ানো ৩১ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়, তবে তার ভাই মনু মিয়া পালিয়ে যান। পরে তাদের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং একই বছরের ২৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ভুট্টু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
অন্যদিকে, মনু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় ভুট্টু মিয়া আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. এ.কে.এম. নাজমুল হুদা এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাড. মো. মোকাম্মেল হক।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩ সপ্তাহ আগে
আপডেট : ৩ সপ্তাহ আগে
জামালপুরে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
জামালপুরে মাদক মামলায় এক ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেক ভাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জামালপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আবুবকর সিদ্দিক এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ভুট্টু মিয়া ও খালাসপ্রাপ্ত মনু মিয়া সহোদর। তারা বকশীগঞ্জ উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. নাজমুল হুদা জানান, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় এলাকায় অভিযান চালায়। পালানোর সময় ভুট্টু মিয়াকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে পলিথিনে মোড়ানো ৩১ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়, তবে তার ভাই মনু মিয়া পালিয়ে যান। পরে তাদের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং একই বছরের ২৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ভুট্টু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
অন্যদিকে, মনু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় ভুট্টু মিয়া আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. এ.কে.এম. নাজমুল হুদা এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাড. মো. মোকাম্মেল হক।
ভোরের আকাশ/এসএইচ