কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১০:২৫ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আমন ধান কাটা শুরু করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সরজমিনে গিয়ে যায়, কুলাউড়ার বিভিন্ন যায়গায় কৃষকরা আমন ধান কাটা শুরু করেছেন।বিশেষ করে পৃথিমপাশা, রবিরবাজার, টিলাগাঁও, রাউৎগাঁও, কাদিপুর, কর্মধা, হাজিপুর, শরিফপুরসহ কুলাউড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের সকল গ্রামে অগ্রায়ন মাসে হাসি মুখে আমন ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা।
গ্রামের ঐতিহ্যবাহি ধান কাটার মৌসুম। আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর দেশ।তাই বছরে তিন মৌসুমে ধান কাটা শুরু হয়। আমন, আয়োশ, বোর অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে আমন ধান কাটা হয়।
১০০০ হাজার বছর আগে ধান চাষ শুরু হয় চীনও জাপানে। ধান কাটা হত মানুষের মাধ্যমে, এখন বিভিন্ন মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটা হয়। সময় ও শ্রম দুটি কম লাগে।ধান কাটার সময় আসলে কৃষক সোনালী আশ ঘরে তোলার জন্য ব্যস্ততায় থাকে। গ্রামে নতুন ধানের চাউল দিয়ে পিঠা বানিয়ে খায়।নতুন ধান ঘরে তোলার জন্য বা রাখার জন্য মাচান, গুদাম ঠিক করে নেয়।বিভিন্ন মেশিনের দ্বারা ধান কাটা হয় এবং ধান কম সময়ে অনেক একর জমি ধান কাটা যায়।এতে খরচ বেশি হলেও সময় ও পরিশ্রম কম হয়।তবে গ্রানে এখনো বেশির ভাগ কৃষকরা হাত দিয়ে ধান কাটিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে রঞ্জিত ও অসমি ধান কাটা শুরু হয়েছে এবং আরও সপ্তাহদিন পরে শুরু হবে উনপঞ্চাশ,আসামী ধান কাটা হবে।
স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম,মুফিজ উদ্দিন, মুক্তার উদ্দিন, জুবেদ চৌধুরী, বদর উদ্দিন, ফজলু মিয়া, শরিফ আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক, রহম উল্লা, বিলাল উদ্দিন, জুয়েল ইসলামসহ আরও অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, অগ্রহায়ন মাস থেকে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে যেমন রঞ্জিত ও অসমি ধান এখন বেশির ভাগ কাটা হচ্ছে সপ্তাহদিনের মধ্যে আশা করছি বাকি সব ধান কাটা হবে যেমন উনপঞ্চাশ ও আসামী ধান সহ আরও অনেক ধান কাটা হবে।আমরা এবার আমন ধান হাসি মুখে আনন্দ মুহূর্তে প্রতিদিন ক্ষেতের মাঠে ধান কাটিয়ে যাচ্ছি আশা করছি যদি কোন ঘুর্নিঝর বা বৃষ্টি এ সময় না হয় তাহলে আমাদের আমন ধান কাটতে কোন অসুবিধা হবে না এবং আমরা তাথে লাভবান হতে পারব এবং আমাদের সুনালী ফসল ঘরে তুলতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলার কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, এ বছরেই আমাদের কুলাউড়া উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরও আমন ধান ভাল ও বাম্পার ফলন হয়েছে বলে আসাবাদী যেমন স্থানিয় জাত স্বর্না রঞ্জিত আসামি এজাতের বিকল্পের সাথে আমাদের আধুনিক যে জাতগুলো রয়েছে এসব জাতের আবাধ বাড়ছে। যেমন ব্রিধান, উনপঞ্চাশ, একাত্তর, পচাত্তর, সাতাশি, ১০৩ নতুন যে জাত গুলো আছে সে গুলোর ফলন বেশি এবং বারছে, তিনি আরও বলেন জেলা কৃষি স্যারের একটি গ্রুপ কাটিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, ১০৩ (BRRI) জাতে ধান স্থানীয় জাতের ছেয়ে অনেক বেশি।স্থানীয় জাতের পরিবর্তনে কৃষি বিভাগ থেকে তাদেরকে ট্রেনিং বা বিভিন্ন পদর্শনি পেয়ে তারা উদ্বুদ্ধ হয়ে যে আধুনিক জাত গুলো আবাদ করছে যার জন্য আজ কৃষকরা তাদের মুখে হাসি পেয়েছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনে কুন বড় ধরনের ক্ষতি হয় নাই। যা ফলন ভালো হওয়ার আশাবাদি আমরা। এখন পর্যন্ত ধান ১৫ % কর্তন হয়েছে। আর আশা করছি ডিসেম্বরের ২০-২৫ তারিখের মধ্যে কর্তন সম্পন্ন হবে।এবং আমরা কৃষি বিভাগ চাচ্ছি যে আমন ধান (শাইল) কাটার পর অই জমিতে আর কেউ কোন ফসল ক্ষেত করে না অনেকে বলে এখানে পানি জমে থাকে তাই আমরা বলি তাদের কে সেখানে মিষ্টি কুমরা তরমুজ, পরাস সিম, সরিষা, কৃষি জাতীয় ফসল ফলাতে পারবে। এ ব্যাপারে আমরা কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছি।
ভোরের আকাশ/জাআ