নিকুঞ্জ বালা পলাশ, শাহীন হাসান
পেশাজীবী সাংবাদিকদের সংগঠন বরিশাল সাংবাদিক ফোরাম (বিএসএফ) এর সাধারণ সভা শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকেলে আগামী এক বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
বিদায়ী সভাপতি দৈনিক সমকালের ব্যুরো প্রধান সুমন চৌধুরী নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নিকুঞ্জ বালা পলাশ (আমার দেশ) ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শাহীন হাসানকে (বাংলা ভিশন) নির্বাচিত করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি এম জহির (সকালের সময়), কোষাধ্যক্ষ মর্তুজা জুয়েল (দিপ্ত টিভি), দপ্তর সম্পাদক খোকন আহম্মেদ হীরা (জনকণ্ঠ), প্রচার সম্পাদক আরিফ হোসেন (বিজয় টিভি), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈদ পান্থ (চ্যানেল আই), সদস্য সুমন চৌধুরী (সমকাল), এম মিরাজ হোসাইন (বনিক বার্তা), আযাদ আলাউদ্দিন (নয়াদিগন্ত), সুখেন্দু এদবর (একুশে টেলিভশন), নাসির উদ্দিন (যুগান্তর)।
এর আগে সাধারণ অধিবেশনে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, খান রফিক, এম সোহাগ, অপূর্ব অপু, মর্তুজা জুয়েল,এম লোকমান হোসেন, আরিফুল ইসলাম, ফাহিম ফিরোজ প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্র ঘোষিত ২০২৫ সালের সদস্য ফরম নবায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার গাজী বাড়িতে শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় এক বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাহউদ্দিন।কর্মসূচির আওতায় টঙ্গী পূর্ব থানাধীন সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য ফরম বিতরণ করা হয়।সভায় বক্তারা দলের শৃঙ্খলা ও আদর্শ বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, "আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের সদস্য যেন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে – এই বিষয়ে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।"অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বৃহত্তর টঙ্গী থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল সিকদার বসু, টঙ্গী থানা নেতা ইসমাইল হোসেন রানা, আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সিরাজুল ইসলাম সাথী, গাজী আমান উল্লাহসহ টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে কার্যক্রমকে সফল করেন।সদস্য নবায়নের এই কর্মসূচিকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং দলীয় ঐক্যবদ্ধ হতে দেখা যায়।ভোরের আকাশ/জাআ
কুড়িগ্রামে মাদক বিস্তার, যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা ও কুড়িগ্রামকে মাদকমুক্ত করার অঙ্গীকার নিয়ে 'মাদক প্রতিরোধ কমিটি' গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।শনিবার (২৮ জুন) সকালে শহরের নাজিরা নতুন শহরস্হ অস্থায়ী কার্যালয়ে শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বেবু'র সভাপতিত্বে মাদকের কুফল নিয়ে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইউনুছ আলী, অধ্যক্ষ শাহ আলম, সহকারী অধ্যাপক মোঃ ফজলুল হক, সাংবাদিক এস এম আশরাফুল হক রুবেল, সাংবাদিক সাইয়েদ আহমেদ বাবু সহ অন্যরা।সভায় সর্বসম্মতিক্রমে শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বেবুকে আহ্বায়ক ও সহকারী অধ্যাপক আতিকুর রহমান সুজনকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের’ রোড মার্চ চট্টগ্রামে প্রচট্টগ্রাম প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচাতে, করিডোর ঠেকাতে ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের’ রোড মার্চ পৌঁছেছে চট্টগ্রামে।শনিবার (২৮ জুন) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বন্দর ভবনের সামনে পৌঁছায় এ রোড মার্চটি।এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতারা।এর আগে শুক্রবার (২৭ জুন) ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয় এ রোড মার্চ। এতে অর্ধশতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের ছয় শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করা এবং রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়ার উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ কর্মসূচি দেয় ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’। তাদের দাবি মধ্যে আরও রয়েছে-স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে’ জড়ানোর চেষ্টা বন্ধ করা।এদিকে শনিবার সকালে রোড মার্চের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর হাজারী রোড মোড় থেকে মিছিলের মাধ্যমে।মিছিলটি মহিপাল হয়ে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, ট্রাংক রোড, দোয়েল চত্বর, খেজুর চত্বর, প্রেস ক্লাব, বড় মসজিদ, সেন্ট্রাল হাই স্কুল হয়ে দাউদপুর ব্রিজ অতিক্রম করে। এরপর রোড মার্চে অংশগ্রহণকারীরা পরিবহনে চড়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।মীরসরাই ও সীতাকুণ্ডে পথসভা করার পর বিকালে রোড মার্চ নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড়ে এসে জড়ো হয়। সেখান থেকে বন্দর ভবন অভিমুখে যাত্রা করে রোড মার্চ। এতে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগান ও দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড-ব্যানার ও ফেস্টুন।ভোরের আকাশ/আজাসা
হাজারো মানুষের অস্রুসিক্ত ভালবাসায় সিক্ত হলেন নোয়াখালী ৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের ৪ বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: শাহজাহান। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন মো. শাহজাহান। তিনি বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, বর্তমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের দল পূর্নগঠনের সাবেক সমন্বয়ক। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বুধবার (২৫ জুন) দীর্ঘ দিন চিকিৎসা শেষে জন্মভুমি নোয়াখালীতে আসলে তাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। নেতাকর্মীদের বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস আর শ্লোগানে মুখরিত ছিল জেলা শহর মাইজদী। নিজ জেলায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে নেতাকর্মীদের আবেগঘন পরিবেশে ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহন করেন এই নেতা। তখন নিজেও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। পথসভায় তিনি ওয়াদা করেন আমৃত্যু সদর-সুবর্ণচরবাসির সাথে আছেন। তাদের ছেড়ে যাবেন না। দল ও জনগনের কল্যানে নিজেকে নিয়জিত রাখবেন।জানা যায়, মো:শাহজাহান দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি থাইল্যান্ডের ব্যংকক হাসপাতালে সফল অস্র প্রচারের মাধ্যমে হার্টের ভাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করেন এবং ফলোআপ শেষে সুস্থ হয়ে নেতাকর্মী ও স্বজনদের মাঝে ফিরে আসেন ।এদিকে প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে এবং তাকে স্বাগত জানাতে দুপুর থেকেই সদর-সুবর্ণচরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার, ফেষ্টুন হাতে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মী এসে জড়ো হন জেলা শহর মাইজদীতে। একাধিক জায়গায় মিছিল, শোভাযাত্রা,গান বাজনা পুরো শহর একটা আনন্দঘন ও উৎসবমুখর হয়ে উঠে। শহরের ব্যবসায়ী, পাশ্ববর্তী বাসাবাড়ি থেকে নারী, পুরুষ উৎসুক দৃষ্টিতে প্রিয় নেতার সুস্থ হয়ে ফিরে আসা দেখতে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। এদিন বিকেলে বেগমগঞ্জ চৌমুহনী চৌরাস্তায় ফুলের শুভেচ্ছা জানান বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীরা। নোয়াখালী মাইজদীতে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা প্রিয় নেতার বক্তব্য শুনার জন্য রাত পযর্ন্ত অপেক্ষা করেন ।মো. শাহজাহান ১৯৯১ সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ (সুবর্ণচর-নোয়াখালী সদর) আসন থেকে প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি একই আসন থেকে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ভোট কারচুপি করে তাকে পরাজিত করেন।জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এডভোকেট আবদুর রহমান জানান, প্রিয় নেতা শাহজাহান ভাই শুধু সদর -সুবর্ণচর নয় বৃহত্তর নোয়াখালী, লক্ষীপুর,ফেনী জেলার বিএনপির তথা সংগঠনের প্রান পুরুষ। যার মেধা, প্রজ্ঞা আর দুরদর্শীতায় তিনি জেলার রাজনীতির সংগঠন গুছিয়ে জাতীয় রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। তিনি দেশ নেত্রী সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার আস্থাভাজন।সাবেক তুখোড় পৌর ছাত্রদল সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ওমর ফারুক টপি বলেন, শাহজাহান ভাই শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনিই একমাত্র নোয়াখালী বিএনপির একমাত্র অভিভাবক। তার ফেরার মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। তিনি জিয়ার আদর্শের সূর্যসেনানি৷ সর্বমহলে শ্রদ্ধাস্পদ। তিনি লড়াকু সৈনিক। দুঃসময়ে জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত সিপাহসালা।ভোরের আকাশ/আজাসা