মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:৫৫ পিএম
১৪৩২ বর্ষবরণ উপলক্ষে লোকজ বৈশাখী মেলার আয়োজন
পয়লাবৈশাখ শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি বাঙালি জাতির জীবনে গভীর তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনটি আমাদের ঐক্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে। পয়লা বৈশাখ আমাদের নতুন বছরকে আশা ও অনুপ্রেরণায় ভরে তোলে।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় নতুন বর্ষবরণ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখকে ঘিরে আয়োজিত হচ্ছে গ্রামীণ বৈশাখী মেলা। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৬ ইউনিয়নে আয়োজন করা হচ্ছে এই মেলার।
উপজেলা প্রশাসন কর্তৃকবাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতাএবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান, দেশীয় ঐতিহ্য বাহী লোকজ মেলারআয়োজন করা হয়েছে।
বরাইদইউনিয়নের ছনকা মোল্লা পাড়ামাঠে লোকজ মেলা ও ঘৌড় দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছে। সাভারহামজা মাঠে, দিঘলীয়া ইউনিয়নে প্রফিল্ল ঋষিপাড়ায়, বালিয়াটি ইউনিয়নে ভাটারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, বাহ্রা ঋষিপাড়ায়, দরগ্রাম ইউনিয়নে সাফুল্লী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেবারিয়া গ্রামে তিল্লী ইউনিয়নে পশ্চিম চরতিল্লী, ধানকোড়া ইউনিয়নে খল্লী দাসপাড়া গ্রামীন লোকজ মেলার আয়োজনকরে স্থানীয় গ্রামবাসী।
এসব মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসে। মেলাকে সামনে রেখে অনেক ব্যবসায়ী কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেন। মেলায় মৃৎশিল্পসহ অনেক লোকজ শিল্পপসরা বসে। যদিও এসবমেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পুরোনো জৌলুস। শহুরে মেলা জাঁকজমক হলেওগ্রামীন এসব মেলায় লোক সমাগমকম হয়। মেলা স্থান এবং আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বাঙ্গালীর প্রাণের স্পন্দন বৈশাখী উৎসব। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক কাতারে এসে দাঁড়ায় এ উৎসবে।
মেলায় নাগরদোলা, সাকার্স, যাত্রাপালা, পুতুল নাচ, লাঠি খেলা, ঘৌড় দৌড় থাকতো। নতুনপ্রজন্ম ভুলতে বসেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এ মেলার আয়োজন।
সাটুরিয়াউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, বৈশাখী বর্ষবরণ উৎসব বাঙ্গালীর প্রাণেরউৎসব। সকল ধর্ম, সকলজাতি এক কাতারে এসেউৎসব পালন করে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বর্ষবরণের নানা আয়োজন নেয়া হয়েছে।
সাটুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ শাহিনুল ইসলাম জানান, উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বর্ষবরণ উপলক্ষে লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।