ইউএনও’র হস্তক্ষেপে নদী পেল প্রাণ
কালিহাতীর সেফাই নদী পাছ চারান অংশে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কচুরিপানা ও আবর্জনা অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খায়রুল ইসলাম । স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে তিনি নদী পরিষ্কারের নির্দেশ দেন।
নদীটির উপর নির্মাণাধীন ব্রীজ হচ্ছে পাশেই যান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী ব্রিজ থাকায় এই অংশে দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা জমে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল এবং আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল। এছাড়া মাছ ধরায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছিল, যা স্থানীয় জেলেদের জীবনজীবিকায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা কালাম বলেন, এখানে ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী ব্রিজ থাকায় আমরা বহুদিন ধরে কচুরিপানা পরিষ্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে ইউএনও স্যার নিজে এসে দেখলেন এবং ব্যবস্থা নিলেন।
ইউএনও খায়রুল ইসলাম বলেন, জনসাধারণের ভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন জনগণের পাশে আছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
`এই বাংলাদেশ শেখ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এই বাংলাদেশ ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ' এ মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে জুলাই পদযাত্রার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। অবৈধভাবে একের পর এক পুশইন করা হচ্ছে। এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। যেকোনো মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করব।জুলাই-আগস্টে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নতুন দেশ গঠনে সারা দেশে কর্মসূচি চলছে। জুলাই ঘোষণাপত্র, সংস্কার, বিচার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন চেয়েছি।এ সময় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনীম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া প্রতিকারমূলক উপায়ের দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধে উপকারী ও পানিশূন্যতা পূরণে কার্যকর ডাবের পানি এখন ঘরে ঘরে দরকারি উপকরণ হয়ে উঠেছে।পিরোজপুরের বাজারে ও এই চাহিদার প্রভাব পড়েছে। জেলার প্রায় সব উপজেলায় ডাবের চাহিদা বেড়ে গেছে বলে জানা যায়। তবে এখন আষাঢ় মাস হওয়ায় ফলন তুলনামূলক কম, ফলে সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন দাম বেড়েছে, অন্যদিকে অনেকেই প্রয়োজনের সময় ডাব পাচ্ছেন না।সরেজমিনে পিরোজপুর সদর উপজেলার পাঁচপাড়া, চল্লিশা ও ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়, কয়েক সপ্তাহ আগের তুলনায় ডাবের দাম বেড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত। মাঝারি সাইজের একটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, বড় আকারের ডাবের দাম ১১০-১২০ টাকা পর্যন্ত। অথচ এক মাস আগেও এই ডাবগুলো পাওয়া যেত ৫০-৭০ টাকায়।ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন আষাঢ় মাস, প্রাকৃতিকভাবেই ডাবের সরবরাহ কম থাকে। তার ওপর বাড়তি চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় সরবরাহ-বিপণনে চাপ বেড়েছে। এতে দামও কিছুটা বেড়েছে। পাশাপাশি হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা অতিরিক্ত সরবরাহ করতে পারছেন না। তার ওপর এখন ডাবের মৌসুম না হওয়ায় ফলন তুলনামূলকভাবে কম।সদর উপজেলার পাঁচপাড়া এলাকার ডাব বিক্রেতা সোবহান মিয়া বলেন, আগে প্রতিদিন পাইকারি ৩০-৪০টা ডাব বিক্রি করতাম। এখন ৭০-৮০টা গেলেও চাহিদা মিটছে না। ডেঙ্গু রোগীর কারণে চাহিদা বেড়েছে।নেছারাবাদ উপজেলার অলংকারকাঠি গ্রামের ডাব ব্যবসায়ী হারুন ফকির বলেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাকে করে ডাব পাঠানো হয়। এতে স্থানীয় বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ডাব রাখা যাচ্ছে না।স্বাস্থ্যসচেতনতা ও চিকিৎসকদের পরামর্শে ডাবের চাহিদা দ্বিগুণ হয়েছে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) সুরঞ্জিত কুমার সাহা দৈনিক ভোরের আকাশ কে বলেন, ডেঙ্গুতে শরীরে প্লেটলেট কমে যায় ও পানিশূন্যতা দেখা দেয়। ডাবের পানি এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় খুবই কার্যকর। এ কারণে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর পরিবারকে ডাবের পানি খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। ডাবের পানিতে থাকা প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটস শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, হজমে সহায়তা করে এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে। তাই ডেঙ্গু, জ্বর বা অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণে এটি কার্যকর একটি উপাদান।তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসার বাইরে, আগাম প্রতিরোধেও স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এখন নিয়মিত ডাব খাচ্ছেন। যার প্রভাব বাজারে সরাসরি পড়ছে। ভোরের আকাশ/আজাসা
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শেরপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি মো. মাহমুদুল হক রুবেল বলেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্যাতিত দল হচ্ছে বিএনপি। বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি মামলা হামলার শিকার হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। দেশের জন্য মানুষের জন্য ও গনতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে ঘুম, খুন ও হাজার হাজার মামলা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছে। এই নেতাকর্মীদের সামনে মূল্যায়ন করতে হবে। মাহমুদুল হক রুবেল শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবহিতকরণ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের জন্যে আলোচনা সভা ও দিনব্যাপী কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টায় ঝিনাইগাতীর আহমদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মাহমুদুল হক রুবেল আরো বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নিরাপত্তা ও ন্যায়ের প্রতীক। তাই বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর দায়িত্ব হলো—এই বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের বোঝাতে হবে, এই রূপরেখাই দেশকে সংকট থেকে মুক্তির পথ দেখায়।" তিনি আরও বলেন, “একটি মহল নির্বাচনকে বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তবে সেই অপচেষ্টা সফল হবে না। ইনশাআল্লাহ, সঠিক সময়েই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।"ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহ্জাহান আকন্দের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় কর্মী সমাবেশে উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন হাতিবান্দা, মালিঝিকান্দা ও গৌরিপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহণ করেন।এসময় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা আওয়ামীলীগের আমলে তাদের সাথে সংঘঠিত অতীতের দু:সহ স্মৃতিচারণ করেন। মামলা, হামলা ও জেল জীবনের কথা বলেন। আগামীদিনে বিএনপির সাংগঠনিক গতি বৃদ্ধি ও আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান, মো. আব্দুর রশিদ, মো. ছাইদুল হক, মো. আব্দুল মান্নান হীরা, মো. আতাউর রহমান, গৌরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল মুমিন, মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার আলী বেলাল, হাতীবান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন ও গৌরীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আক্রাম হোসেন প্রমুখ।ভোরের আকাশ/আজাসা
কালিহাতীর সেফাই নদী পাছ চারান অংশে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কচুরিপানা ও আবর্জনা অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খায়রুল ইসলাম । স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে তিনি নদী পরিষ্কারের নির্দেশ দেন।নদীটির উপর নির্মাণাধীন ব্রীজ হচ্ছে পাশেই যান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী ব্রিজ থাকায় এই অংশে দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা জমে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল এবং আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল। এছাড়া মাছ ধরায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছিল, যা স্থানীয় জেলেদের জীবনজীবিকায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছিল।স্থানীয় বাসিন্দা কালাম বলেন, এখানে ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী ব্রিজ থাকায় আমরা বহুদিন ধরে কচুরিপানা পরিষ্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে ইউএনও স্যার নিজে এসে দেখলেন এবং ব্যবস্থা নিলেন।ইউএনও খায়রুল ইসলাম বলেন, জনসাধারণের ভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন জনগণের পাশে আছে।ভোরের আকাশ/আজাসা