ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৫ ১১:৪১ এএম
শ্যামের ঘাট বেইলি ব্রিজ বেহাল, নজর দেয় না কেউ
ভোর রাতে কিংবা দিনে ট্রেন ধরার জন্য সময় স্বল্পতার কারণে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল কিংবা গণপরিবহনে যাওয়ার সময় সমানে পড়ে গর্ত। কেউ কেউ ব্রেক চেপে ধরে রেহাই পেলেও অনেকের গাড়ির চাকা ঢুকে পড়ে গর্তের ভেতর। এতে ঘটে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে অপরিচিত পথচারীরা প্রায়ই বেইলি ব্রিজে দুঘর্টনার ঝুঁকির শিকার হয়ে থাকেন। নীলফামারী জেলা ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের শ্যামের ঘাট এলাকার এই বেইলি ব্রিজটি ভারত থেকে আসা বুড়ি তিস্তার উপর নির্মিত।
বয়সের ভারে এবং যানবাহনের চাকার গতির ঘষায় ব্রিজটির বিভিন্নস্থানে ক্ষয় হয়ে ছিদ্র হয়ে গেছে। এই ছিদ্রে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গাড়ির চাকা আটকে দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। শ্যামের ঘাট বেইলি ব্রীজ ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের শহীদ জিয়া সড়কে অবস্থিত- যা ডিমলা উপজেলা থেকে ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ট্রেন স্টেশনে যাতায়াতের প্রধান সড়ক।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিন গভীর রাতে কিংবা দিনে কেউ না কেউ বেইলি ব্রিজে দুর্ঘটনা শিকার হয়ে থাকেন। স্থানীয়দের দাবি, কোনো জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারি কোনো লোক দুর্ঘটনা প্রবণ এই ব্রীজের প্রতি নজর দেন না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ও এলাকার বাসিন্দা জাফর হোসেন জাকির বলেন, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এই ব্রিজ সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, কিন্তু সমাধান মিলছে না। সর্বশেষ গত ৫ মে মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গণস্বাক্ষরের ভিত্তিতে শ্যামের ঘাট বেইলি ব্রিজের আশু সংস্কারের জন্য দরখাস্ত লিখি। কিন্তু এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া মিলছে না। যেকোনো মুহুর্তে এই ব্রিজে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের। জনস্বার্থে দাবি আদায়ের জন্য হয়তো বাধ্য হয়ে রাস্তা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে।
বালাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে আগেও অনেকবার ব্রিজটি মেরামত করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাই, কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। হয়তো কেউ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা না গেলে ব্রিজের সংস্কার হবে না- এভাবেই তীর্যক মন্তব্য করেন তিনি।
ভোরের আকাশ/আজাসা