ছবি: ভোরের আকাশ
বগুড়ার সারিয়াকান্দির ছাইহাটা ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণ বুধবার বিকেলে পরিণত হয়েছিল এক অনন্য উৎসবে। বিদায়ী অধ্যক্ষ মো. আওরঙ্গজেব স্বপনকে বিদায় জানাতে হাজারো মানুষের সমাগমে কলেজ মাঠে তৈরি হয় ব্যতিক্রমী আবহ। তবে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল—শিক্ষার্থীদের প্রিয় এই অধ্যক্ষকে হাতির পিঠে চড়িয়ে দেওয়া বিদায়ী সংবর্ধনা।
৩ দশকের দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানলেন আওরঙ্গজেব স্বপন। বিদায়ী মুহূর্তে তার প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। কেউ ফুল হাতে, কেউবা ফলমূল ও উপহার নিয়ে ছুটে আসেন। এমনকি অনেকেই প্রিয় শিক্ষকের জন্য নিজ হাতে রান্না করা খাবার নিয়ে আসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট নূর-এ-আজম বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মো. আবুল কালাম আজাদ এবং প্রতিষ্ঠাতা মো. মিল্লাত হোসেন মিঠু। কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আওরঙ্গজেব স্বপন শুধু একজন অধ্যক্ষ ছিলেন না; তিনি ছিলেন এলাকার আলোকবর্তিকা। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি শত শত ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন, তৈরি করেছেন সুদক্ষ নাগরিক।
অধ্যক্ষ স্বপনের সহধর্মিণী মনিজা বেগম ও ছেলে আদনান সৌরভ বক্তব্য রাখতে গিয়ে অশ্রুসজল হয়ে পড়েন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান আকন্দ ও মিজানুর রহমান। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মিল্লাত হোসেন মিঠু বলেন,
“একজন শিক্ষককে সম্মান জানাতে আমরা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছি। হাতির পিঠে বিদায় দিয়ে আমরা তার অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। গোটা এলাকাকে তিনি শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছেন।”
বিদায়ী বক্তৃতায় আওরঙ্গজেব স্বপনের কণ্ঠও ছিল ভারী। তিনি বলেন— “কর্মজীবনে ভাবিনি এত সম্মান পাবো। এই এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আজকের এ আয়োজন আমাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অনুপ্রাণিত করবে।”
পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে আবেগ আর ভালোবাসার মেলবন্ধন তৈরি হয়। শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ছিল গর্ব ও আনন্দের ছাপ। শিক্ষককে বিদায় জানানোর এই ব্যতিক্রমী আয়োজন ছাইহাটা ডিগ্রি কলেজে সৃষ্টি করেছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
আসন্ন শারদীয় শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা ও উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস. এম. সাইদুল ইসলাম কিসমত এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাঈদ খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এলিজা জামান, পিরোজপুর আদালতের জিপি এডভোকেট সাব্বির আহম্মেদ সহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবুল হালদার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র শেখর হালদার, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ দিলীপ কুমার মিস্ত্রী, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দোহা গুহ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আহ্বায়ক অশোক কুমার শিকদার।মতবিনিময় সভায় বক্তারা আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখা এবং উৎসবকে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/মো.আ.
জুলাই জাতীয় সনদ ও পিআর পদ্ধতির ভিত্তিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা পরিষদ মার্কেট প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি জেলা শহরের কালিবাড়ী মোড়, হাসপাতাল রোড, টি.এ রোডসহ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়।সমাবেশে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোবারক হোসেন আকন্দের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক জুনায়েদ হাসান, প্রচার সম্পাদক মো. রোকন উদ্দিন, যুব ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী প্রথা দূর করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। অথচ একটি রাজনৈতিক দল এখনো পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সম্পর্কে অজ্ঞ। আমরা মনে করি, তারা রাজনৈতিকভাবে এখনো অপরিপক্ব।’তারা আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার করতে হবে। একইসঙ্গে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।"বক্তারা আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।ভোরের আকাশ/মো.আ.
গাজীপুরের শ্রীপুরে সাধারণ মানুষের সমস্যা রোধে করণীয় শীর্ষক গ্রাম্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে গ্রামীণ জনপদের সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষসহ বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়ে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানান প্রধান অতিথির কাছে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধাই বাজারে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামীণ বৈঠককে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক আতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শাহাবুদ্দিনের পরিচালনা প্রধান অতিথি বলেন, আজ এই জনপদের মানুষ তাদের যে কথাগুলো বলছেন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে মাদকের ভয়াবহতা ।মাদকের করালগ্রাসে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ।প্রতিটা পরিবারে বিরাজ করছে অশান্তি। মাদককে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি অবহেলিত এই জনপদের জনগোষ্ঠীর চলাচলের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন অবশ্যই করা ছিলো গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দাবী। বৈঠকে ডা. বাচ্চু বলেন আমাদের কোন নেতাকর্মীর মধ্যে মাদকের সংশ্লিষ্টতা থাকলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাছাড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক কিভাবে আরও ভালো করা যায় সেজন্য কাজ করছে বিএনপি।এসময় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল মোতালেব, যুগ্ম আহবায়ক মোসলেম উদ্দিন, আবু জাফর, উপজেলা বিএনপির সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাই স্বপন, কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন, কামরুল হাসান প্রমুখ। এসময় এই জনপদের কয়েক শতাধিক মানুষ অংশ নেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন যে, পিআর পদ্ধতির দাবিতে চলমান আন্দোলন এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল পার্টির (এনসিপি) প্রতীক নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহিদ সাটুহল মিলনায়তনে একটি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের এই মন্তব্য করেন।নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক এই কর্মশালাটির আয়োজন করে সিবিটিইপি প্রকল্প।আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বিদ্যমান আইনেই কমিশন সমস্ত কাজ করে যাচ্ছে এবং করবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করতে পারে না ও করবে না। সুতরাং আইনে যেভাবে আছে, নির্বাচন কমিশন সেভাবেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা মনে করি ত্রয়োদশ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন সদা প্রস্তুত।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরও জানান, কমিশন নিবিড়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে যেন অতীতের নির্বাচনে যারা অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের এবার নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা যায়।কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ এবং পুলিশ সুপার রেজাউল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.