চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:০৪ পিএম
ছবি : ভোরের আকাশ
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চিতলমারী প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে অসহায় মানুষের হাতে এ বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। এ মহৎ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছে দুর্বার উন্নয়ন সংস্থা।
অসহায়দের মুখে হাসি
চিতলমারীর বিভিন্ন গ্রামের অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশুদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হলে তাদের মুখে ফুটে ওঠে আনন্দের হাসি। উৎসবের এ সময়ে নতুন কাপড় পেয়ে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আয়োজকদের জন্য দোয়া করেন। সুবিধাভোগীরা জানান, এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে তারা শুধু কাপড়ই পাননি, বরং ভালোবাসা ও সামাজিক বন্ধনের প্রতিফলন পেয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিতলমারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি একরামুল হক মুন্সি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন (প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দুর্বার উন্নয়ন সংস্থা), সহ-সভাপতি এসএম শহীদুল হক টিপু, সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স মন্ডল অলিফসহ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন সদস্যবৃন্দ।
বিতরণ শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রেস ক্লাবের সভাপতি একরামুল হক মুন্সি বলেন, চিতলমারী প্রেসক্লাব শুধু সংবাদ সংগ্রহ বা প্রচারেই সীমাবদ্ধ নয়। আমরা সবসময় চেষ্টা করি সমাজের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে। শারদীয় দুর্গাপূজার আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ভবিষ্যতেও প্রেসক্লাব সমাজের কল্যাণে সবসময় কাজ করে যাবে।
দুর্বার উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, মানবতার সেবাই আমাদের মূল লক্ষ্য। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারাটাই আমার জীবনের আনন্দ। প্রেসক্লাবের এই মহৎ উদ্যোগে পাশে থাকতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি, এমন কার্যক্রম সমাজে মানবিকতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
সুবিধাভোগীরা বলেন, আমাদের কথা খুব কম মানুষ ভাবে। উৎসবের আগে নতুন কাপড় পেয়ে আমরা সত্যিই খুশি। চিতলমারী প্রেসক্লাব ও দুর্বার উন্নয়ন সংস্থার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুন।
শুধু সংবাদ প্রচারে সীমাবদ্ধ না থেকে মানবিক কাজেও চিতলমারী প্রেসক্লাব এগিয়ে আসায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। সমাজের অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোও এ ধরনের মানবিক কাজে এগিয়ে আসবে বলে স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন।
ভোরের আকাশ/মো.আ.