কসবায় ৮২ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সীমান্তে এক অভিযানে প্রায় ৮২ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য আটক করেছে বিজিবি।
বুধবার (৭ মে) সকালে এ অভিযান চালানো হয়। উপজেলার মন্দবাগ এলাকা থেকে আটক করা এসব পণ্য আখাউড়া কাস্টমসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান বলেন, জব্দ করা পণ্যের মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ২৩০ পিস বাজি, হার্ডন ব্লু ক্যাপসুল, গোল্ড বিচ ক্রিম, মেহেদী রয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ ভারতীয় মালামাল আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালানরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
ভোরের আকাশ/আমর
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশে বিভিন্ন ঋতুতে ফোটে নানা রকম ফুল। এসব ফুলের সৌন্দর্যে আরও বেশি দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে প্রকৃতি। এমনই এক ফুল ‘সোনালু’। কুমিল্লার কোটবাড়ী নন্দনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকে চোখে পড়ে হলুদ সোনালুর মেলা। এর রূপ-উজ্জ্বলতা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে অলংকৃত করেছে স্বর্ণালি আভায়।পিচঢালা এ মহাসড়কে যেতে যেতে সারি সারি গাছে সোনালু ফুলের মুগ্ধতায় মোহিত করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। অনেকেই গাড়ি থামিয়ে সোনালু ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছেন, কেউ আবার ভিডিও বানাচ্ছেন। মহাসড়ককে রঙিন করে তোলা ঝুমকার মতো ঝুলে থাকা এ ফুলের মোহনীয় রূপে বিমোহিত হচ্ছেন ঢাকা-চট্টগ্রামে চলাচলকারী নানা বয়সী মানুষ। ১০০ কিলোমিটার জুড়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে চোখে পড়ে প্রকৃতির এক অনবদ্য সাজ। সড়কের পাশে সভা পাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, কাঞ্চন আর করবীর মতো রঙিন ফুলের গাছ, যা বৈশাখের প্রান্তে এসে যেনো প্রকৃতির মহোৎসবে পরিণত হয়েছে।দাউদকান্দি থেকে শুরু করে ফেনীর মোহাম্মদ আলী সড়ক পর্যন্ত মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে সৃষ্টি হয় এক মনোরম দৃশ্য পথ। সড়কের চলাচলকারী যাত্রীরা এই সৌন্দর্যে অভিভূত, যেনো পথের ক্লান্তি মিলিয়ে গেছে ফুলের হাসিতে। এমন পরিবেশ গড়ে তোলার নেপথ্যে রয়েছে সড়ক বিভাগের পরিকল্পিত উদ্যোগ। রোপণ করা হয়েছে ফুল ফোটানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যেখানে গাছ নষ্ট হয়েছে সেসব স্থানে নতুন গাছ লাগানোর কাজও চলছে।নান্দনিকতা ছাড়াও এই গাছগুলো মহাসড়কের নিরাপত্তায়ও ভূমিকা রাখছে। রাতে বিপরীত দিক থেকে আশাগারির হেডলাইটের তীব্র আলো নিয়ন্ত্রণ করে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাচ্ছে এই গাছগুলো। তবে সৌন্দর্য্য টিকিয়ে রাখতে দরকার নিয়মিত পরিচর্যার। স্থানীয়দের প্রত্যাশা সড়ক বিভাগের এই উদ্যোগ যেনো রক্ষিত থাকে পরিচর্যার মাধ্যমে, যাতে মহাসড়ক শুধু যাত্রত পথ নেই, হয়ে ওঠে এক সুন্দর অভিজ্ঞতার নাম।সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমিল্লার কোটবাড়ী নন্দনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিভাজকে সোনালি রঙের আভা ছড়িয়ে ফুটে আছে থোকায় থোকায় সোনালু ফুল। এ ফুলের চোখজুড়ানো সৌন্দর্য যেন হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকছে ফুলপ্রেমীদের। সবুজ পাতা ছাপিয়ে দৃশ্যমান হওয়া কানের দুলের মতো সোনালি ফুলগুলো দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে বাসের যাত্রীদের। সোনালু ফুলের অলংকার পরে গ্রীষ্মের প্রকৃতি নতুন রূপে যেন সেজে উঠেছে। গ্রীষ্মের রোদে এ ফুলের নৈসর্গিক সৌন্দর্য যেন বেড়ে যায় বহুগুণ। এ ফুল গ্রামীণ প্রকৃতিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।জানা গেছে, সোনালু এ দেশে একটি পরিচিত গাছ। এ গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যাসিয়া ফিস্টুলা। এর ইংরেজি নাম গোল্ডেন শাওয়ার ট্রি। এটি ভারতীয় উপমহাদেশে ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি স্থানীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ। পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট এ গাছের হলুদ ফুল দেখতে বেশ সুন্দর। মাঝারি আকৃতির এ গাছের উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ ফুট হয়ে থাকে। বসন্তে এ গাছ পত্রশূন্য থাকে। বৈশাখে নতুন পাতা গজায় ও এ গাছে ফুল আসে। হলুদ বরণ সোনালু ফুল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি এর আছে বাহারি অনেক নাম। এসব নামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল, বান্দরলাঠি। সোনালুর ফুল, ফল ও পাতা বানরের প্রিয় খাবার। এর কাঠের রং ইটের মতো লাল। এই গাছ ঢেঁকি, সাঁকো বানানোর কাজে বেশি ব্যবহার করা হয়।কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকার ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রামে একসময় অনেক সোনালু গাছ দেখা যেত। আমাদের ঘরবাড়ির চারপাশেও ছিল অনেক গাছ। এখন খুঁজলে মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি পাওয়া যাবে। হয়তো কাঠ খুব একটা দামি নয় বলে কিংবা গাছটি খুব ধীরে বাড়ে বলেই কেউ আর তেমন উৎসাহ নিয়ে সোনালু গাছ রোপণ করেন না।কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, ব্যস্ততম ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে হলুদ রঙের বাহারি সোনালু। গাছ হলুদ ফুলে বর্ণিল থাকায় চলাচলের সময় মানুষ মুগ্ধ হচ্ছেন। যে কারণে চলাচলকারীরা এখন সোনালু ফুলের সুবাস নিতে নিতে গন্তব্যে যেতে পারছেন। গ্রীষ্মকালে জারুল, কৃষ্ণচূড়ার মতো এ সোনালু ফুল প্রকৃতি আমাদের উপহারস্বরূপ দিয়েছে। তবে প্রকৃতিকে সাজাতে আমাদেরও সবার এগিয়ে আসা উচিত।কুমিল্লা সিটি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আবদুল হান্নান বলেন, মধ্যম আকৃতির সোনালু এ দেশের স্থায়ী বৃক্ষ। সোনালুর ফুলে পাপড়ি থাকে পাঁচটি। এটির পুংকেশর ১০টি এবং দীর্ঘ মঞ্জুরি দণ্ড আছে। বসন্তে এটি পত্রশূন্য থাকে। গ্রীষ্মকালের বৈশাখে নতুন পাতা গজায়। প্রকৃতিতে শোভাবর্ধনে সোনালুর জুড়ি নেই। সোনালু ওষুধি বৃক্ষের তালিকাভুক্ত গাছ। সোনালুগাছের পাতায় ও বাকলে ওষুধি গুণাগুণ আছে। বিশেষ করে, এর ফল বাত, বমি ও রক্তস্রাব প্রতিরোধে কাজ করে। এটি ডায়রিয়াও বহুমূত্র রোগের চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়।সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, মহাসড়কের সৌন্দর্যবর্ধন এবং রাতের বেলায় বিপরীত দিকের গাড়ির হেডলাইটের আলো যেন চালকের চোখে না পড়ে এ জন্য বিভাজকের বিভিন্ন ধরনের গাছের পাশাপাশি ফুলগাছ রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, হৈমন্তী, কুর্চি, টগর, রাধাচূড়া, কাঞ্চন, কদম, বকুল, পলাশ, কবরী, ক্যাসিয়া ও জারুলসহ প্রায় ৫৪ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া সড়ক স্লোপে জলপাই, অর্জুন, কাঁঠাল, মেহগনি, শিশু, আকাশমণি, চালতা, নিম, একাশিয়া, হরিতকীসহ ওষুধি ও ফলজ বিভিন্ন প্রজাতির ৪২ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। এসব গাছ পরিচর্যায় জন্য শ্রমিক রয়েছে। তারা নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছেন। ভোরের আকাশ/আজাসা
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, আমাদের এখন মূল লক্ষ্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে গড়ে তোলা। এ জন্যে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া চর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।আশিক চৌধুরী বলেছেন, আমাদের এখন মূল লক্ষ্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। বাংলাদেশকে মেনুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে গড়ে তোলা। এ জন্যে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বন্দরসমূহের উন্নয়ন জরুরি। এজন্য বিশ্বসেরা বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমাদের কাজ করতে হবে।তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ল্ডের যারা টপ পোর্ট অপারেটর তাদের আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের ল্যান্ড লিমিটেড, ক্যাপাসিটি লিমিটেড, সেই লিমিটেড ক্যাপাসিটিকে যাতে আমরা বেস্ট ইউটিলাইজ করতে পারি।এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাভারে বাবাকে হত্যার পর জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে আত্মসমর্পণ করেছে মেয়ে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভোরে সাভার পৌর এলাকার মজিদপুর কাঠালবাগানে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আব্দুস সাত্তার, তিনি নাটোর জেলার সিংড়া থানার ভগা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। আটক জান্নাত জাহান শিফা তারই মেয়ে। প্রায় ৫ মাস আগে তারা ওই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন বলে জানা গেছে।জান্নাত জাহান শিফা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছে, তার বাবা তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। এর জের ধরেই গত বুধবার রাতের খাবারের সময় বাবার ভাতের মধ্যে ২০টি ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। পরে বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। গত ২০২২ সালে নাটোরের সিংড়া থানায় বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তিনি। দীর্ঘদিন জেলখেটে জামিনে মুক্ত হন আব্দুস সাত্তার।সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার আব্দুর রশিদ বলেন, আজ ভোর চারটার দিকে ৯৯৯ এর একটি ফোন আসে। জান্নাত জাহান শিফা নামের এক নারী বলেন তার বাবাকে তিনি হত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে তাকে গ্রেফতারের জন্য বলেন। তার দেওয়া খবরেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে জান্নাতকে আটক করা হয়েছে।সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোরওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সাভার মডেল থানায় জান্নাতের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধের পুরো দুই কিলোমিটার অংশ ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। ভাঙনের ফলে নদী বাঁধের কাছে চলে আসায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ভাঙনের মুখে রয়েছে পদ্মা সেতুর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, নাওডোবা-পালেরচর সড়ক, মঙ্গল মাঝি-সাত্তার মাদবর বাজার ও চারটি গ্রামের অন্তত ৫৫০ বসতবাড়ি। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বাঁধের বিভিন্ন অংশ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর নভেম্বরে ওই বাঁধের জাজিরা প্রান্তের নাওডোবার জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১০০ মিটার অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে। এরপর বাঁধটিতে সমীক্ষা চালায় পাউবো ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। এতে দেখা যায়, এক কিলোমিটার অংশে বাঁধের কাছে নদী গভীর। সেখানে তলদেশ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। আর বাকি ১ কিলোমিটার অংশের বাঁধের কাছে নদী চলে এসেছে। সেখানেও মাটি ভেঙে নদীতে পড়ছে।পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে পদ্মা নদী থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে সার্ভিস এরিয়া-২, সেনানিবাস, পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ওই সব অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০১২ সালের দিকে জমি অধিগ্রহণের সময় নাওডোবা এলাকায় পদ্মার ভাঙন শুরু হয়। পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকা নদীভাঙনের কবল হতে রক্ষা করার জন্য তখন সেতু থেকে ভাটির দিকে ২ কিলোমিটার এলাকায় ১১০ কোটি টাকা ব্যায়ে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন কুমার বণিক বলেন, গত বছর ওই বাঁধের যে ১০০ মিটার অংশ বিলীন হয়েছিল, তা সংস্কার করা হচ্ছে। ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। এর বাইরেও বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকি রয়েছে।স্থানীয় জামাল হোসেন, মামুন মাঝি ও পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন খান বলেন, বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। বাঁধটির পাশে মহর আলী মাদবরবান্দি, আলম খাঁরকান্দি, ওছিম উদ্দিন মাদবরকান্দি ও কালাই মোড়লকান্দি গ্রাম অবস্থিত। এ ছাড়া মঙ্গল মাঝি-সাত্তার মাদবর বাজার রয়েছে। বাঁধের পাশ দিয়ে নাওডোবা-পালেরচর সড়ক রয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে জাজিরার নাওডোবা, পালেরচর, বড়কান্দি, জাজিরা ও বিলাশপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। দ্রত বাঁধটি সংস্কার না করা হলে এলাকার পাশাপাশি পদ্মা সেতুর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়বে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক হাসান বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধটি সেতু বিভাগ নির্মাণ করেছিল ১২-১৩ বছর আগে। ওই বাঁধে সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাতে বাঁধটি এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত হয়েছে। বাঁধটি মজবুতকরণ করার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাঁধটি মজবুতকরণ করা না হলে ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে। ভোরের আকাশ/আজাসা