ছবি: ভোরের আকাশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাদ হত্যা মামলায় ধামরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেনসহ আওয়ামী লীগ- যুবলীগ-ছাত্রলীগের অন্তত ৫ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম। এর আগে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভারের নবীনগরের একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন - ধামরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাদ্দেছ হোসেন (৫৮), ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ধামরাই পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক সুজন (৪৫), ধামরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান (৪২), নবযুগ কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম (৩০) ও ছাত্রলীগ নেতা আহাদ হোসেন (৩২)।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল ও কলেজ গেটের সামনে নির্বিচারে গুলি করা হয়। এ সময় কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন দিন পর ৮ আগস্ট সকালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাদের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট স্থানীয় সাবেক এমপি বেনজীর আহমদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৮২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গ্রেপ্তাররা এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন।
ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতা আসলে এলাকায় উন্নয়ন হবে। বিশেষ করে বলে যেতে চাই রাঙ্গাবালী উপজেলা একটি দুর্গম দ্বীপ এলাকা। চার দিকে নদী বেষ্টিত যোগাযোগের অবস্থা খারাপ। আপনারা দোয়া করেন বিএনপি ক্ষমতা আসলে এ এলাকার রাস্তার ঘাটের পরিবর্তন হয়ে যাবে।জাহাজমারা পর্যটন এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের দরকার। ইনশাআল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অবশ্যই মানুষ বিএনপিকে ভোট দিবে। আপনারা দেখেছেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিএনপি যে দায়িত্বশীল দল সেটির পরিচয় দিয়েছে। আমরা এখন ক্ষমতায় নেই তার পরেও মানুষ বিএনপি'র কাছে যায়। তারা মনে করে এ দলের কাছে। গেলে যেকোনো সম্যসার সমাধান করতে পারবো।৫ই আগস্টের পরে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের নিরপত্তা দিয়েছি, যাতে দেশে কোনো বিশৃঙ্গলা তৈরি না হয়। সভায় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে আসন্ন নির্বাচনে দলের সম্ভাবনা, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং মাঠপর্যায়ে কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন তিনি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দুর্গম দ্বীপ এলাকা মেীডুবী ইউনিয়নের স্থানীয় বাজারে আয়োজিত এক জনসভায়।এ ছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. রহমান ফরাজি, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহিদ নান্নু মুন্সি, মৌডুবী ইউনিয়ন সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ মৃধা, মৌডুবী ইউনিয়ন সিনিয়র সভাপতি কে এম বেল্লাল হোসাইন, মৌডুবী ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক মো. কামরুল হাসান, রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হাওলাদার, রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ খোকন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মাহমুদ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহানুর রহমান সোহাগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
টাঙ্গাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের বিভাগীয় ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) ২২তম ব্যাচের বাধ্যতামূলক ইন-সার্ভিস প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেনিং সেন্টারের প্যারেড গ্রাউডে এ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) মোহাম্মদ আশফাকুল আলম।অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি আশফাকুল আলম প্যারেড কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. এইচএম কামরুজ্জামান, পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) আফম আল কিবরিয়া প্রমুখ।এছাড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অন্যন্য অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এবার ২২তম ব্যাচের মোট প্রশিক্ষনার্থী ছিলেন ২৭৬ জন।প্রধান অতিথি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) মোহাম্মদ আশফাকুল আলম বলেন, বিশ্বায়নের প্রভাব ও প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অপরাধের প্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে আর পুলিশকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। তাই যেকোনো অপরাধের রহস্য উদঘাটন, অপরাধী সনাক্তকরণ ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একজন সফল তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা ও মানবাধিকার রক্ষার মাধ্যমে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে ব্রতী হওয়ার আহবান জানান তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপজেলা পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ উপলক্ষে কো অডিনেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইশতিয়াক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোলায়মান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কাউখালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ শহিদুজ্জামান, উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা এবাদত হোসেন, জাতীয় ইমাম সমিতি কাউখালী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনের দায়িত্ব পালন করেন ইপিআই টেকনোলজিস্ট এবিএম আনিসুল হক।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য টিকা প্রদান করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে টিকা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইশতিয়াক আহমেদ জানান, কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিসিভি ক্যাম্পেইন লক্ষ্যমাত্রা ১৩ হাজার ৩০৮জন ও কমিউনিটি পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৫৫৯ জন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন চলবে ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। কমিউনিটি পর্যায়ে ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। উপজেলায় মোট ১২০টি টিকাদান কেন্দ্র চলমান থাকবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ৮ অক্টোবর বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিপুল সংখ্যক কিশোরীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।"আমি কন্যা শিশু, স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি" এবছরের এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে দেশব্যাপী একযোগে দিবসটি পালিত হয়। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডাঃ তামান্না তাসনীম সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা।বিআরডিবি কর্মকর্তা দিলারা আক্তার মনি ফকিরের পরিচালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোঃ নাহিদুল হক, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য মাওলানা শেফাউল হক, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার তামান্না রশিদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রহিমা খাতুন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার আবু সাঈদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের নেতা রাশেদ রবি, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রত্না আক্তার, তথ্যসেবা কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা প্রমুখ।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান নারী অধিকারের যুগে, সুশাসনের ও মানবাধিকারের যুগে কন্যা সন্তানের প্রতি অবহেলা আগের তুলনায় অনেক কমলেও তা যে একেবারে নেই, তা বলা যাবে না। এ ধরনের মানসিকতা এখনো আমাদের সমাজ থেকে পুরোপুরি দূর হয়নি। ক্ষেত্র বিশেষে কন্যা সন্তানের প্রতি আগ্রহ বাড়লেও সামাজিকভাবে কন্যা সন্তানের অভিভাবকরা কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে থাকেন। বিশ্বজুড়ে নারী ও কন্যা-শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও নৃশংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে।বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের বয়স আঠারো বছরের কম। আর শিশুদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ কন্যা-শিশু যাদের পিছনে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কন্যা-জায়া-জননীর বাইরেও কন্যা-শিশুর বৃহৎ জগত রয়েছে।স্বাধীনভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করা ছাড়াও পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন করা সম্ভব। এজন্য কন্যা-শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ বেড়ে ওঠার সব অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।বাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানতম অন্তরায় এবং আমাদের সমাজ কন্যা শিশুদেরকে বোঝা মনে করে। কন্যা শিশুদের পড়াশোনার পেছনে টাকা খরচ করতে চায় না। তারা মনে করে বিয়ে দিতে পারলে বোঝা দূর হয়ে গেল। তবে সময় অনেক বদলেছে। কন্যা শিশুরা এখন আর বোঝা নয়। বরং কন্যা শিশুরা হলো সর্বোত্তম বিনিয়োগ ও সমাজের আলোকবর্তিকা।ভোরের আকাশ/মো.আ.