পাথরঘাটায় কোটি টাকার প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ
বরগুনার পাথরঘাটায় কাবিখা, কাবিটা ও টিআর প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও মাঠপর্যায়ে এর বেশিরভাগ কাজের কোনো অস্তিত্ব নেই। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রায় ১৫০টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল ৪ কোটি ২১ লাখ ৭৯ হাজার ৩১৫ টাকা। কিন্তু সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দৃশ্যমান কাজ হয়েছে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার মতো।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি প্রকল্প শুরুর আগে সাইনবোর্ড স্থাপন বাধ্যতামূলক হলেও কোথাও তা পাওয়া যায়নি। অনেক রাস্তা ও অবকাঠামোর জন্য বড় অঙ্কের বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাস্তবে কাজ হয়নি। বরং কিছু জায়গায় অল্প কিছু উপকরণ ফেলে প্রকল্প সম্পন্ন দেখিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়েছে।
সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তায় মাটি ভরাট, সংস্কার ও চাল-গম সরবরাহের জন্য একাধিক প্রকল্পে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও সেগুলোর অধিকাংশই বাস্তবে অকার্যকর রয়ে গেছে। কিছু ক্ষেত্রে একই রাস্তায় একাধিকবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া কিছু প্রকল্পেও অল্প কাজ করে পুরো বরাদ্দের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের একজন প্যানেল চেয়ারম্যানের নামে নিয়মবহির্ভূতভাবে একসঙ্গে ৯টি প্রকল্পের সভাপতির দায়িত্ব দেখানো হয়েছে এবং এসব প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রশাসনিক তদারকির অভাবে এসব অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চললেও এখন তা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় এ বিষয়ে স্পষ্ট জবাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কাজ না হলে বরাদ্দের টাকা ফেরত আনা হবে।
স্থানীয়দের দাবি, উন্নয়নের নামে সরকারি অর্থ লুটপাট বন্ধ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের দুর্নীতি অব্যাহত থাকবে এবং প্রকল্পের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে না।
এদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক এই ঘটনাকে নজিরবিহীন দুর্নীতি দাবি করে সঠিক তদারকি ও আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
উচ্চ আদালতের রায়ে গাজীপুর-৬ সংসদীয় আসন বিলুপ্ত হয়ে পুনর্গঠিত গাজীপুর-২ আসনের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপির মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে গাজীপুরে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজপথ।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্যোগে এক বিশাল মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড বাজার ও বড় বাড়ি এলাকা প্রদক্ষিণ করে। টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী সরকার পরিবারের ঐক্যের প্রার্থী, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সালাহ উদ্দিন সরকারের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই মশাল মিছিলটি ।মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বলেন, গাজীপুর-৬ আসন বিলুপ্তির ফলে গাজীপুর-২ আসনের ভৌগোলিক, ভোটার ও রাজনৈতিক কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে প্রায় আট লাখ ভোটারের এই আসনের বৃহত্তম অংশ টঙ্গী, গাছা ও পূবাইল এলাকায় অবস্থান করলেও সেই বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হলে তা দলীয়ভাবে আত্মঘাতী হতে পারে। মিছিল চলাকালে রাজপথ মুখরিত হয়ে ওঠে ভোটার বাস্তবতা মানতে হবে, গাজীপুর-২-এ ন্যায্য মনোনয়ন চাই, ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। এমন স্লোগানে।নেতাকর্মীরা দৃঢ় কণ্ঠে জানান, টঙ্গী-কেন্দ্রিক নেতৃত্ব দীর্ঘদিন ধরে এই আসনে শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত গড়ে তুলেছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, এই অঞ্চল থেকেই অতীতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। সেই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা ও সাংগঠনিক শক্তিকে অগ্রাহ্য করা হলে নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপির বিজয় সম্ভাবনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তাঁরা আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনামলে গাজীপুরের বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে জেল-জুলুম, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেই ত্যাগ, পরীক্ষিত নেতৃত্ব ও রাজপথের অবদান বিবেচনায় নিয়েই মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা হওয়া উচিত।মশাল মিছিল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়ে বলা হয়—পুনর্গঠিত গাজীপুর-২ আসনের বর্তমান ভোটার বাস্তবতা ও রাজনৈতিক সমীকরণ বিবেচনায় নিয়ে মনোনয়ন পুনর্মূল্যায়ন করা হোক।এ মশাল মিছিলে নেতৃত্ব দেন গাছা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মোংলা সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন, আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার। বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের নৌ- যোগাযোগ কেন্দ্রে রুপান্তিত করতে গ্রহণ করা হয়েছে ৯টি বড় মেগা প্রকল্প। তা থেকে ৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, এরই মধ্যে নতুন করে ২টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।আরো ৩টি প্রকল্প একেনেকে অনুমোদনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দরের বহুমুখী টেকসই উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজে আসবে। ব্যবসায়ীদের হবে লাভজনক ও ব্যবসা বান্ধব প্রতিষ্ঠান, রাজস্ব আয় দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতেও আঞ্চলিক কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে উঠবে মোংলা সমুদ্র বন্দর। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায় বঙ্গোপসাগরের উত্তর উপকূলে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা। এ বন্দরকে আধুনিকায়ন ও কার্যক্রম স¤প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকার।২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ৫ হাজার ৬০৬ কোটি ৪১ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয় মোংলা বন্দরের সুবিধাদির স¤প্রসারণ ও উন্নয় এবং বন্দরের চ্যানেল সংরক্ষণ ড্রেজিং নামের ২টি মেঘা প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্প দু’টি শেষ হলে পণ্য খালাস -বোঝাই ও সাড়ে ৯ থেকে ১০ মিটারে জাহাজ বন্দর চ্যানেল দিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারবে অনায়াসে। ফলে এক কোটি ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও চার লক্ষ টিইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে।এছাড়া পূর্বের গ্রহণ করা ৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা ব্যায়ে মোংলা বন্দরের সহায়ক জলযান সংগ্রহ, পশুর চ্যানেলে ইনারবার ড্রেজিং, আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট ও ২টি অসম্পূর্ণ জেটি নির্মাণ নামে ৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। বন্দরকে আরো গতিশীল করতে নতুন করে ৩টি বড় প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।প্রকল্পগুলোর মধ্যে “পশুর চ্যানেল শাসন ও স¤প্রসারণের জন্য সমীক্ষা”, “ট্রেলিং সাকশন হপার ও কাটার সাকশন ৩টি ড্রেজার ক্রয়” ও উন্নয়ন সেবা সহায়ক ২টি মুরিং বোট সংগ্রহ করা” প্রকল্প। প্রকল্পগুলো শেষ হলে চ্যানেলে নাব্যতা রক্ষা, পন্য বোঝাই জাহাজ দ্রুত ভিড়ানো ও ত্যাগ করা, বন্দরের কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট, স্টিভিডরস ও শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি অন্যান্য বন্দরগুলো সাথে প্রতিযোগিতামূলক বন্দর, আধুনিক ও বিশ্বমানের নৌ-যোগাযোগ কেন্দ্রে রুপান্তিত হবে মোংলা সমুদ্র বন্দর। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য অর্থ ও পরিচালক প্রশাসন-(উপ-সচিব) কাজী আবেদ হোসেন বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘মোংলা বন্দরে আধুনিক বর্জ্য ও তেল নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পটি চলতি বছরের জুনে সম্পন্ন করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জাহাজ ও আশপাশের শিল্পকারখানাগুলোর বর্জ্য পরিবেশবান্ধব উপায়ে সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করা হবে। এটি সমুদ্রদূষণ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক ‘মারপল কনভেনশন’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা সুন্দরবন ও পশুর চ্যানেলকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। বাকি চারটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজও দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে।চলমান এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে-জরুরি সেবা ও কার্যকর পরিচালনার জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ, পশুর চ্যানেলের ‘ইনার বার’ এলাকায় ৮.৫ মিটার গভীরতা অর্জনের লক্ষ্যে ড্রেজিং করা, যাতে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজগুলো ওই চ্যানেল দিয়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে। তিনি আরও বলেন, চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পর জেটিতে অতিরিক্ত ১০০ থেকে ১৫০টি জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। ফলে জাহাজের পন্য খালাস-বোঝাই সক্ষমতা দ্বিগুণ হবে।বন্দর সূত্রে জানায়, বর্তমানে মোংলা বন্দরে জাহাজজট নেই। ফলে বন্দর ব্যবহারকারীরা ভালো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। গাড়ি আমদানিকারকদের জন্য বিশেষ সুবিধা, সাতটি কন্টেইনার ইয়ার্ড। এছাড়া ৩৮টি সহায়ক জলযান (যেমন-টাগবোট,পাইলট বোট, সার্ভে বোট, ড্রেজার) রয়েছে। আন্তর্জাতিক ‘শিপ অ্যান্ড পোর্ট ফ্যাসিলিটি সিকিউরিটি (আইএসপিএস)’ কোড অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহল এবং সহজলভ্য সড়ক, রেল ও নৌপথে পণ্য পরিবহনের ব্যাপক সুযোগও রয়েছে মোংলা বন্দরে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের বার্ষিক সক্ষমতা হলো ১,৫০০টি জাহাজ হ্যান্ডলিং, এক কোটি ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন কার্গো, ১ লাখ টিইইউ কনটেইনার এবং ২০ হাজার গাড়ি হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা রয়েছে মোংলা বন্দরে।এছাড়া জেটিতে ৮.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর সক্ষমতা, ১৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেলে পানির ওপরে ভাসমান নৌযান সংকেত যন্ত্র ও টাওয়ার দিয়ে রাত-দিন নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা, বিদেশি জাহাজের জন্য ৪৯টি নির্ধারিত বার্থিং পয়েন্ট, ১৩৪টি আধুনিক কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্র, নিরাপদ সংরক্ষণ ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু রয়েছে, যার আওতায় অনুমতি, বিল, ইনডেন্টিং, যন্ত্রপাতি বুকিং ও পেমেন্ট একই জায়গায় করতে পারছে ব্যাবসাযীরা। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে মোংলা বন্দরের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দর দিয়ে নেপাল, ভুটান, চীন ও ভারতের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। বর্তমানে প্রতিবেশী দেশগুলোর আগ্রহের কারণে বন্দরের ওপর চাপ বাড়ছে। এজন্য এর সস¤প্রসারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারের গ্রহন করা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নেপাল, ভুটান ও চীনের সঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্য স¤প্রসারণের সুযোগ তৈরি হবে। প্রকল্পগুলো শেষ হলে মোংলা বন্দর হবে বিশ্বের বাণিজ্যিক বাজারে পরিবেশ বান্ধব ও অন্য বন্দরের সাথে প্রতিযোগিতা মুলক সমুদ্র বন্দর। এছাড়া জেটিতে ৮.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর সক্ষমতা, ১৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেলে পানির ওপরে ভাসমান নৌযান সংকেত যন্ত্র ও টাওয়ার দিয়ে রাত-দিন নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা, বিদেশি জাহাজের জন্য ৪৯টি নির্ধারিত বার্থিং পয়েন্ট, ১৩৪টি আধুনিক কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্র, নিরাপদ সংরক্ষণ ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু রয়েছে, যার আওতায় অনুমতি, বিল, ইনডেন্টিং, যন্ত্রপাতি বুকিং ও পেমেন্ট একই জায়গায় করতে পারছে ব্যাবসাযীরা। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে মোংলা বন্দরের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দর দিয়ে নেপাল, ভুটান, চীন ও ভারতের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। বর্তমানে প্রতিবেশী দেশগুলোর আগ্রহের কারণে বন্দরের ওপর চাপ বাড়ছে। এজন্য এর সস¤প্রসারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারের গ্রহন করা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নেপাল, ভুটান ও চীনের সঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্য স¤প্রসারণের সুযোগ তৈরি হবে। প্রকল্পগুলো শেষ হলে মোংলা বন্দর হবে বিশ্বের বাণিজ্যিক বাজারে পরিবেশ বান্ধব ও অন্য বন্দরের সাথে প্রতিযোগিতা মুলক সমুদ্র বন্দর। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একশ’ ১৪ কোটি ৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যায় ‘মোংলা বন্দরে আধুনিক বর্জ্য ও তেল নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন, যা উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
নওগাঁর রাণীনগরে মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে দুই মুসল্লির দুটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় উপজেলার আবাদপুকুর বাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে এই চুরির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় রাতেই থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।উপজেলার কালীগ্রাম মুন্সিপুর গ্রামের আহম্মদ খলিফার ছেলে নাছির উদ্দীন ভোলা জানান, মোটরসাইকেল মসজিদ প্রাঙ্গনে রেখে আবাদপুকুর বাজার জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায় করেন। এর পর নামাজ শেষে বের হয়ে দেখতে পান তার ডিসকভার ১১০সিসি মোটরসাইকেল চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। একই সময় ওই প্রাঙ্গন থেকে মরুপাড়া তালপুকুর গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রউফ ওরফে বাচ্চু সোনারের একটি পালসার মোটরসাইকেল চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এঘটনায় রাতেই তারা থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান,মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জরিতদের গ্রেফতারসহ চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে ইসমাইল হোসেন (২২) নামের এক যুবক নিখোঁজের দুই মাস পর জঙ্গলে মিলল পরনে থাকা কাপড়সহ তৎ সংলগ্ন স্থানে মানবদেহের দেহের কঙ্কাল।ইসমাইল হোসেন উপজেলার ইসলামপুর ইউপির ৬ নং ওয়ার্ড ভিলেজার পাড়ার সাদেক হোসেনের ছেলে।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ও ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ভিলেজার পাড়া-রাজঘাট বুইগ্গাঘোনা বন এলাকায় এর সন্ধান মেলে।নিখোঁজ যুবকের খালা জ্যোৎস্না জানান, সকালে প্রতিদিনের-মত নিখোঁজ ইসমাইলকে খুঁজতে বের হয় তার পরিবারের সদস্যরা। বনের ভেতর খোঁজার এক পর্যায়ে উক্ত স্থানে নিখোঁজের সময় ইসমাইলের পরনে থাকা কাপড় এবং স্যান্ডেল দেখতে পায়। পরে পাশে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কঙ্কাল পাওয়া যায়। এতে তাদের বদ্ধমূল ধারণা পাওয়া কঙ্কালগুলো তার ভাগিনার। কারণ পাশাপাশি নিখোঁজের সময় তার পরনে থাকা কাপড়-সেন্ডেলও পাওয়া গেছে। পরে এ সংবাদ থানা পুলিশকে জানানো হয়।জ্যোৎস্না আরো জানান,গত দুই মাস আগে তার মানসিক ভারসাম্যহীন ভাগিনা ইসমাইল ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। খোঁজেও তার সন্ধান মিলেনি। প্রায় এক মাস পর দুই দফা তার বাবা সাদেক হোসেনের মোবাইলে কল করে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপরিচিত এক ব্যক্তি। নয়ত তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রায় দুই মাস পর এসব মিলল।ঈদগাঁও থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সনক কান্তি দাশ জানান, ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে পুলিশের একটি দল রওয়ানা দিয়েছে। ফিরলেই বিস্তারিত জানবেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.