নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গত চার দিন ধরে চলা মৃদু তাপপ্রবাহে জনজীবনে চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে। সকাল থেকেই সূর্যের তেজ বাড়তে থাকায় রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ে দুপুরের পরপরই। গরমের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন।দিনমজুর জালাল বলেন,গরমে কাজ করতে পারি না। মাথা ঝিমঝিম করে, শরীরও দুর্বল লাগে। কিন্তু সংসার চালাতে তো মাঠে নামতেই হয়।রিকশাচালক সাইফুল বলেন,গরমে যাত্রীও কম, রিকশা চালাতে কষ্ট হয়। দুপুরের দিকে রাস্তায় নামা যায় না, শরীর পুড়ে যায় মনে হয়।আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমান মৃদু তাপপ্রবাহ আগামী সোমবার থেকে কিছুটা কমতে পারে। একই সঙ্গে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে, যা এই গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি এনে দিতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময় ডিহাইড্রেশন, হিটস্ট্রোকসহ নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান, ছায়াযুক্ত স্থানে অবস্থান এবং গরমে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।এদিকে, গরমে অতিষ্ঠ উপজেলা বাসী এখন অপেক্ষায় রয়েছে স্বস্তির বৃষ্টির। ভোরের আকাশ/আজাসা
অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ও সড়কে একাধিক গাড়ি দুর্ঘটনা ও বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৩ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৫ জুন) মধ্যরাতে সেতু থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়।চালক ও যাত্রীরা জানান, ভোর রাত থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনের পাকুল্যা থেকে টাঙ্গাইলগামী সড়কে দেখা দেয় যানজটের। ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে রাবনা বাইপাস থেকে সেতু পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী যাত্রী সাধারণ।আটকা পড়ে পশুবাহী শতাধিক গাড়ি।এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ শরীফ বলেন, এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়।টোল প্লাজা থেকে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী-পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিরসনে কাজ করছে। এখন মহাসড়ক স্বাভাবিক হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৫ জুন ২০২৫ ১১:১৬ এএম
এলাকাবাসীর ভালবাসায় সিক্ত বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গণপাড়া গ্রামে একটি চলাচলের রাস্তা মামলা মকদ্দমা, হামলা সহ অসংখ্য শালিসেও মিমাংসা হচ্ছিলনা। অবশেষে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগে সেই ভোগান্তি স্থায়ীভাবে লাঘব হয়।রোববার (১৮ মে) বিকেলে সেই বিরোধপূর্ণ রাস্তাটি সরকারী খরচে পাকা করার পর উদ্বোধন করেন সদর ইউএনও মোঃ ইকবাল হাসান।এর আগে গত বুধবার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি), এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ, ছাত্র প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রচেষ্টায় এই বিরোধ নিরসন হয়। এতে এলাকাবাসী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।এলাকাবাসী সেই আনন্দে ইউএনও ইকবাল হাসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা, স্মারক প্রদানসহ নানা ভাবে কৃতজ্ঞতা জানায়।জানা গেছে, গণপাড়া এলাকায় প্রায় দুই যুগ আগে থেকে বসবাস করছেন ইতালী প্রবাসী মহিদুল ইসলাম মামুনের পরিবার। কিন্তু তাদের বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়ে আপত্তি ছিল প্রতিবেশী কয়েক পরিবারের। এ নিয়ে একাধিক মামলা চলমান আছে। অবশেষে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে রাস্তাটি সরকারী বরাদ্দে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন প্রকল্পে পাকা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের নাম হয় ‘গণপাড়া মাইদুল ইসলাম মামুনের বাড়ির সামনের রাস্তা পাকা করণ প্রকল্প’। কিন্তু এটি বাস্তবায়নে গিয়েও তারা বাঁধার মুখে পড়েন। গত বুধবার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলার পরে তাদের রাজী করাতে সক্ষম হন। উভয় পক্ষ মামলা প্রত্যাহারসহ বিরোধ মিমাংসা করে মিলে মিশে রাস্তা ব্যবহারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় ছাত্র প্রতিনিধি লাবন্য, শিফা, গাজী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এসিল্যান্ড আজহারুল ইসলামে সুদক্ষ তৎপরতায় এটি সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। কেননা এর আগে অনেকে চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারেনি। উভয় পক্ষের এই সমঝোতা এলাকার জন্য একটি শান্তির বার্তা।বরিশাল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে পিআইও, থানা পুলিশ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনায় সমাধান হয়েছে। সংস্লিষ্ট সকলেই ধন্যবাদ প্রাপ্য। ভোরের আকাশ/এসআই