বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৫৭ পিএম
বরগুনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা
বরগুনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে। নির্বাচন বাতিলের দাবি তুলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক বরাবরে। এ সময় বহিরাগতরা প্রার্থীদের ব্যানার খুলে নিয়ে যায়।
সোমবার দুপুর ১টায় জাতীয়তাবাদী ফোরামের সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে আদালত চত্বর প্রদক্ষিণ করে আইনজীবী সমিতির সামনে এসে সমাবেশে যোগ দেন তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মাধ্যমে খুনি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। তারা বরগুনা আইনজীবীদের একত্রিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন একটি প্রহসন হতে যাচ্ছে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বেশিরভাগ সদস্য হাসিনা সরকারের সমর্থক।
এর আগে শনিবার রাতে সমিতির বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে আদালত চত্বর, উকিলপট্টি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আশপাশে লাগানো পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে সভাপতি পদে মো. জিয়া উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জাফর ইকবাল, অন্যদিকে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সভাপতি পদে মাহবুবুল বারি আসলাম ও আক্তারুজ্জামান বাহাদুর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হাবিবুর রহমান আকন ও হুমায়ুন কবির পল্টু প্রার্থী হয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, আমি ও আমার প্যানেল দিনরাত পরিশ্রম করছি। কোনো বিতর্কিত পোস্টারিং করা আমাদের কাজ নয়। বরং এটা আওয়ামী পরিষদের নিজস্ব চক্রান্ত হতে পারে, যাতে আমাদের দোষারোপ করে সহানুভূতি কুড়ানো যায়।
অন্যদিকে মাহবুবুল বারি আসলাম বলেন, আমি তিনবার সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, এখন সভাপতি। আমি আওয়ামী লীগের সদস্য নই, তবে তাদের রাজনৈতিক মামলা পরিচালনা করি। এজন্য আমাকে টার্গেট করা হয়েছে। এসব নিয়ে আমি বিচলিত নই। ভোট হলে বোঝা যাবে ভোটাররা কী চায়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার সোহরাব হোসেন মামুন বলেছেন, সেখানে কী হচ্ছে সেটা কমিশনের দেখার বিষয় নয়। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।
বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১ সপ্তাহ আগে
আপডেট : ১ সপ্তাহ আগে
বরগুনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা
বরগুনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে। নির্বাচন বাতিলের দাবি তুলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক বরাবরে। এ সময় বহিরাগতরা প্রার্থীদের ব্যানার খুলে নিয়ে যায়।
সোমবার দুপুর ১টায় জাতীয়তাবাদী ফোরামের সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে আদালত চত্বর প্রদক্ষিণ করে আইনজীবী সমিতির সামনে এসে সমাবেশে যোগ দেন তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মাধ্যমে খুনি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। তারা বরগুনা আইনজীবীদের একত্রিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন একটি প্রহসন হতে যাচ্ছে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বেশিরভাগ সদস্য হাসিনা সরকারের সমর্থক।
এর আগে শনিবার রাতে সমিতির বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে আদালত চত্বর, উকিলপট্টি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আশপাশে লাগানো পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে সভাপতি পদে মো. জিয়া উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জাফর ইকবাল, অন্যদিকে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সভাপতি পদে মাহবুবুল বারি আসলাম ও আক্তারুজ্জামান বাহাদুর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হাবিবুর রহমান আকন ও হুমায়ুন কবির পল্টু প্রার্থী হয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, আমি ও আমার প্যানেল দিনরাত পরিশ্রম করছি। কোনো বিতর্কিত পোস্টারিং করা আমাদের কাজ নয়। বরং এটা আওয়ামী পরিষদের নিজস্ব চক্রান্ত হতে পারে, যাতে আমাদের দোষারোপ করে সহানুভূতি কুড়ানো যায়।
অন্যদিকে মাহবুবুল বারি আসলাম বলেন, আমি তিনবার সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, এখন সভাপতি। আমি আওয়ামী লীগের সদস্য নই, তবে তাদের রাজনৈতিক মামলা পরিচালনা করি। এজন্য আমাকে টার্গেট করা হয়েছে। এসব নিয়ে আমি বিচলিত নই। ভোট হলে বোঝা যাবে ভোটাররা কী চায়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার সোহরাব হোসেন মামুন বলেছেন, সেখানে কী হচ্ছে সেটা কমিশনের দেখার বিষয় নয়। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।