ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৫ ০৬:৫৪ পিএম
আরও ২ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো কারাবন্দী আইভীকে
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাসহ আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে।
শনিবার (১৭ মে) বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে শুনানি শেষে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
এর আগে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে শুনানির জন্য আবেদন করেন। গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে আইভী শুনানিতে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। তার বিরুদ্ধে করা মোট পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হলো তাকে।
আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদিন বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হত্যাসহ দুটি মামলায় সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হলে, শুনানি শেষে সেটি মঞ্জুর করেন আদালত।
আইভীর আইনজীবী এস এম সিদ্দিকুর রহমান জানান, দলমত নির্বিশেষে সবার জনপ্রিয় সাবেক মেয়র আইভী। আন্দোলনে কখনো মাঠে নামেননি তিনি। তাকে সবগুলো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। এতে আইনি-প্রক্রিয়া চালাতে সহজ হবে আমাদের।
একটি মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ জুলাই ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই সময় শামীম ওসমান আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়লে তাতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন বাদীর স্বামী রিকশাচালক তুহিন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এতে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলাটি করেন তুহিনের স্ত্রী আলেয়া আক্তার।
অন্য মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ২০ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টার দিকে, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশে সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হকার নাদিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শামীম ওসমান। এতে বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে তাকে নেওয়া হলে, ওই পা হাঁটু থেকে কেটে ফেলতে হয়। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় নাদিমের বাবা দুলাল হোসেন বাদী হয়ে শামীম ওসমান ও তার ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
ভোরের আকাশ/জাআ