জামিনে মুক্তির পর আবার গ্রেফতার আ.লীগ নেতা জসিম
গাইবান্ধা জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তির লাভের পর আ.লীগ নেতা খান মো. সাঈদ হোসেন জসিমকে আবারও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হামলা-ভাঙচুর ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের তিন মামলায় গ্রেফতার হয়ে এক মাস ২ দিন কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
গ্রেফতারের পর তাকে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে করে সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খান মো. সাঈদ হোসেন জসিম গাইবান্ধা জেলা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। পেশায় ঠিকাদার জসিম গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি পৌর শহরের নতুন বাজার মহুরি পাড়ার (বিহারি পট্টি) এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর ইসলাম তালুকদার জানান, তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, জেল গেটে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের সময় জসিম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন বলেন, তিন মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আর কোন মামলা কিংবা অভিযোগ নেই। কিন্তু তারপরেও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে সে বিষয়ে পুলিশের কাছে জানতে চান তিনি। এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার একোয়াস্টেট পাড়ার রঞ্জুর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
খান মো. জসিম জেলা বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত বছরের ২৬ আগস্ট সদর থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের দুটি মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। এছাড়া পলাশবাড়ী উপজেলায় যুবদলের কর্মী সভায় হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলারও এজাহারভূক্ত আসামি তিনি।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের অভ্যন্তরীণ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (১৮ মে) তাড়াইল উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত দলিল লেখকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ফোর্স পরিচালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাড়াইল উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সাব রেজিস্ট্রার মো. তরিকুল ইসলাম। কর্মশালায় দলিল লেখার আধুনিকতার নানাবিধ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি, শুদ্ধাচরণ চর্চা, সুশাসন জবাবদিহিতা জোরদারকরণে দলিল লেখকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।জানা গেছে, এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তাড়াইল উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ৬০ জন কর্মরত দলিল লেখকের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন শ্রেষ্ঠ দলিল লেখক নাজমুল হক আকন্দ, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মো. হাফিজুল ইসলাম, তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মো. আশরাফ উদ্দিন, চতুর্থ স্থান অধিকার করেন নূরে আলম সিদ্দিকী, পঞ্চম স্থান অধিকার করেন হুমায়ুন কবির উজ্জ্বল।দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে তাড়াইল উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো. তরিকুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে ক্র্যাচ ও সনদপত্র তুলে দেন।ভোরের আকাশ/জাআ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু ও শৈলকুপা উপজেলার দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় দুই এলাকার বাড়ি-ঘরসহ দোকান ভাঙচুর হয়েছে অন্তত ১০টি ।রোববার (১৮ মে) হরিণাকুণ্ডুর চরপাড়া বাজার এবং শৈলকুপার মাইলমাড়ী এলাকায় দুপুর থেকে থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে বিকাল পর্যন্ত।হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন জানান, ঘটনার সূত্রপাত মূলত শনিবার। ঝিনাইদহের দুই উপজেলা শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডুকে দুই ভাগ করেছে কুমার নদী। এ দুই উপজেলাকে নদীর উপর ব্রিজ থাকায় আবার সংযুক্ত করেছে। ওপারে রয়েছে শৈলকুপার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাইলমারী গ্রাম। আর এপারে রয়েছে হরিণাকুণ্ডু রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রাম। শনিবার বিকালে চরপাড়া গ্রামে ওপারের এক মুরব্বীর সাথে মাছ কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর যে যার মতো চলে যায়। রোববার সকালে আবার চরপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুইদল ছাত্রদের মধ্যে শনিবারের বিষয়ে আবারও কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে পোড়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাইলমাড়ী গ্রামের দুই স্কুলছাত্রকে মারধর করে চরপাড়া গ্রামের তিন বহিরাগত যুবক। এ ঘটনা জানাজানি হলে দুপুরের দিকে উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে উভয় গ্রামের শত শত মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে প্রায় ৩ ঘণ্টারও বেশি । একপর্যায়ে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তারপর সেনাবাহীনি এসে বিকালে পরিস্থিতি পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করে। এ সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হন। ২টি বাড়ি ও বাজারে ৭/৮টি দোকান ভাংচুর হয়েছে ।হরিণাকুণ্ডু থানা ওসি মোঃ আব্দুর রউফ খান জানান, সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনির সদস্য বর্তমানে অবস্থান করছে। এ ঘটনায় এখনও কোন আটক নেই । কোন মামলাও হয়নি । ভোরের আকাশ/এসআই
চাকরি স্থায়ীকরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বিশ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ জেএসএমই’র কর্মরত শ্রমিকরা।রবিবার (১৮ মে) সকাল ১১টায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকের সামনে এই বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের কয়লা উত্তোলনের কারণে তারা বসতি, কৃষিজমি, ক্ষেত-খামার ও পূর্বপুরুষদের কবরস্থান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিনিময়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুত সমঝোতা চুক্তির ভিত্তিতে ২০১৮ সালে তাদের চাকরি দেয়া হয় এবং বলা হয়, জেএসএমই চাইনিজ কোম্পানির কাজ শেষ হলে এক্সএমসি চাইনিজ কোম্পানিতে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ নিয়োগকৃত সকল শ্রমিকদের যোগদান করাবেন। যতদিন কয়লাখনি সচল থাকবে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের চাকরি বহাল থাকবে। কিন্তু চলতি মাসের ৬ তারিখে তাদের জানানো হয়, ভূগর্ভে কর্মরত অবস্থায় দূর্ঘটনাজনিত কারণে কোন শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হলে কর্তৃপক্ষ দায়ভার নিবেন না।আরও জানানো হয়, আর মাত্র ৪ থেকে ৫ মাস তাদের চাকুরি রয়েছে বিষয়টি জানতে পেরে সকলে দিশেহারা হয়ে পড়েন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেএসএমই’র শ্রমিক শহিবুল ইসলাম বাবু বলেন, জেএসএমই’র ১৭৪জন শ্রমিক যখন চাকরিতে যোগদান করেন তখন তাদের বয়স ২২ থেকে ২৯ বছর ছিল। ৭ বছর পর এখন তাদের বয়স হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৬ বছর। নতুন করে তাদের এখন কোন চাকরিতে যোগদানের বয়স নেই।এছাড়াও খনির কারণে চাষাবাদের জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন তারা। এই চাকরি ছাড়া কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করবে!ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক মো. ওসমান আলী জানান, ২০১৮ সালে যোগদানের পর থেকে তাদের নিয়োগপত্র নিয়ে কর্তৃপক্ষ প্রহসন করে আসছে। নতুনভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য তাদের সঙ্গে এ ধরণের প্রতারণা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।এ সময় জেএসএমই’র উপস্থিত সকল শ্রমিক নিরূপায় হয়ে চাকরি স্থায়ীকরণ বা পুনর্বাসনের দাবিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে জীবন-জীবিকার তাগিদে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ভোরের আকাশ/এসআই
মাদারীপুরে সনদ বিতরনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে মাসব্যাপী অনুর্ধ্ব ১৫ ফুটবল প্রশিক্ষণ। জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে রোববার (১৭ মে) বিকালে জেলা স্টেডিয়ামে ফুটবল প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার।যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২৪-২৫ অর্থ বছরের আওতায় ফুটবল প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফাতিমা আজরিন তন্বী।এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা, জেলা ক্রীড়া অফিসার সমীর বাইন, ক্রীড়া সংগঠক জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটির সদস্য মাসুমুল হক জাহিদুর রহমান খান, আতিকুর রহমান লাবলু ও জুবায়ের আহমেদ নাফি প্রাক্তন খেলোয়াড়, কোচ ও অন্যরা।ফুটবল প্রশিক্ষণ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাইকৃত ৪৮ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে। তৃনমূল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই ও প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। ভোরের আকাশ/এসআই