অরুণ কুমার সরকার, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫ ০৫:৫২ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি বছরের পর বছর ধরে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় ভবনে নিচে শিক্ষার্থীদের চলছে পাঠদান। ভবনটি ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে পলেস্তার। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় রয়েছে। জরাজীর্ণ ক্লাসের একটি কক্ষে বিষাক্ত ভিমরুল চাক বেধেছে।
ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণ না করা হলে শত শত শিক্ষার্থী স্বাভাবিকভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না। এ সব বিষয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বার বার লিখিত ভাবে জানালেও রহস্যজনক কারণে নতুন ভবনে কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।
সরেজমিনে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ বিদ্যালয়টি এবং ১৯৯৫ সালে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট ভবনটি নির্মাণ করেন। এই ভবনটি তিনকক্ষবিশিষ্ট। ২০১৯ সালে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় কারণে এখানে ক্লাস চলছে। পুরনো এই ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ও পলেস্তার খসে পড়া যেন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায়ই দেয়াল ও ছাদ থেকে পলেস্তার খসে পড়ে। এতে তারা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ মোহলী জানান, বিদ্যালয়টি সমস্যার কথা তুলে ধরে বার বার চিতলমারী ইউএনও, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক, বাগেরহাট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য দপ্তরের জানিয়ে বছরের পর বছর ঘুরছি কিন্তু জানিনা কি কারণে ৬০ বছরের পুরাতন এই স্কুলটি অবহেলায় পড়ে আছে। বিদ্যালয়ে ভবনটি যেকোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। বিষয়টি জরুরি ভাবে কর্তৃপক্ষের গুরুত্বে সাথে বিবেচনা করার দরকার।
হিজলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ জেহাদুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৬০ বছরের পুরনো এই স্কুলটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন করা দরকার ছিল।কিন্তু অতীতে নীতি নির্ধারকরা এই দিকে লক্ষ্য করেননি। এখন ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী জীবন অনিশ্চতায় ভিতর কাটছে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে একাডেমিক সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার ভৌমিক বলেন, বিদ্যালয়টি আসলে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। নতুন শিক্ষা ভবন তৈরি করা দরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস পাল জানান, দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ