বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৪৪ পিএম
মসজিদের ইমামসহ ৮ জনকে মারধরের অভিযোগ
বাগেরহাট সদর উপজেলার মির্জাপুর আদর্শগ্রাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকসহ ৮ জনকে মারধরকারী স্থানীয় আমজাদ শেখ ও হাফিজুর রহমান এবং তাদের লোকজনের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার বেলা ১১টায় দশানী-রামপাল সড়কে ডেমা ব্রিজ এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আদর্শগ্রাম জামে মসজিদের সভাপতি ইয়াছিন হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ সোহেল তরফদার, স্থানীয় ব্যবসায়ী সোহেব ফকির, সোহাগ শেখ, ফিরোজা বেগম, বাদশা শেখ, আল-আমিন শেখ, আলিম শেখ, হরকিল ফকির, তাজু তরফদার, ইরান শেখ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মসজিদের ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা আত্মসাতের জন্য স্থানীয় আমজাদ শেখ ও হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ইমাম, মসজিদের সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষকে চাপ প্রয়োগ করা হয়। তারা যখন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান, তখন আমজাদ, হুমায়ুন, রফিক, শিপনসহ ১৫-২০ জন ইমাম সাহেবকে মারধর করে। এর প্রতিবাদ করায় আরও ৭ জন মুসল্লিকে মারধর করেন হামলাকারীরা। বিষয়টি নিয়ে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি। বরং আসামিরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে জানান বক্তারা। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
জানা যায়, আদর্শগ্রাম জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ মার্চ রাতে মসজিদের ইমাম আবু বকর সিদ্দিক, মুসল্লি আমিনুল (২৫), জহিরুল (২৮), রুবেল (৩১), তানজিম (৩৪), আবু তালেব (১৮), বাবু (৩৮) এবং সালমানকে কুপিয়ে জখম করে আমজাদ ও হাফিজুর রহমানের লোকজন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেল ও তানজিমকে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আহত আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান খোকন, আমজাদ শেখ ও হাফিজুর রহমানসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তবে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মো. মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, ইমাম ও মুসল্লিদের মারধরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তবে ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৬ দিন আগে
আপডেট : ৬ দিন আগে
মসজিদের ইমামসহ ৮ জনকে মারধরের অভিযোগ
বাগেরহাট সদর উপজেলার মির্জাপুর আদর্শগ্রাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকসহ ৮ জনকে মারধরকারী স্থানীয় আমজাদ শেখ ও হাফিজুর রহমান এবং তাদের লোকজনের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার বেলা ১১টায় দশানী-রামপাল সড়কে ডেমা ব্রিজ এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আদর্শগ্রাম জামে মসজিদের সভাপতি ইয়াছিন হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ সোহেল তরফদার, স্থানীয় ব্যবসায়ী সোহেব ফকির, সোহাগ শেখ, ফিরোজা বেগম, বাদশা শেখ, আল-আমিন শেখ, আলিম শেখ, হরকিল ফকির, তাজু তরফদার, ইরান শেখ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মসজিদের ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা আত্মসাতের জন্য স্থানীয় আমজাদ শেখ ও হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ইমাম, মসজিদের সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষকে চাপ প্রয়োগ করা হয়। তারা যখন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান, তখন আমজাদ, হুমায়ুন, রফিক, শিপনসহ ১৫-২০ জন ইমাম সাহেবকে মারধর করে। এর প্রতিবাদ করায় আরও ৭ জন মুসল্লিকে মারধর করেন হামলাকারীরা। বিষয়টি নিয়ে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি। বরং আসামিরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে জানান বক্তারা। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
জানা যায়, আদর্শগ্রাম জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ মার্চ রাতে মসজিদের ইমাম আবু বকর সিদ্দিক, মুসল্লি আমিনুল (২৫), জহিরুল (২৮), রুবেল (৩১), তানজিম (৩৪), আবু তালেব (১৮), বাবু (৩৮) এবং সালমানকে কুপিয়ে জখম করে আমজাদ ও হাফিজুর রহমানের লোকজন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেল ও তানজিমকে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আহত আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান খোকন, আমজাদ শেখ ও হাফিজুর রহমানসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তবে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মো. মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, ইমাম ও মুসল্লিদের মারধরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তবে ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ