ঈদের আগে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে ফের সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৪১৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঈদের একদিন আগে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার (৬ জুন) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৪১৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ২৯৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৯১ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৪০ টাকা।
এর আগে গত ২২ মে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
অপরদিকে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
চলতি বছর সরকার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালেও বাস্তবে বাজারে তার প্রতিফলন নেই। বিশেষ করে গরুর কাঁচা চামড়া আগের মতোই কম দামে হাতবদল হচ্ছে। আর অন্যান্য বছরের মতো এবারও ছাগলের চামড়া কিনতে আগ্রহ দেখাননি অধিকাংশ আড়তদার।ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রামেও চামড়া নিয়ে হতাশার খবর পাওয়া যাচ্ছে সংশ্লিদের কাছ থেকে। সেখানে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি নিয়ে এবারও বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ঈদের দিন দুপুর থেকেই নগরীর বিভিন্ন মোড়ে সড়কের ওপর চামড়া সাজিয়ে অপেক্ষা করলেও চামড়া বিক্রি করতে পারেননি তারা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোরবানির পশুর চামড়ার দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও সেটি প্রতিপালন হচ্ছে না মাঠ পর্যায়ে। ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যেই বড় গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে। ছোট গরু হলে দাম আরও কম।বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, গতবারের চেয়ে এবার দাম ৫ টাকা বাড়ানো হলেও রাজধানীতে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না চামড়া। প্রতিবারের মতো এবারও ঢাকায় কুরবানির গরুর কাঁচা চামড়া মানভেদে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বরাবরের মতো ছাগলের চামড়ায় আগ্রহ নেই ব্যাপারিদের।মিরপুর শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘দেড় লাখ টাকার গরুর চামড়ার দাম বলে ৫০০ টাকা। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, কিন্তু তারা তো কিনবে না। যারা মাঠ পর্যায়ে কেনে, তারা দাম না দিলে কী করবেন?’তারই প্রতিবেশী রাইসুল বলেন, ‘গরিবের এই হকের ওপর যদি সরকার নজরদারি করতো তাহলে ভালো হতো। দাম নির্ধারণের পর সেই দামের অর্ধেকও দিতে চাইছেন না ক্রেতারা।’অপরদিকে বিক্রেতাদের দাবি, চামড়ার মান তুলনামূলক ভালো হলেও ন্যায্য মূল্য মিলছে না।সরেজমিনে ঘুরে তুলনামূলক ছোট আকারের গরুর কাঁচা চামড়ার দাম সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত হাঁকছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে মানভেদে বেশিরভাগ গরুর চামড়ার দাম হাঁকানো হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।একাধিক আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা এমনটাই জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, না বুঝেই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কিনে নিয়ে আসেন। তবে চামড়ার বাজার ভালো না।এদিকে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের আড়তদাররা বলছেন, লবণযুক্ত সংরক্ষিত চামড়ার জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা কাঁচা বা লবণবিহীন চামড়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ফলে বেশি দামে চামড়া কিনে অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী লোকসানের মুখে পড়ছেন।মোহাম্মদ হোছাইন নামের এক মৌসুমি বিক্রেতা বলেন, প্রতিটি চামড়া গড়ে ৪০০ টাকায় কিনেছি। আড়তদাররা বলছেন ৩০০ টাকা পর্যন্ত দিতে পারবেন। এবারও তো শুধু লোকসানই হবে। গত বছরও ৫০ হাজার টাকার মতো লোকসান দিয়েছিলাম।মো. এহেসান নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ৫০টা বড় গরুর চামড়া কিনেছি গড়ে ৪৫০ টাকা করে। বিকেলে বিক্রি করেছি ৩৭০ টাকা করে।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কুরবানি ঈদে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ট্যানারি মালিকেরা। এ জন্য বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্যানারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি কাঁচা চামড়া কিনছে।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, চলতি বছর চামড়ার সরবরাহ ভালো হলেও ছোট গরুর চামড়াই বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি চামড়ায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দাম রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।ভোরের আকাশ/আজাসা
ঈদুল আজহার প্রাক্কালে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ঊর্ধ্বমুখী।বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৪ জুন পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মোট বা গ্রোস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২০ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। তবে, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৬ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।মুখপাত্র জানান, রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনে চাপ কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় মূল্য বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরও ডলারের দাম ১২৩ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে। একই সঙ্গে, এখন অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছে, যার ফলে পণ্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।এর আগে ৬ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ ও এপ্রিল মাসের আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ৮৮৩ বিলিয়ন (১৮৮ কোটি ৩০ লাখ) মার্কিন ডলার পরিশোধ করার পর মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়নে নেমে যায়। বিপিএম-৬ কমে ২০ বিলিয়নে নামে।তারও আগে ৪ মে মোট রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ বা প্রকৃত রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের বাজারে ফের সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৪১৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।ঈদের একদিন আগে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার (৬ জুন) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে।এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৪১৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ২৯৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৯১ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৪০ টাকা।এর আগে গত ২২ মে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।অপরদিকে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দামভোরের আকাশ/আজাসা
কোরবানির ঈদ ঘিরে টানা ১০ দিনের ছুটি দেশের অর্থনীতিতে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না বলে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থবির হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যবসায়ীরা তাদের মত করে ব্যবসা করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে কোন কোন দিন কোন কোন স্থানে ব্যাংক খোলা থাকবে। গরুর হাটে কিভাবে থাকবে।আগামী ৭ জুন সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এবার ৫ ও ৬ জুন এবং পরে ৮-১০ জুন মিলিয়ে মোট ৬ দিনের ছুটি আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে এর সঙ্গে নির্বাহী আদেশে ১১ ও ১২ জুনের ছুটি যোগ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। আর তারপর ১৩ ও ১৪ জুন শুক্র ও শনি সাপ্তাহিক ছুটি।সব মিলিয়ে এবার ৫ থেকে ১৪ জুন, টানা দশ দিনের দীর্ঘ অবকাশে যাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। ছুটির প্রসঙ্গে অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা টেনে সালেহউদ্দিন আহমেদ, এরকম হলিডে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আরো বেশি থাকে। বড়দিনে ২০ থেকে ২৫ দিন ছুটি থাকে। নেপালে দুর্গা পূজার সময় ৩০ দিন ছুটি থাকে। সুতরাং দেশ চলবে। কোনো রকম বিরূপ কিছু নেই। ইতোমধ্যে আমরা বাজেট দিয়ে দিয়েছি। বাজেটে মোটামুটি কর্মপন্থা কি হবে সে অনুযায়ী কাজ হবে।২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেট নিয়ে মন্তব্য এবং পরামর্শ ঈদের পরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ১৯ জুন পর্যন্ত মতামত দিতে পারবে বাজেটের বিষয়ে। ২২ তারিখ কেবিনেট বৈঠকে বাজেট অনুমোদন হবে।তিন দিনে এটা করা সম্ভব হবে কী না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা আগে থেকেই বলেছি মতামত প্রতিনিয়তই আসতে থাকবে। একদিনেতো আর সব মতামত আসবে না। ইতোমধ্যে মতামত দেওয়া শুরু হয়েছে।গতকালের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওকিউ ট্রেডিংয়ের কাছ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে, জাপান কোরিয়া মার্কেট ফর্মুলা অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পক্রিয়ায় এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।নৌ মন্ত্রণালয়ের অধীন উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের মেরামত কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ময়মনসিংহে চরইশ্বরদিয়া মৌজায় অবস্থিত বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের ১৬ দশমিক ৮৯ একর জমি বিক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন। একইভাবে বিজেএমসির ডেমরা থানার কায়েতপাড়া মৌজার লতিফ বাওয়ানী জুট ৬ দশমিক ৪৮৫ একর জমি বিক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এছাড়া ক্রয় কমিটির বৈঠকে ৩০ হাজার টন রক ফসফেট সার ক্রয়, ৭০ হাজার টন এমওপি সার ক্রয়সহ আরও কয়েকটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ