ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ফ্রিজ জিতলেন গ্রাহকরা
ইসলামী ব্যাংক-ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মাসব্যাপী ঈদ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের ২য় সপ্তাহের রেফ্রিজারেটর বিজয়ী হলেন বরিশালের মুলাদী শাখার এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক ইশরাত জাহান, পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ শাখার গ্রাহক মোঃ আনারুল ইসলাম ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা শাখার গ্রাহক জুলহাস উদ্দিন।
রোববার (১৮ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মোঃ আলতাফ হুসাইনের উপস্থিতিতে ড্র-এর মাধ্যমে যথাক্রমে ইতালি, সিঙ্গাপুর এবং ফ্রান্স হতে পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে তাঁরা বিজয়ী হন।
এ সময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন্স ডিভিশনপ্রধান মোঃ আতিকুর রহমান খান খাদেমসহ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৩১ মে ২০২৫ পর্যন্ত চলমান এই ক্যাম্পেইনে বিশ্বের যেকোনো দেশ হতে ওয়ের্স্টান ইউনিয়নের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদেরকে ডিজিটাল ড্রয়ের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ৩টি করে মোট ১২টি ফ্রিজার উপহার প্রদান করা হবে।
এছাড়া শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট আউটলেট থেকে ৫০ হাজার রেমিট্যান্স সুবিধাভোগীকে ব্যাকপ্যাক প্রদান করা হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
শ্রীলঙ্কার বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার লক্ষ্য পূরণে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ওয়ালটন। দেশটিতে সহস্রাধিক সেলস আউটলেটে ওয়ালটন পণ্য বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে পরিবেশক প্রতিষ্ঠান।শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় কলম্বোর সিনামন লাইফ হোটেলে আয়োজিত ‘গ্র্যান্ড লঞ্চিং অব ওয়ালটন ব্র্যান্ড’ শীর্ষক এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে ওয়ালটনের।শ্রীলঙ্কার খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান এবং ওয়ালটনের ব্যবসায়িক অংশীদার ‘মনিক ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড’ কর্তৃক আয়োজিত ওই গ্র্যান্ড লঞ্চিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।বিশেষ অতিথি ছিলেন মনিক ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ওয়াসালা মাদুওয়ান্থা আরিয়াপালা, শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মো. জান্নাতুল হাবিব, শ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক থিসারা পেরেরা এবং ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নিশাত তাসনিম শুচি। অনুষ্ঠানে আরো অংশ নেন শ্রীলঙ্কার চার শতাধিক পরিবেশক ব্যবসায়ী।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্টে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড খুবই পরিচিত নাম। শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেসের পথচলায় খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান মনিক ট্রেডিংকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।অনুষ্ঠানে পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় তুলে ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষমতায় এগিয়ে থাকার লক্ষ্যে অটোমেশন, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে ওয়ালটন কারখানায় পণ্যভিত্তিক আলাদা রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) সেন্টারের পাশাপাশি চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় আরঅ্যান্ডআই সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।উন্নত দেশগুলোর ক্রেতা চাহিদা, আবহাওয়া উপযোগী ও মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতিনিয়ত ওয়ালটন পণ্যের ডিজাইন, প্রযুক্তি, ফিচার ও গুণগতমানের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী রেসিডেন্সিয়াল এসি, বিশ্বের প্রথম ভয়েস কন্ট্রোল এসি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি ওয়ালটনের ফ্রিজ, এসি, টিভিসহ অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্যে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেজিলেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি, আইওটি, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নিজস্ব উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার সংযোজন করা হয়েছে।বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের সাফল্য তুলে ধরে এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমানে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের ৫০টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস।এশিয়ার দেশগুলোতে ওয়ালটন ব্র্যান্ড পণ্যের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো শ্রীলঙ্কাতেও ওয়ালটন ব্র্যান্ড দ্রুত ক্রেতাদের মন জয় করে বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটনের ব্যবসায়িক অংশীদার ‘মনিক ট্রেডিং’য়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ওয়াসালা মাদুওয়ান্থা আরিয়াপালা বলেন, পণ্যের গুণগতমান, উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, টেকসই এবং দামের দিক থেকে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড এগিয়ে রয়েছে। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসব পণ্য শিগগিরই শ্রীলঙ্কাজুড়ে সহস্রাধিক সেলস আউটলেটে জায়গা করে নিবে। সেইসঙ্গে দ্রুত শ্রীলঙ্কার ক্রেতাদের মন জয় করে নিবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মো. জান্নাতুল হাবিব বলেন, শ্রীলঙ্কার বাজারে বাংলাদেশি টেক জায়ান্ট ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিজনেস সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। এর মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে।ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের সিইও নিশাত তাসনিম শুচি বলেন, ওয়ালটনকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করছি আমরা। আজ শ্রীলঙ্কায় আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ালটন ব্র্যান্ড উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ওই লক্ষ্য পূরণের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আশা করছি- বাংলাদেশের মতো শ্রীলঙ্কাতেও ওয়ালটন ব্র্যান্ড সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা ও মন জয় করে নিয়ে মার্কেট লিডার হয়ে উঠতে সক্ষম হবে।উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের শক্তিশালী অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে শক্তিশালী বিক্রয়, বিপণন ও বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইসলামী ব্যাংক-ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মাসব্যাপী ঈদ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের ২য় সপ্তাহের রেফ্রিজারেটর বিজয়ী হলেন বরিশালের মুলাদী শাখার এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক ইশরাত জাহান, পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ শাখার গ্রাহক মোঃ আনারুল ইসলাম ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা শাখার গ্রাহক জুলহাস উদ্দিন।রোববার (১৮ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মোঃ আলতাফ হুসাইনের উপস্থিতিতে ড্র-এর মাধ্যমে যথাক্রমে ইতালি, সিঙ্গাপুর এবং ফ্রান্স হতে পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে তাঁরা বিজয়ী হন।এ সময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন্স ডিভিশনপ্রধান মোঃ আতিকুর রহমান খান খাদেমসহ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।আগামী ৩১ মে ২০২৫ পর্যন্ত চলমান এই ক্যাম্পেইনে বিশ্বের যেকোনো দেশ হতে ওয়ের্স্টান ইউনিয়নের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদেরকে ডিজিটাল ড্রয়ের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ৩টি করে মোট ১২টি ফ্রিজার উপহার প্রদান করা হবে।এছাড়া শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট আউটলেট থেকে ৫০ হাজার রেমিট্যান্স সুবিধাভোগীকে ব্যাকপ্যাক প্রদান করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভারত স্থলবন্দর দিয়ে সাতটি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে জটিলতা সৃষ্টির পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনও প্রকাশ্যে এসেছে। এটিকে পাল্টাপল্টি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা যেটি ভারতের তরফ থেকেই শুরু হয়েছিল। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত মাসের শুরুতে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো দেশটি। এমনকি এর কোনো কারণও ব্যাখ্যা করেনি, যেটি অনুসৃত কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে। এর কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সূতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে।এরপর গত শনিবার ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক আদেশে বাংলাদেশের সাত ধরনের পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের অর্ধেকই আসে এই পণ্যগুলো থেকে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংকটের সমাধান কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারিয়ে বাজার হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি আরও বড় হওয়ার শঙ্কা থেকে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় সেগুলোর বিকল্প উৎস খুঁজে বের করার জন্য। বাংলাদেশ গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। বিপরীতে ভারত থেকে আমদানি করেছে ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্যঘাটতির পরিমাণ ৭৪৩ কোটি ডলার বা ৯০ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা।এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি কমে যাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- বাংলাদেশ সমুদ্র ও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত।গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, বিষয়টি নিতান্তই অর্থনৈতিক নয় বরং এতে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রতিফলন ঘটেছে। ফলে এ সংকটের সমাধান রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।অর্থনীতি বিশ্লেষক মো. মাজেদুল হক ভোরের আকাশকে বলেন, নতুন বিধিনিষেধে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যঘাটতি আরও বাড়বে তাতে সন্দেহ নেই। তাই দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি কমানো ও খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে এখুনি বিকল্প উৎসের সন্ধান করতে হবে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কূটনীতির মাধ্যমে দুই দেশের সমস্যা সমাধানের কথা বলেছেন তিনি।ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) শনিবার যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তাতে বলা হয়েছে, কোনো স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কোনো ধরনের পোশাক পণ্য ভারতে ঢুকতে পারবে না।এছাড়া এই আদেশে ফল, ফলের-স্বাদযুক্ত পানীয় ও কার্বোনেটেড ড্রিংকস; বেকারি, চিপস, ন্স্যাকস এবং কনফেকশনারিতে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাবার; তুলা ও সুতার ঝুট; পিভিসিসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য এবং কাঠের তৈরি আসবাবপত্র আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গের চেংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী দিয়ে ভারতের আমদানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও পাথর আমদানি বহাল রেখেছে দেশটি।সেসঙ্গে ভারতের ওপর দিয়ে ভুটান ও নেপালে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানিও অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে তারা। তাছাড়া তৈরি পোশাক এখন থেকে কেবল কলকাতা ও মুম্বাইয়ের নভসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ভারতে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় তৈরি পোশাক।গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে ৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। ভারত স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করায় এক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা। এছাড়া ভারতের নতুন বিধিনিষেধের কারণে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে বলছেন খাতটির রপ্তানিকারকরা।গত অর্থবছর ভারতে ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া গত অর্থবছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য, ৩ কোটি ১৩ লাখ ডলারের তুলা ও তুলার সুতার ঝুট ও ৬৫ লাখ ডলারের আসবাব রপ্তানি হয়। এসব পণ্যের অধিকাংশই স্থলবন্দর ব্যবহার করে রপ্তানি হয়ে আসছে।এদিকে গত বছর বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে। এর মধ্যে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে, যা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় পেয়েছিলো বাংলাদেশ।বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছিলো। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসেই গত বছরের পুরো রপ্তানির পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে। ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।এছাড়া সেভেন সিস্টার্স হিসেবে পরিচিত উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতেও বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে। এই রাজ্যগুলোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কোম্পানি নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনাও করছিলেন। এখন ভারতের নতুন বিধিনিষেধে এর দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীদের অনেকে। কারণ তৈরি পোশাকস্থল বন্দরের পরিবর্তে সমুদ্রবন্দর দিয়ে পাঠাতে হলে খরচ ও সময় দুটি বেশি লাগবে।তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ভোরের আকাশকে বলেন, আসলে যা হচ্ছে সেটি কোনো দেশের জন্যই ভালো হচ্ছে না। ব্যবসার জায়গাটা ব্যবসায়ের মতো রাখা উচিত। এতে উভয় দেশের অর্থনীতির জন্যই ভালো। দুই দেশের রাজনৈতিক দূরত্বের প্রভাব ব্যবসায়ীদের ওপর আসা উচিত নয়।তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব ব্যবসায়ীদের জন্য পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। দুই দেশের সমস্যা কীভাবে সমাধান করা হবে সেটি রাজনীতিবিদ ও সরকারের দায়িত্বশীলরাই ঠিক করবেন। এদিকে বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল সামাদ বলেছেন, ভারতের এ সিদ্ধান্তে উভয় দেশের জন্যই ক্ষতির কারণ হবে। স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পাঠালে আমাদের খরচ ও সময় কম লাগে। সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে পণ্য পাঠালে ব্যয় বাড়বে, আবার সময়ও অনেক বেশি লাগবে। কিন্তু এতে যে শুধু আমাদের ক্ষতি হবে তা নয়, ভারতীয় আমদানিকারকদেরও তো খরচ বাড়বে।ওদিকে বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গতকাল ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নতুন বিধিনিষেধের বিষয়টি ভারত এখনো বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে ভারতই বাংলাদেশে বেশি রপ্তানি করে বলে স্থলবন্দরকেন্দ্রিক বিধিনিষেধে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অবশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান করা সম্ভব বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।ভারতের নতুন বিধিনিষেধের কারণে বেশি বিপাকে পড়বেন সেভেন সিস্টার্স নামে খ্যাত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে রপ্তানিকারকরা। কারণ, ওইসব রাজ্যে এসব পণ্য পাঠাতে প্রথমে কলকাতা পাঠাতে হবে। পরে পুরো বাংলাদেশের সীমান্ত ঘুরে আসাম, মেঘালয়, করিমগঞ্জ ও আগরতলায় যাবে পণ্যের চালান।নতুন ব্যবস্থায় সেভেন সিস্টার্সের ওইসব পণ্য স্থলপথে পাঠাতে হলে সাতক্ষীরার ভোমরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরই ভরসা। এর মানে, ফলের ড্রিংকস, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, বিস্কুট, কেক, চিপস, স্ন্যাকস এসব পণ্য আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে পাঠাতে হলে প্রথমে পণ্যের চালান পশ্চিমবঙ্গে তথা কলকাতা যাবে।পরে কলকাতা থেকে সড়ক বা রেলপথে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ওই পণ্য যেতে হবে ত্রিপুরার আগরতলায়। অবশ্য আসামের গুয়াহাটি, করিমগঞ্জ কিংবা মেঘালয়ের শিলংয়ে পণ্যের চালান পাঠাতে আরও কম পথ পাড়ি দিতে হবে।এছাড়া সমুদ্রপথে পণ্য পাঠাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দর বা মোংলা বন্দর থেকে কলকাতার হলদিয়া বন্দরে পাঠাতে হবে। তারপর সেখান থেকে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যে নিয়ে যেতে হবে।এদিকে ভারতের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করলেও, এটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের গতিপথ নির্ধারণ করবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলেছেন, বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড চলমান হজ অপারেশনস, এয়ারক্রাফট স্বল্পতা ও ব্যবসায়িক বাস্তবতার নিরিখে আগামী ১ জুলাই ২০২৫ হতে ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত ঘোষণা করছে।উপর্যুক্ত গন্তব্যের সম্মানিত যাত্রীসাধারণের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, যে সকল সম্মানিত যাত্রী ১ জুলাই ২০২৫ পরবর্তী ফ্লাইটসমূহের ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুটে টিকিট ক্রয় করেছেন, তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই রিফান্ড বা পূর্ণ অর্থ ফেরত নিতে পারবেন। সম্মানিত যাত্রী সাধারণকে বিমানের নিজস্ব সেলস্ অফিস/কাউন্টার ও সংশ্লিষ্ট এজেন্টর সাথে যোগাযোগের জন্য বিনীত অনুরোধ করা হল। ভোরের আকাশ/এসআই