সংগৃহীত ছবি
কর জাল সম্প্রসারণ ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির নতুন ১২টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
নতুন কাঠামোর আওতায় এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগে মোট ৩ হাজার ৫৯৭টি নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭৩টি ক্যাডার পদ এবং ৩ হাজার ২২৪টি নন-ক্যাডার পদ।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ।
এতে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করেছে সরকার। নতুন ১২টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট সৃজন করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ইতোমধ্যে আদেশ জারি করেছে।
এনবিআর বলছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কর জাল সম্প্রসারণ করে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, জাতীয় অর্থনীতিতে স্বনির্ভরতা অর্জন, সেবার মানোন্নয়ন এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে পরোক্ষ কর ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যেও এই সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর প্রশাসনিক অনুমোদনের পর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তিন ধাপে নতুন দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে ৫টি নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিশনারেট, ৪টি নতুন কাস্টমস হাউস, ৩টি বিশেষায়িত দপ্তর।
এ ছাড়া বিদ্যমান কমিশনারেট ও কাস্টমস হাউসগুলোর জনবল বৃদ্ধি ও কাঠামোগত সম্প্রসারণ, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে নতুন কাস্টমস কার্যক্রম, এবং কাস্টমস ও ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এই পুনর্গঠনের মাধ্যমে পরোক্ষ কর আহরণের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে রাজস্ব প্রশাসন আরও আধুনিক, কার্যকর ও নাগরিকবান্ধব রূপ পাবে। যা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
কর জাল সম্প্রসারণ ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির নতুন ১২টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।নতুন কাঠামোর আওতায় এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগে মোট ৩ হাজার ৫৯৭টি নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭৩টি ক্যাডার পদ এবং ৩ হাজার ২২৪টি নন-ক্যাডার পদ।বুধবার (১৫ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ।এতে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করেছে সরকার। নতুন ১২টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট সৃজন করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ইতোমধ্যে আদেশ জারি করেছে।এনবিআর বলছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কর জাল সম্প্রসারণ করে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, জাতীয় অর্থনীতিতে স্বনির্ভরতা অর্জন, সেবার মানোন্নয়ন এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে পরোক্ষ কর ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যেও এই সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর প্রশাসনিক অনুমোদনের পর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করা হয়।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তিন ধাপে নতুন দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে ৫টি নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিশনারেট, ৪টি নতুন কাস্টমস হাউস, ৩টি বিশেষায়িত দপ্তর।এ ছাড়া বিদ্যমান কমিশনারেট ও কাস্টমস হাউসগুলোর জনবল বৃদ্ধি ও কাঠামোগত সম্প্রসারণ, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে নতুন কাস্টমস কার্যক্রম, এবং কাস্টমস ও ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এই পুনর্গঠনের মাধ্যমে পরোক্ষ কর আহরণের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে রাজস্ব প্রশাসন আরও আধুনিক, কার্যকর ও নাগরিকবান্ধব রূপ পাবে। যা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
দেশের বাজারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আগামীকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ২০৫ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০২ টাকায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চলতি অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে এসেছে প্রায় ১২৭ কোটি (১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৯২ কোটি টাকার প্রবাসী আয়। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।তিনি বলেন, গত বছরের একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত ১৩ অক্টোবর একদিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের (জুলাই ২০২৪–অক্টোবর ২০২৫) প্রথম তিন মাস ১৩ দিন পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৮৮৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আগস্টে এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ ২৫ অর্থবছর জুড়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন মোট ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ ডলার), যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্তির রেকর্ড।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর পূর্বাচলে এক অনুষ্ঠানে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানো ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।এর আগের দিন, সোমবার (১৩ অক্টোবর), বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।সংগঠনটি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে দেশের বাজারেও সমন্বয় করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার দাম ১৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। খোলা সয়াবিনের নতুন দাম প্রতি লিটার ১৭৭ টাকা। প্রতি লিটার পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৩ টাকা। এছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ৯৪৫ টাকা।দাম বাড়লো সয়াবিন ও পাম অয়েলেরদাম বাড়লো সয়াবিন ও পাম অয়েলেরএই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দেয় যে, সরকার হয়তো নতুন করে দাম বাড়িয়েছে। তবে বাণিজ্য উপদেষ্টা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা দেয়নি।তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো মূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নজর রাখছি। ব্যবসায়ীরা যাতে ইচ্ছামতো দাম না বাড়াতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ