ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:৪১ পিএম
সংগৃহীত ছবি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতায় প্রয়োজনে আন্দোলন করতে হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইআরএফ মিলনায়তনে ব্যাংকিং সেক্টর রিফর্ম, চ্যালেঞ্জ এবং করণীয় শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ধার করে নয়, বরং দেশের রিজার্ভ নিজেদের সক্ষমতাতেই বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের খেলাপি ঋণ প্রায় ৩৬ শতাংশ, যা হয়ত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি। আমরা কোনো তথ্য গোপন করিনি। তবে ডিসেম্বরে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণ স্বাধীনতার প্রয়োজন। এই দাবিতে প্রয়োজনে আন্দোলনও করতে হবে। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই যেন এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা যায়, সে লক্ষ্যেই করতে হবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ধার করে বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে অর্থ এনে রিজার্ভ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। নিজেদের সক্ষমতার মাধ্যমেই রিজার্ভ বাড়াতে হবে। চলতি বছরে রিজার্ভ ৩৪ থেকে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে এটি দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে, যা ছিল ২৭ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে ৯ নভেম্বর আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মে-জুন মেয়াদের আমদানি ব্যয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জুলাইয়ে আকুকে ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল, যা ছিল তখন পর্যন্ত বড় অঙ্কের বিল। এরপর ২০২৩ সালজুড়ে দ্বিমাসিক আকুর বিল কমে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল। তবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে এটি আবার বাড়তে শুরু করে। চলতি বছরের মে-জুনে বিলের পরিমাণ পৌঁছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ভোরের আকাশ/তা.কা