ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৫ অক্টোবর, বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ড. আরিফুল হক সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছুটির কারণে প্রার্থীরা তাদের প্রচারণার কাজে মাত্র পাঁচ কার্যদিবস পাবেন। গতকাল প্রার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তারা এমন তথ্য জানান।
আরিফুল হক সিদ্দিকী আরও বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছি। এজন্য চবি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্বাচন কমিশন। আজ সকালে নির্বাচন কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী ১২ অক্টোবরের পরিবর্তে আগামী ১৫ অক্টোবর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চলতি বছরের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ২১-২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে।প্রকাশিত রুটিনে পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা আগামী ২১ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় দিন ইংরেজি ২২ ডিসেম্বর, তৃতীয় দিন গণিত ২৩ সেপ্টেম্বর, চতুর্থ দিন বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুযায়ী হবে। বিজ্ঞান ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের জন্য দেড় ঘণ্টা করে, মোট ৩ ঘণ্টা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।পরীক্ষার্থীরা তাদের উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে পূরণ করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।পরীক্ষায় বোর্ড অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। তবে কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষাকক্ষে আনতে পারবেন না। ভোরের আকাশ/হ.র
সাংবাদিক রতন বিশ্বাস ও ডা. সোনালী রানী দম্পত্তির জ্যেষ্ঠ সন্তান শীর্ষ বিশ্বাস স্কাউটিং এর সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড "প্রেসিডেন্ট'স স্কাউট" অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।শীর্ষ বিশ্বাস সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর দশম শ্রেণির ছাত্র। সন্তানের এমন সাফল্যে গর্বিত রতন বিশ্বাস। তিনি সকলের কাছে সন্তানের জন্য আশির্বাদ/দোয়া প্রার্থনা করেছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
সাত বছর পর আবারও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ একরের ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১৯টি কেন্দ্রে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তারা উচ্ছ্বসিত।এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৭ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬১ জন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ আগস্ট তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে মনোনয়নপত্র বিতরণ, যাচাই-বাছাই, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করা হয়।নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক তদারকিতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুরো ক্যাম্পাসে মোতায়েন রয়েছে ৩৫০ জন নিরাপত্তা সদস্য। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী এবং কুইক রেসপন্স টিমও দায়িত্ব পালন করছে।ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। তিনি বলেন, “দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গকসু নির্বাচন জাতীয় নেতৃত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।”গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম গকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তৃতীয় কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হলেও ২০২০ সালে তা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এবার হবে চতুর্থ সংসদ নির্বাচন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দীর্ঘ সাত বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ১৯টি ভোট কেন্দ্রে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। চলবে দুপুর ৩টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ উপলক্ষে ৩২ একর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। শিক্ষার্থীরাও ভোট দেওয়ার সুযোগ আসায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে নির্বাচনী প্রচারণা। শেষ সময়ের প্রস্তুতি হিসেবে প্রার্থীরা বিভিন্ন অভিনব কায়দায় প্রচারণা করেছেন। বিভাগে বিভাগেও চলেছে গণ সংযোগ। চলেছে গান গেয়ে এবং ব্যতিক্রমী প্রচারপত্রের মাধ্যমে সমর্থন আদায়। ভোটাররাও উচ্ছ্বসিত ভাবে গ্রহণ করছেন প্রার্থীদের।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে ১১টি পদে লড়ছেন ৬৩ জন প্রার্থী। নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ হাজার ৭৬১ জন। এর আগে গত ১১ আগস্ট তফসিল ঘোষণা করে গবি প্রশাসন। এরপর ২৬ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা। পরবর্তী আপিল ও শুনানি শেষে ১৪ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয় চূড়ান্ত তালিকা। এরই মধ্যে প্রার্থীদের ডোপ টেস্টও সম্পন্ন হয়েছে; রিপোর্ট পজিটিভ হলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।এ নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মোতায়েন থাকবে নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৫০ জন সদস্য। স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ভোটকেন্দ্রে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা, বড় পর্দায় সরাসরি ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করতে পারবে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা।সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র ড. ফুয়াদ হোসেন জানান, তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের মোট ১৩টি ধাপের মধ্যে ১১টি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন কেবল ভোটগ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের ধাপ বাকি। ভোটের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও এনএসআই এর ৩৫০ জন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী। এছাড়া গঠন করা হবে কুইক রেসপন্স টিম।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠানেই ছাত্র সংসদ রয়েছে। এবার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্র তৈরি হবে।উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) চালু রয়েছে ছাত্র সংসদ। ২০১৩ সালে প্রথমবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল তৃতীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। তবে প্রশাসনের জটিলতায় নির্বাচিত সংসদ পুরো মেয়াদ কাজ করতে পারেনি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর গকসুর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সংসদ নির্বাচন।