ছবি : ভোরের আকাশ
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) ২০২৫-এর ফলাফলে বড় ধরনের ধস নেমেছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে।
এবারের পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৫ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক খবর হলো, বোর্ডের অধীনে ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও কৃতকার্য হতে পারেনি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২০, অর্থাৎ এক বছরেই শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২৩টি।
শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এই ৪৩টি কলেজের ১৮২ জন পরীক্ষার্থীর কেউই পাসের মুখ দেখেনি। জেলাভিত্তিক হিসাবে নীলফামারীতে ১০টি, কুড়িগ্রামে ৯টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬টি, লালমনিরহাটে ৫টি, দিনাজপুর ও রংপুরে ৪টি করে, পঞ্চগড়ে ৩টি ও গাইবান্ধায় ২টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।
এই ভয়াবহ ফল বিপর্যয়ের পর কলেজগুলোকে কঠোর বার্তা দিয়েছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে এবং তাদের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও ফল কেন বিপর্যয় হলো, আমরা সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করব। যদি তারা শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিতে না পারে এবং তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের স্বীকৃতি বাতিল করা হতে পারে।
এ বছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৯২১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে পাস করেছে ৬০ হাজার ৮৮২ জন। ফেল করেছে ৪৫ হাজার ৩৯ জন শিক্ষার্থী। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর এই অকৃতকার্য হওয়া এবং ৪৩টি প্রতিষ্ঠানে 'শূন্য পাস' শিক্ষা ব্যবস্থার মান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
বেশকিছু প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীদের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করার কথা জানিয়েছে এবং বোর্ডের প্রতি বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা মনে করছেন, কলেজগুলোতে পাঠদানের মান, শিক্ষকদের নিয়মিত অনুপস্থিতি এবং মনিটরিং-এর দুর্বলতাই এই বিপর্যয়ের মূল কারণ।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের এই অভূতপূর্ব ফল বিপর্যয় উত্তরাঞ্চলের শিক্ষাঙ্গনে এক তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বোর্ড কর্তৃক ৪৩টি কলেজের স্বীকৃতি বাতিলের হুঁশিয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই শোভাযাত্রা ফকির মজনু শাহ সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে এক সমাবেশে মিলিত হয়।উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ ফরিদুল আলম বুলুর নেতৃত্বে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফরিদুল আলম বুলু, যুবদল নেতা কবির হোসেন সরকার, আকরাম হোসেন, কাপাসিয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মহিবুর রহমান, তরগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন অ্যাপোলো, চাঁদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেন, দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, বারিষাব ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন বুলবুল প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে সম্প্রতি শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অব্যাহতি প্রাপ্ত উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন তার অনুসারীদের নিয়ে পৃথকভাবে একটি বিশাল শোভাযাত্রা করেন। তিনি বলেন, “দলের কিছু নেতার ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আশা করি দ্রুত ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে। দীর্ঘদিন আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকার করেছি, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে বহু হামলা ও মামলা সহ্য করেছি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুসারীদের অনুরোধে আমি ঘরে বসে থাকতে পারিনি। আশা করি দল আমার ব্যাপারে সুবিচার করবে।”ভোরের আকাশ//হর
খুলনার দৌলতপুরে ২০০৯ সালের চাঞ্চল্যকর জোড়া হত্যার মামলায় আদালত ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সুমি আহমেদ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুভেন্দু রায় চৌধুরী।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ইমামুল কবীর জীবন (পলাতক), রাজ, শহীদ শাহারিয়ার মিথুন, তুষার গাজী, সোয়েব সুমন (পলাতক), শাকিল (পলাতক) এবং তুহিন। এ ছাড়া মামলায় কুটি ও শামীম খালাস পান।২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি, দৌলতপুরের দেয়ানা সবুজ সংঘ মাঠের কাছে সন্ত্রাসীরা পারভেজ হাওলাদারকে গুলি ও কোপ দিয়ে হত্যা করে। পারভেজকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা স্থানীয়দের ওপরও গুলি চালায়। এ ঘটনায় সুপর্না সাহাসহ কয়েকজন আহত হন, হাসপাতালে নেওয়ার পর সুপর্না মারা যান।পারভেজের বাবা নিজাম উদ্দিন ২০০৯ সালের ৪ জানুয়ারি ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।ভোরের আকাশ//হর
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে খুলনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।সেমিনারের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন,> “ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার প্রসারই স্মার্ট বাংলাদেশের মূল চাবিকাঠি। নগদ অর্থের ব্যবহার কমিয়ে নিরাপদ ও স্বচ্ছ আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করতে Bangla QR পেমেন্ট সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি আরও যোগ করেন, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে আধুনিক পেমেন্ট সিস্টেম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও বাংলা কিউ আধুনিক ও নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে।সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পিএসডি বিভাগের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. রুকনুজ্জামান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফিরোজ শাহ, সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীরা।সেমিনারে ডিজিটাল লেনদেন সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।ভোরের আকাশ//হর
প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধার্থে একই দোকানে সার ও বীজ বিক্রয়ের অনুমতি প্রদানের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন জেলা বিএডিসি বীজ ডিলাররা। মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে বিএডিসি বীজ ডিলার টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলার বিএডিসি বীজ ডিলাররা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, জেলা বীজ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক মোঃ আরিফুর রহমান, যুগ্ন আহবায়ক বিপ্লব হোসেন, সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১০ সালের নীতিমালা অনুযায়ী বীজ ডিলার ১ বছর পর সার ডিলারে রূপান্তরিত হতে পারবে। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে সারের ডিলারশিপ পাননি তারা। সারের ডিলারশিপ পেলে কৃষকরা একই জায়গা থেকে সার ও বীজ কিনতে পারবে, ফলে কৃষকরাও উপকৃত হবে। কৃষকদের সারের জন্য তখন আলাদা আলাদা দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। কৃষকের চাওয়া-পাওয়া যেহেতু বিএডিসির মানসম্মত বীজ ডিলাররা পৌঁছে দেন, তাই যদি একই দোকান থেকে বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়, তাহলে কৃষকরা অনেক ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে। তারা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের একটাই দাবি কৃষকের সুবিধার্থে বিএডিসির বীজ ডিলার থেকে সার ডিলারের নিবন্ধন যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বীজ ডিলাররা । ভোরের আকাশ//হর