সংগৃহীত ছবি
চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাপ ও সুবিধার কথা বিবেচনা করে আবেদনের শেষ সময় ১১ আগস্ট থেকে বাড়িয়ে আগামী ১৫ আগস্ট (শুক্রবার) রাত ৮টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি, একাদশে ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুলাই দুপুর ১২টা থেকে প্রথম ধাপের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে ১০ লাখ ২৫ হাজার ৬৭১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ৯ হাজার ১৮১টি কলেজ ও মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণিতে মোট আসন রয়েছে ২২ লাখ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পর্যায়ে প্রায় ৯ লাখ আসন এবং সরকারি–বেসরকারি পলিটেকনিকে রয়েছে আরও ২ লাখ ৪১ হাজার আসন। সব মিলিয়ে একাদশে ভর্তিযোগ্য আসন প্রায় ৩৩.২৫ লাখ। অথচ এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
নীতিমালায় জানানো হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি কলেজে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ থাকবে সব শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এবং ১ শতাংশ অধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে সংরক্ষিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেসব আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আন্দোলন আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—অধ্যাদেশ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সেই সিদ্ধান্ত মতে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ফের তারা সড়ক অবরোধসহ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন।রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষা ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কর্মসূচির ঘোষণাটি দেন।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এতে দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পরিচয় সংকট ও একাডেমিক অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাই তারা সড়ক অবরোধ, অবস্থান, ঘেরাওসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।তাদের আরও অভিযোগ, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া আইন শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশ করলেও চূড়ান্ত অধ্যাদেশের কাজ দীর্ঘদিন ধরে স্থবির। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় সংকট, পাঠদান জটিলতা ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। জনদুর্ভোগ এড়াতে তারা শিক্ষা ভবনের পাশে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন।যদিও দাবি না মানা হলে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তারা আবারও সড়ক অবরোধসহ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবেন।এর আগে দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে তারা ভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করে ব্লকেড কর্মসূচি চালান। এতে হাইকোর্টের মাজার রোড, সচিবালয়ের সামনের সড়কসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।ভোরের আকাশ/মো.আ.
রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন পাঁচ সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সাড়ে ১১টার দিকে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র স্কুলিং মডেল ভিত্তিক খসড়া অধ্যাদেশ উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরির করেছে অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা।এতে করে বন্ধ হয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের যানচলাচল। জানা গেছে, আজ সকাল থেকেই ঢাকা কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করেন৷ এ সময় তারা স্কুলিং মডেল বাতিল এবং উচ্চমাধ্যমিকের স্বতন্ত্র কাঠামো বজায় রাখার দাবি জানান। পরে সব কলেজের শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে মিছিল নিয়ে শাহবাগে পৌঁছে অবরোধ কর্মসূসাতচিতে শুরু করে।বিষয়টি নিয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম বলেন, স্কুলিং মডেল বাস্তবায়ন হলে পাঁচটি সরকারি কলেজেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অস্তিত্ব থাকবে না। সেজন্য আমরা আগে থেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা আজও আন্দোলন নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই পদ্ধতি বাতিল করার ঘোষণা দেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।অন্যদিকে, প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আজ আবারও রাস্তায় নামছেন সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম ঝুলে থাকা এবং অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের পরও চূড়ান্ত অগ্রগতি না থাকায় তারা শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি— দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে পরিচয় সংকট ও অ্যাকাডেমিক অনিশ্চয়তার সমাধান করতে হবে।সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের অর্গানাইজিং উইং থেকে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে মতামত গ্রহণের পর তিন দফা বৈঠক হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এতে প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীর উদ্বেগ আরও বেড়েছে।কর্মসূচি সম্পর্কে আন্দোলনকারীরা জানান, আজ শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে এবং অধ্যাদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত টানা অবস্থান কর্মসূচি চলবে।এর আগে গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব এড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষকদের চলা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করে বিদ্যালয়গুলোতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে আবারও শুরু হচ্ছে বার্ষিক পরীক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে হঠাৎ প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের বদলির আদেশের পর শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত নেন তারা।শনিবার (৭ ডিসেম্বর) শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এবং সংগঠন ঐক্য পরিষদ এর চলমান কর্মসূচি পালিত হয়। আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আগামী রোববার থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।এতে আরও বলা হয়, রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে। উভয় পরিষদের আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কমসূচি দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞিপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেন সহকারী শিক্ষকরা।সেদিন তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১০ নভেম্বরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল-সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও ২২ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তিন দফা দাবির বাস্তবায়নে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।শিক্ষকদের ৩ দাবির মধ্যে রয়েছে-১. সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১০ নভেম্বরের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপাতত ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি।২. ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতার অবসান।৩. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা।ভোরের আকাশ/মো.আ.