চীনের চাকরি ছেড়ে তরুণী চলে এলেন হিরো আলমের কাছে
চীনের চাকরি ছেড়ে দেশে চলে এসেছেন, দেশে ফিরেই শুরু করলেন হিরো আলমের সঙ্গে মিউজিক ভিডিওর কাজ। কিশোরগঞ্জের মেয়ে সাইকা সুবহা তান্নু।
২০১৯ সালে চলে যান চীনের হাংঝু শহরে, মায়ের কাছে। মা সেখানেই চাকরি করেন।
এরপর তান্নুও সেখানে একটি অ্যাকোয়ারিয়াম কোম্পানিতে চাকরি নেন। নিজ মনে চাকরিই করছিলেন। তবে শোবিজ দুনিয়ার প্রতি ব্যাপক আকর্ষণ ছিল এই তরুণীর। তাই কাজের ফাঁকে ছোট ছোট ভিডিও বানাতেন। সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতেন। মানুষজন নানা প্রতিক্রিয়া জানাতেন। সেসব তার মনে আলোড়ন তৈরি করত।
দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের খেয়াল করতেন তান্নু। ইচ্ছা ছিল দেশে ফিরে এসে মিডিয়ায় কাজ করবেন। এভাবেই পরিচয় হয় হিরো আলমের সঙ্গে। তাকে নিজের ইচ্ছার কথা বলেন।
হিরো আলমের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় চীন থেকে চলে আসেন ঢাকায়। দেখা করেছেন হিরো আলমের সঙ্গে। এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজও শুরু করেছেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
অবশেষে সকল প্রতীক্ষার পালা শেষ করে সিনেমাটির ট্রেলারের দিনক্ষণ ঘোষণা করল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সান পিকচার্স। ছবিটি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৪ আগস্ট। ট্রেলার প্রকাশ পাবে ২ আগস্ট।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেলারের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে একটি নতুন তারকাবহুল পোস্টার। সেখানে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে রজনীকান্ত, আমির খান, নাগার্জুনা আক্কিনেনি, উপেন্দ্র রাও এবং অন্যান্য তারকাদের।সান পিকচার্স তাদের এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লিখেছে, ‘অপেক্ষা শেষ হচ্ছে। ট্রেলার আসবে ২ আগস্ট। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি মুক্তি পাবে ১৪ আগস্ট।’ছবির ট্রেলার প্রকাশ উপলক্ষে একটি বিশেষ আয়োজন রাখা হয়েছে ২ আগস্ট। চেন্নাইয়ের জওহরলাল নেহরু ইনডোর স্টেডিয়ামে সেটি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ছবির প্রধান অভিনেতা রজনীকান্ত নিজে উপস্থিত থাকবেন এবং বক্তব্যও রাখবেন।লোকেশ কানাগরাজ পরিচালিত ‘কুলি’ মূলত একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সোনার চোরাকারবারিকে ঘিরে নির্মিত। তিনি নিজের পুরনো গ্যাংকে আবার একত্র করে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন এক বৃহৎ সোনা চোরাচালান সাম্রাজ্যকে। তারকাবহুল সিনেমাটিতে থালাইভার সঙ্গে আরও দেখা যাবে নাগার্জুনা, আমির খান, উপেন্দ্র রাও, শ্রুতি হাসান, সাবিন শাহির, সত্যরাজসহ আরও অনেককেই।এছাড়া ছবিতে একটি আইটেম গানে নাচতে দেখা যাবে সুন্দরী অভিনেত্রী পূজা হেগড়েকে।ভোরের আকাশ/জাআ
দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারও বড় পর্দায় ফিরছে টলিউডের জনপ্রিয় জুটি দেব ও শুভশ্রী। আগামী ১৪ আগস্ট মুক্তি পেতে চলেছে তাদের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘ধূমকেতু’। ব্যক্তিগত জীবনের সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং দীর্ঘ বিরতির পর এই ছবির মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তারা।দেব-শুভশ্রী জুটি একসময় বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় জুটি হিসেবে পরিচিত ছিল। পর্দায় রসায়নের পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও তাদের প্রেম ছিল চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে সম্পর্কে ভাঙনের পর একসঙ্গে আর দেখা যায়নি এই জুটিকে। ‘ধূমকেতু’র কাজ অনেক আগেই শুরু হলেও নানা কারণে ছবির মুক্তি পিছিয়ে যায়।সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেব বলেন,"এই জন্মে না শুভশ্রী তার নাম থেকে দেবকে সরাতে পারবে, না আমি আমার নাম থেকে শুভশ্রী সরাতে পারব অনস্ক্রিন জুটি হিসেবে।"তার এই মন্তব্যে ভক্তদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে, তৈরি হয়েছে পুরোনো দিনের নস্টালজিয়া।আবেগঘন কণ্ঠে দেব আরও বলেন,"একটা প্রজন্ম আমাদের সঙ্গে বড় হয়েছে। আজ তারা হয়তো বিদেশে চাকরি করছে। লন্ডনে শ্যুটিংয়ের সময় অনেক বাঙালি বলেছেন, ‘ধূমকেতু’ লন্ডনে দেখাতে হবে। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে দেব-শুভশ্রীর সিনেমা দেখতেন।"দর্শকদের মাঝে এখন বাড়ছে প্রত্যাশা—‘ধূমকেতু’ কি পারবে সেই পুরোনো জাদু ফিরিয়ে আনতে? ৯ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর পর্দায় দেব-শুভশ্রী জুটিকে আবারও দেখতে পাওয়ার উচ্ছ্বাসে মুখর ভক্তরা। সিনেমাটি ঘিরে টলিউডেও চলছে ব্যাপক আলোচনা।ভোরের আকাশ//হ.র
বলিউড ‘ভাইজান’ সালমান খান তার রাগী স্বভাবের জন্য বেশ পরিচিত। এবার সামনে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জনপ্রিয় মারাঠি ও হিন্দি অভিনেতা অশোক সারাফ দাবি করেছেন, একবার শুটিং সেটে তার গলায় আসল ছুরি ধরে বসেছিলেন সালমান!সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে অশোক সারাফ বলেন, “১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জাগৃতি’ ছবির একটি দৃশ্যের সময় এই ঘটনা ঘটেছিল। আমি তখন খল চরিত্রে অভিনয় করছিলাম। সেই দৃশ্যে সালমান একটি আসল ছুরি দিয়ে আমার গলায় চেপে ধরেছিল। সংলাপ বলার সময় আমি বুঝতে পারছিলাম গলা কেটে যাচ্ছে। তখন বাধ্য হয়ে বলি, ‘তুমি কী করছো? আমার গলা কেটে যাচ্ছে!’”তিনি আরও বলেন, “সালমান তখন বললো, ‘তবে কী করব?’ আমি বলি, ‘ছুরিটা উল্টো করে ধরো’। সে বললো, ‘কিন্তু ক্যামেরায় খারাপ দেখা যাবে’। শেষে আমি হাল ছেড়ে বলি, ‘থাক, যেমন চলছে চলুক।’ দৃশ্যটা শেষ করার পর দেখি গলায় গভীর কাটা পড়েছে। যদি গলার কোনো নার্ভ কেটে যেত, আমি হয়তো আজ বেঁচে থাকতাম না।”সালমান খান ও অশোক সারাফ একসঙ্গে ‘করণ অর্জুন’, ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’, ‘বন্ধন’সহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের সম্পর্কও রয়েছে।তবে এই ঘটনাটি সারাজীবন ভুলতে পারেননি অশোক। তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত নই সালমান এই ঘটনা মনে রেখেছে কি না। ও তো অনেক কিছুই ভুলে যায়।”এদিকে, সালমান খান বর্তমানে ব্যস্ত ‘ব্যাটল অফ গলওয়ান’ ছবির শুটিং নিয়ে। অপূর্ব লাখিয়া পরিচালিত এই ছবি ২০২০ সালে ভারত-চীন গলওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। ছবিটি ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পাবে বলে জানানো হয়েছে।এই ছবির জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছেন সালমান। নতুন লুকে দেখা যাবে তাকে—মোটা গোঁফ ও সামরিক কস্টিউমে। ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার প্রথম পোস্টার, যা ঘিরে দর্শকমহলে ব্যাপক উন্মাদনা ছড়িয়েছে।উল্লেখ্য, বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফ থেকে প্রাণনাশের হুমকির পর থেকেই ‘ওয়াই ক্যাটাগরি’র নিরাপত্তায় আছেন সালমান খান। চলাফেরা করছেন বুলেটপ্রুফ গাড়িতে। এমনকি তার বান্দ্রার বাড়ির খোলা বারান্দাতেও লাগানো হয়েছে বুলেটপ্রুফ কাচ।তবে এত নিরাপত্তার মধ্যেও মন খারাপ ভাইজানের। তিনি জানিয়েছেন, “আমি বান্দ্রার রাস্তায় সাইকেল চালানোটা খুব মিস করি।” নিরাপত্তার কারণে সেই পুরনো স্বাভাবিক জীবনে আর ফিরে যেতে পারছেন না বলেই আক্ষেপ সালমান খানের।ভোরের আকাশ//হ.র
আমির খানের বাড়িতে ২৫ আইপিএস অফিসার অভিযান চালিয়েছেন। ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম এ খবর নিশ্চিত করেছে। কারণ কী? সে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায় আমির খানের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশের একটি ভ্যান ও একটি সরকারি বাস। ভিডিওটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর তাতে শুরু হয় জল্পনা কী কারণে এমন তল্লাশি?জানা গেছে, আমির খানের নামে রেজিস্টার্ড বিলাসবহুল রোলস রয়েস গাড়ি রাস্তায় চলাচল করছে। অথচ বছরখানেক আগেই এই তারকা নাকি গাড়িগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন কর্ণাটকের প্রভাবশালী রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী ইউসুফ শরিফের কাছে। আমিরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বলিউডরে আরেক শক্তিমান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনেরও নাম। তিনিও নাকি তার রোলস রয়েস গাড়িটি বিক্রি করেছেন।তবে সমস্যা হলো- ইউসুফ এখনও নিজের নামে গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেননি। এমনকি পরিশোধ করেননি রোড ট্যাক্সও।ফলে আইনি দিক দিয়ে এখনও গাড়িগুলোর মালিক হিসেবে আমির ও অমিতাভ বিবেচিত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে গাড়িগুলোর ব্যবহার ও কর ফাঁকির অভিযোগে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। সূত্র বলছে, এ মামলার প্রেক্ষিতেই আমির খানের বাড়িতে হানা দেয় প্রায় ২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা।ঘটনায় নাম জড়ালেও এখনও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি আমির খান বা অমিতাভ বচ্চন। তবে নেটিজেনদের একাংশের সন্দেহ, হয়তো বড়সড় বিপাকে পড়তে চলেছেন বলিউডের এ দুই মহারথী। এদিকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে ইউসুফ শরিফকেও। ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখন সময়ই বলে দেবে।ভোরের আকাশ/জাআ