স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৪৪ এএম
কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে: বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
একসময় হার্ট অ্যাটাককে শুধুমাত্র বয়স্কদের রোগ হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু বর্তমানে অল্প বয়সীদের মাঝেও এই মারাত্মক রোগ দ্রুত বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণ বয়সে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ার পেছনে রয়েছে কয়েকটি জীবনযাত্রাজনিত কারণ। এসব বিষয়ে সচেতন না হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিপদ।
হার্ট অ্যাটাক কেন হয়
রক্তনালিতে রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি হলে বা রক্ত জমাট বাঁধলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দেখা দেয়। হৃদপিণ্ডে রক্ত ঠিকভাবে পৌঁছাতে না পারলে রক্তনালিতে চাপ সৃষ্টি হয়, যা শেষ পর্যন্ত হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
ধূমপান ও অ্যালকোহল
তরুণদের বড় একটি অংশ ধূমপান ও অ্যালকোহলে আসক্ত। এর ফলে হার্টে প্রদাহ হয় এবং রক্তনালিতে প্লাক জমে যায়। এই প্রক্রিয়া দ্রুত হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
বার্গার, পিৎজা, বিরিয়ানি, চাউমিনসহ বিভিন্ন ফাস্ট ফুড খেতে সুস্বাদু হলেও এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। এর ফলেই তরুণ বয়সেই হৃদরোগ দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব খাবার বাদ দিয়ে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত।
শারীরিক অনুশীলনের অভাব
আধুনিক জীবনযাত্রায় ব্যায়ামের অভাবই তরুণদের বড় শত্রু হয়ে উঠছে। দীর্ঘ সময় বসে থাকা ও অনিয়মিত জীবনযাপন স্থূলতা বাড়ায় এবং শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মানসিক চাপ
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং প্রদাহ বাড়ায়। এর প্রভাব সরাসরি হৃদপিণ্ডে পড়ে। তাই মানসিক চাপ কমাতে ডিপ ব্রিদিং, মেডিটেশন বা মাইন্ডফুলনেস চর্চার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে হলে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। ধূমপান ও ফাস্ট ফুড বাদ দেওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণই পারে তরুণদের হৃদয় রক্ষা করতে।
ভোরের আকাশ//হ.র