চলতি বছর হজে অংশ নিয়েছেন ৬ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি
চলতি হজ মৌসুমে মোট ৬ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি হজ পালন করেছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ২৫০ জন পশ্চিম তীর ও দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে এবং ১,৩৫০ জন গাজা উপত্যকা থেকে হজে অংশ নেন।
গাজা থেকে আগত হাজিরা বর্তমানে মিশরে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই তারা সৌদি আরবে গিয়ে হজ সম্পন্ন করেছেন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ফজরের আগে তাদের মিনা থেকে আরাফার ময়দানে স্থানান্তর করা হয়। পুরো কার্যক্রম শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফিলিস্তিনের ধর্ম ও ওয়াকফবিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফা নাজম দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘ওয়াফা’-কে জানান, হজযাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব হাজিই নিরাপদ ও সুস্থ অবস্থায় ছিলেন এবং তারা সময়মতো আরাফায় উপস্থিত হয়েছেন।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি হাজিদের জন্য নির্ধারিত হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৩,৩২০ থেকে ৩,৮১৭ জর্ডানিয়ান দিনার, যা প্রায় ৪,৬৮০ থেকে ৫,৩৮০ মার্কিন ডলারের সমান।
মন্ত্রী নাজম আরও বলেন, চলমান যুদ্ধাবস্থার মধ্যেও এবারের হজে অংশ নেওয়া গাজার জনগণের জন্য বিশেষ অর্থবহ। ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে বিপর্যস্ত গাজা উপত্যকায় গত কয়েক মাসে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। এ ছাড়া এখনও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও সিনেটর মিগেল উরিবে। শনিবার (৭ জুন) প্রচার কার্যক্রম চলাকালে অজ্ঞাত এক বন্দুকধারী তার ওপর হামলা চালায়। এতে তার মাথায় দুটি ও শরীরে একটি গুলি লাগে বলে জানা গেছে।স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছে।গুরুতর আহত অবস্থায় মিগেল উরিবে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্ত্রী মারিয়া ক্লাউডিয়া তারাজোনা দেশবাসীর প্রতি প্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “মিগুয়েল এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। যারা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাদের হাতে যেন ঈশ্বর শক্তি দেন—এই কামনা করি।”এই হামলার ঘটনায় কলম্বিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ডেমোক্র্যাটিক সেন্টার পার্টি এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য সহিংসতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দ্রুত বিচার দাবি করেছে।৩৯ বছর বয়সী মিগেল উরিবে কলম্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট আলভারো উরিবের নাতি। তিনি বর্তমানে বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক সেন্টারের শীর্ষ নেতা এবং ২০২৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সম্প্রতি তিনি প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর শ্রম আইন সংস্কারের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেন, যা রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে।যদিও কলম্বিয়ার গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে সশস্ত্র সংঘর্ষ লেগেই থাকে, রাজধানীতে এমন রাজনৈতিক হামলা দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, বিবিসিভোরের আকাশ।।হ.র
যুক্তরাষ্ট্রে দুই চীনা বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের অভিযোগ ওঠার পর এক মার্কিন বিশেষজ্ঞ চীনের উদ্দেশে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন।তাঁর দাবি, যুক্তরাষ্ট্র যদি এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে।সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত ওই দুই বিজ্ঞানী হলেন ৩৩ বছর বয়সী ইউনকিং জিয়ান এবং তাঁর প্রেমিক ৩৪ বছর বয়সী জুনিয়ং লিউ। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘ফুসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম’ নামের একটি ছত্রাক যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। ছত্রাকটি ‘মাথার ক্ষয়’ রোগের জন্য দায়ী এবং এটি গম, ভুট্টা, বার্লি ও ধানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।মার্কিন বিচার বিভাগের ভাষ্য অনুযায়ী, এই ছত্রাককে সম্ভাব্য ‘কৃষি সন্ত্রাসবাদের অস্ত্র’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি মানুষের বমি, লিভার ক্ষতি এবং গবাদি পশুর প্রজনন সমস্যার কারণ হতে পারে। প্রতিবছর এই ছত্রাক বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ডলারের কৃষি ক্ষতির জন্য দায়ী।জানা গেছে, অভিযুক্ত এই দম্পতি পূর্বে চীনে ছত্রাকটির ওপর গবেষণা করেছেন। বিষয়টি সামনে আসার পর চীনবিষয়ক বিশিষ্ট মার্কিন বিশ্লেষক গর্ডন জি চ্যাং ফক্স নিউজ-কে বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মতো।”তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি এখনই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তারা কোভিড-১৯–এর থেকেও ভয়াবহ কিছু মোকাবিলা করতে বাধ্য হতে পারে।”উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ মহামারির সূচনা ও বিস্তার নিয়ে এখনও বিতর্ক বিদ্যমান। অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেন, ভাইরাসটির উৎপত্তি চীনের একটি ল্যাবে হয়েছিল।ভোরের আকাশ।।হ.র
নিউইয়র্কে আসন্ন এক সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ছিল যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও কূটনৈতিক হিসাব-নিকাশে তারা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।দুটি দেশ এখন সরাসরি স্বীকৃতির বদলে বলছে, তারা “স্বীকৃতির পথ তৈরি করবে।” এর অংশ হিসেবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি ও ফিলিস্তিনি নেতৃত্বে সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হবে।ইতিমধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেও, ইউরোপের বড় দেশগুলো এখনো সরাসরি পদক্ষেপ নেয়নি।ইসরায়েলও এর বিরোধিতা করছে এবং পশ্চিমতীরে বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।ভোরের আকাশ।।হ.র
লস অ্যাঞ্জেলেসে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ফেডারেল সরকারের পরিচালিত আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) অভিযানে সহিংসতা ও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।শনিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর প্রধান টম হোমান বলেন, “আমরা লস অ্যাঞ্জেলেসকে আরও নিরাপদ করে তুলছি।”ল্যাটিনো অধ্যুষিত প্যারামাউন্ট জেলায় চলমান অভিযানের বিরুদ্ধে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কাঁদানে গ্যাস, ফ্ল্যাশ ব্যাং এবং লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভের কারণে হোম ডিপোর আশপাশের এলাকা ধোঁয়া ও গ্যাসে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।আইসিই জানায়, চলতি সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে পরিচালিত অভিযানে মোট ১১৮ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে শুধু শুক্রবারই গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৪ জন।এই অভিযানকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে সমালোচনা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। তার মুখপাত্র জানিয়েছেন, শনিবার গভর্নর নিউসম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন, তবে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।এদিকে হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আইসিই অফিসার ও ফেডারেল এজেন্টদের উপর সহিংস হামলা হয়েছে, যা গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করেছে।”এফবিআইয়ের উপ-পরিচালক ড্যান বোঙ্গিনো এক্স-এ দেওয়া একটি পোস্টে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তোমরা বিশৃঙ্খলা করবে, আর আমরা হাতকড়া নিয়ে আসব। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে।”লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস আইসিই-এর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেছেন, “আইসিই এই শহরে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে।”প্যারামাউন্টের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অনেক অনথিভুক্ত অভিবাসী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আটকা পড়ে আছেন এবং বাইরে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। উল্লেখযোগ্য যে, এই জেলার প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দা হিস্পানিক।এখনও এলাকাটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে অব্যাহতভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।ভোরের আকাশ।।হ.র