বাংলাদেশ-পাকিস্তান সীমান্তে বিএসএফ নতুন ১৬টি ব্যাটালিয়ন ও ২ হেডকোয়ার্টার গঠন করবে
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারি জোরদার করতে আরও ১৬টি ব্যাটালিয়ন গঠনের পরিকল্পনা করেছে। নতুন এই ইউনিটগুলোতে প্রায় ১৭ হাজার নতুন সদস্য যুক্ত হবেন। পাশাপাশি সীমান্তের দুই প্রান্তে স্থাপন করা হবে দুটি ‘ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার’ বা অগ্রবর্তী সদর দপ্তর। খবর পিটিআইয়ের।
সূত্রমতে, এই উদ্যোগের নীতিগত অনুমোদন ইতোমধ্যে মিলেছে। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে পরিকল্পনাটি। অনুমোদন পেলে সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এটি বিএসএফের সক্ষমতা বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে বিএসএফের রয়েছে ১৯৩টি ব্যাটালিয়ন। প্রতিটি ব্যাটালিয়নে রয়েছেন এক হাজারের বেশি সদস্য। নতুন ১৬টি ব্যাটালিয়ন গঠনের মাধ্যমে সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব আরও কার্যকর হবে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, নতুন ব্যাটালিয়নগুলো মূলত বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেই নিয়োজিত থাকবে।
এছাড়া, দুটি নতুন ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হবে— একটি জম্মুতে, পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারি জোরদার করতে; অপরটি মিজোরামে, বাংলাদেশ সীমান্তে তৎপরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে।
বিএসএফ অচিরেই নতুন এই ব্যাটালিয়নগুলোর জন্য পুরুষ ও নারী সদস্য নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করবে। এরপর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পুরো ইউনিট গঠনের কাজ আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ//র.ন
সংশ্লিষ্ট
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই। হামলার শিকার থেকে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতালও। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ হাজার ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ১৯ হাজার ৯১৯ জন আহত হয়েছেন। যদিও সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে তারাও মারা গেছেন। ফলে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি।এদিকে ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় একদিনে ১৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার মেডিকেল সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬১ জন। উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় আল–তাওবাহ চিকিৎসাকেন্দ্রে ইসরাইলি বিমান হামলায় প্রাণ গেছে আরও অন্তত ১৫ জনের। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্প থেকে একজন প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, আল-তাওবাহ ক্লিনিকের ওপরের তলায় রোগীরা হতাহত হয়েছেন। এখানের ভুক্তভোগীদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।১৯৪৮ সালে মাতৃভূমি হারানোর দিন হিসেবে ১৫ মে নাকবা বা মহাবিপর্যয় দিবস পালন করেন ফিলিস্তিনিরা। আর এই দিবসেই গাজার দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলে নতুন করে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার কারণে অন্তত তিনটি হাসপাতালের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।এদিকে এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা চলার মধ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এতে ইসরায়েলি বাহিনীর আচরণকে ‘মরিয়া ও আগ্রাসী’ বলেও উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়, যাতে নিহত হয় প্রায় ১ হাজার ১৩৯ জন এবং ২০০-এর বেশি মানুষকে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরদিন থেকেই গাজায় লাগাতার বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরাইলের মাটিতে হামলা চালায়। এতে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরাইল।ভোরের আকাশ/আজাসা
‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ ভারতের ৯টি বিমানবন্দরে তুরস্কভিত্তিক গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রতিষ্ঠান সেলেবি এভিয়েশনের কার্যক্রমের লাইসেন্স বাতিল করেছে দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা শাখা (BCAS)। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক আদেশে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস দীর্ঘদিন ধরে মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, কোচিন, কন্নড়, চেন্নাই, গোয়ার মোপা এবং আরও কিছু প্রধান বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিয়ে আসছিল। সেই সঙ্গে তারা বিশাখাপট্টনম বিমানবন্দরেও কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনায় ছিল।তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেলেবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভারতে তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে দেশীয় নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত। তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে কাজ করে এবং কোনো বিদেশি সরকারের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।সংস্থার সিইও এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় নাগরিকদের পরিচালনায় পরিচালিত একটি সংস্থা। আমাদের পরিচালনা পর্ষদেও কোনো তুর্কি নাগরিক নেই। মুম্বাইয়ে আমাদের ৩ হাজারের বেশি কর্মী কর্মরত আছেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা ভারতের এফডিআই নীতিমালা এবং এফআইপিবির অনুমোদন নিয়েই এগিয়েছি।”তবে এই বাতিল সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক চাপের ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন শিবসেনার বিধায়ক মুরজি প্যাটেল সম্প্রতি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে দাবি করেছিলেন, তুরস্ক অতীতে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছে এবং এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পটভূমিতে তুরস্কের পাকিস্তানপ্রীতি স্পষ্ট হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, কূটনৈতিক বাস্তবতা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমসভোরের আকাশ//হ.র
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক বিমান হামলায় নাকবার ৭৭তম বার্ষিকীতে অন্তত ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই দিনটি ফিলিস্তিনিরা স্মরণ করে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় তাদের মাতৃভূমি থেকে উৎখাতের বেদনার স্মৃতি নিয়ে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৩,০১০ জনে, এবং আহত হয়েছে ১১৯,৯১৯ জন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের অধিকাংশকে মৃত হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।এদিকে, মার্কিন কূটনীতিক মার্কো রুবিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে জানান, যুক্তরাষ্ট্র গাজাবাসীর দুর্দশা বুঝতে পারছে—যদিও যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইসরায়েলকে পূর্ণ সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০-রও বেশি মানুষ জিম্মি করা হয়েছিল।এখন পর্যন্ত গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও জরুরি সহায়তার আহ্বান জানালেও সহিংসতা থামার কোনো লক্ষণ নেই। নাকবার এই বিশেষ দিনে ইসরায়েলের এই হামলা ইতিহাসের ক্ষতকে আরও গভীর করে তুলেছে।ভোরের আকাশ//হ.র
গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলকে সরাসরি ‘গণহত্যাকারী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। বুধবার (১৫ মে) মাদ্রিদে পার্লামেন্টের এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ ঘোষণা দেন।কাতালান পার্লামেন্ট সদস্য গ্যাব্রিয়েল রুফিয়ানের সমালোচনার জবাবে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কোনো গণহত্যাকারী রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করি না—একেবারেই না। ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের আর কোনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকবে না।”এর আগেও গাজা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সানচেজ, তবে এবারই প্রথম তিনি সরাসরি ইসরায়েলকে ‘গণহত্যাকারী রাষ্ট্র’ হিসেবে উল্লেখ করলেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি স্পেনের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং ইউরোপীয় অবস্থানে নতুন মাত্রা যোগ করলো।স্পেনের বামপন্থী জোটসঙ্গী ‘সুমার’ দল আগে থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে আসছিল। দলের নেত্রী ও দ্বিতীয় উপ-প্রধানমন্ত্রী ইয়োলান্দা দিয়াজ একাধিকবার ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য দায়ী করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানান।প্রধানমন্ত্রী সানচেজের সর্বশেষ বক্তব্যে স্পেন-ইসরায়েল কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে।ভোরের আকাশ//হ.র