ইরান-সমর্থিত চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র
মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চারটি ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই চারটি সংগঠন হলো— হারাকাত আল-নুজাবা, কাতায়েব সাইয়্যিদ আল-শুহাদা, হারাকাত আনসার আল্লাহ আল-আউফিয়া এবং কাতায়েব আল-ইমাম আলি। এদের আগে থেকেই ‘বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, এই মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো সরাসরি মার্কিন স্বার্থকে লক্ষ্যবস্তু করে। তারা বারবার বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস ও মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ও জোট বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। গোষ্ঠীগুলো তাদের অংশগ্রহণ গোপন রাখার জন্য ভুয়া নাম ব্যবহার বা প্রক্সি বাহিনী তৈরি করে হামলা চালায়, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল করছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সম্পর্ককে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করতে পারে। তবে ওয়াশিংটনের অবস্থান, মার্কিন নাগরিক ও স্বার্থের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এটি অপরিহার্য ছিল।
ভোরের আকাশ // হ.র
সংশ্লিষ্ট
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ করতে চান। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্কাই নিউজকে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সউদ এই তথ্য জানিয়েছেন।গত বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে আট মুসলিম দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প গাজার যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, “গাজার যুদ্ধ অনেক দূর গিয়েছে। সাধারণ মানুষ নিহত ও আহত হচ্ছে। এখানে এখন দুর্ভিক্ষ চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জিম্মিদের মুক্তি ও গাজার মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনতে চান।”তিনি আরও আশা প্রকাশ করেছেন, শুরু হওয়া আলোচনা যুদ্ধবিরতি আনতে সক্ষম হবে।দুই সপ্তাহ আগে জাতিসংঘের কমিশন জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায়। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৬৫ হাজারের বেশি, আহত হয়েছে দেড় লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। ভোরের আকাশ/হ.র
উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যকার অস্ত্র বাণিজ্য নেটওয়ার্ক, এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কিত দুই দেশের দুই সরকারি কোম্পানি এবং দুই কোম্পানির মোট ৫ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অস্ত্র বাণিজ্যের পুরো প্রক্রিয়াটি চলে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল শুন লেই কোম্পানি লিমিটেড এবং কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোরিয়া মাইনিং ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশন (কোমিড)— এই দুই কোম্পানির মধ্যে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, রয়্যাল শুন লেই কোম্পানি লিমিটেড, সেটির পরিচালক অউং কো কো উ , দুই শীর্ষ কর্মকর্তা কিয়াও থু মিয়ো মিন্ত ও তিন মিও অউং এবং কোমিডের উপপরিচালক কিম ইয়ং জু ও কর্মকর্তা ন্যাম চোল উং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মিয়ানমারের কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ, অস্ত্রের ফরমায়েশ নেওয়া, চালান পাঠানো এবং অস্ত্র বিক্রয়ের অর্থ উত্তর কোরিয়ার সরকার ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ফরেন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করতেন কোমিডের দুই কর্মকর্তা।উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ফরেন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে কয়েক বছর আগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি জন হার্লে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলেন, “উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র উৎপাদন ও বাণিজ্য নেটওয়ার্ক অবৈধ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের জন্য সরাসরি হুমকি।”ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া জানতে উত্তর কোরিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু দুই দেশের কোনো কর্মকর্তাই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সূত্র : রয়টার্সভোরের আকাশ/মো.আ.
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী দাঁত দিয়ে স্বামীর কান কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুরে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর প্রদেশের কানপুরে ভয়াবহ দাম্পত্য কলহে এক নারী তার স্বামীর ডান কান কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেছেন। সোমবার রাতে ঘরে ঝগড়ার একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।আহত স্বামীর নাম অমিত সোনকার। তিনি জানান, তার স্ত্রী সারিকা প্রথমে তাকে মারধর করেন, এরপর দাঁত দিয়ে কান কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেন।তিনি আরও বলেন, “সে আমার সঙ্গে থাকতে চায় না। টাকার পাশাপাশি আলাদা বাড়ি চাচ্ছে। কিন্তু আমরা তো গরিব মানুষ, বাজারে সবজি বিক্রি করে সংসার চালাই। এত টাকা কোথায় পাব?”অমিত দাবি করেন, তিনি সোফায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন স্ত্রী ঝগড়া শুরু করেন এবং তাকে আক্রমণ করেন। তার ভাষায়, “আমি আত্মরক্ষার জন্য ঠেলে সরিয়ে দিলে সে আমাকে মারধর করে। পরে বিছানায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ আমার কান কামড়ে ফেলে।”অমিত আরও অভিযোগ করেন, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়েও আক্রমণ করা হয়েছে।আট বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে তাদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সম্পর্ক ভেঙে গেছে এবং আদালতে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে।অমিত সোনকার কান ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় থানায় অভিযোগ করেছেন এবং জানিয়েছেন, তিনি আর স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে চান না। অপরদিকে, স্ত্রী সারিকাও স্বামীর কাছ থেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করে পাল্টা অভিযোগ করেছেন।পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আগে থেকেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। সেই জটিলতা থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। উভয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে, তদন্ত চলছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত বৈঠক নিয়ে আলোচনার সময় বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ছয়টি মার্কিন কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে চীন।সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিনটি কোম্পানিকে ‘অনির্ভরযোগ্য সত্তার তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা কার্যত তাদেরকে বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য থেকে নিষিদ্ধ করে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “কোম্পানিগুলো তাইওয়ানের সাথে সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় জড়িত হয়েছে, যা চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করছে।”মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘কোম্পানিগুলো তাইওয়ানের সাথে তথাকথিত সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় জড়িত হয়েছে, যা চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করছে।’চীনের ‘অনির্ভরযোগ্য সত্তার তালিকায়’ যুক্ত করা কোম্পানিগুলো হলো– মনুষ্যবিহীন যানবাহন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সারনিক টেকনোলজিস, স্যাটেলাইট প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যারকম এবং সাবসি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম ওশানিয়ারিং ইন্টারন্যাশনাল।পৃথকভাবে, আরও তিনটি মার্কিন কোম্পানিকে চীনের রফতানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।এর ফলে তারা সামরিক এবং বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই ‘দ্বৈত ব্যবহারের’ পণ্যের চীনা চালান গ্রহণ করতে পারবে না।কোম্পানিগুলো হলো– সামরিক জাহাজ নির্মাতা হান্টিংটন ইঙ্গলস ইন্ডাস্ট্রিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফ্যাসিলিটিস ম্যানেজার প্লানেট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ এবং ইন্টেলিজেন্স ফার্ম গ্লোবাল ডাইমেনশনস।এই তিন কোম্পানি ‘চীনের জাতীয় নিরাপত্তা এবং স্বার্থকে বিপন্ন করছে’ বলে জানিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোরের আকাশ/হ.র