বর্ষায় স্বস্তির সঙ্গী লবঙ্গ চা: পেট থেকে দাঁত—সুফল মিলবে নগদে!
বর্ষায় কখনো রোদ, কখনো ঝুম বৃষ্টি—এই আবহাওয়ার দোলাচলে বাড়ে সর্দি-কাশির প্রবণতা। এ সময় অনেকেই স্বস্তির জন্য মুখে রাখেন একটি লবঙ্গ। কিন্তু জানেন কি, শুধু মুখে রাখলেই নয়, লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে খেলেও মিলতে পারে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে এক কাপ চায়ের লিকারে যদি ফেলে দেওয়া হয় দুইটি লবঙ্গ, তবে শরীরে মিলবে নানা সুফল।
চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, লবঙ্গ চায়ের নিয়মিত বা মাঝে মাঝে সেবনে কী কী উপকার পাওয়া যায়—
১. গ্যাস ও বুক জ্বালায় মিলবে স্বস্তি
অনেকেই সকালে উঠেই গ্যাসের ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে লবঙ্গ চা খাওয়া শুরু করলে সেই অভ্যাস বদলাতে পারে। লবঙ্গ হজমে সহায়ক এক ধরনের এনজাইম নিঃসরণ ঘটায়, যা গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া ও হজমের সমস্যায় দারুণভাবে কাজ করে।
২. প্রদাহ কমায়, খাওয়ার পর অস্বস্তি দূর করে
লবঙ্গে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান দেহের নানা প্রদাহজনিত সমস্যা হ্রাস করে। বিশেষ করে অতিরিক্ত খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি এলে লবঙ্গ চা হতে পারে তাৎক্ষণিক সমাধান।
৩. দাঁতের যত্নে লবঙ্গ চা
যাদের দাঁতের ব্যথা, ক্ষয় কিংবা ক্যাভিটির সমস্যা রয়েছে, খাবার খাওয়ার পর মুখ ধুয়ে লবঙ্গ চা পান করলে উপকার পাওয়া যায়। লবঙ্গ দাঁতের গোড়া শক্ত করে এবং দাঁতের ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। লবঙ্গ চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। তবে পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করাই ভালো।
৫. লিভার ভালো রাখতে সহায়ক
লবঙ্গ চায়ে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর। নিয়মিত সেবনে লিভার সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
বর্ষায় কখনো রোদ, কখনো ঝুম বৃষ্টি—এই আবহাওয়ার দোলাচলে বাড়ে সর্দি-কাশির প্রবণতা। এ সময় অনেকেই স্বস্তির জন্য মুখে রাখেন একটি লবঙ্গ। কিন্তু জানেন কি, শুধু মুখে রাখলেই নয়, লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে খেলেও মিলতে পারে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা?স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে এক কাপ চায়ের লিকারে যদি ফেলে দেওয়া হয় দুইটি লবঙ্গ, তবে শরীরে মিলবে নানা সুফল।চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, লবঙ্গ চায়ের নিয়মিত বা মাঝে মাঝে সেবনে কী কী উপকার পাওয়া যায়—১. গ্যাস ও বুক জ্বালায় মিলবে স্বস্তিঅনেকেই সকালে উঠেই গ্যাসের ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে লবঙ্গ চা খাওয়া শুরু করলে সেই অভ্যাস বদলাতে পারে। লবঙ্গ হজমে সহায়ক এক ধরনের এনজাইম নিঃসরণ ঘটায়, যা গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া ও হজমের সমস্যায় দারুণভাবে কাজ করে।২. প্রদাহ কমায়, খাওয়ার পর অস্বস্তি দূর করেলবঙ্গে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান দেহের নানা প্রদাহজনিত সমস্যা হ্রাস করে। বিশেষ করে অতিরিক্ত খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি এলে লবঙ্গ চা হতে পারে তাৎক্ষণিক সমাধান।৩. দাঁতের যত্নে লবঙ্গ চাযাদের দাঁতের ব্যথা, ক্ষয় কিংবা ক্যাভিটির সমস্যা রয়েছে, খাবার খাওয়ার পর মুখ ধুয়ে লবঙ্গ চা পান করলে উপকার পাওয়া যায়। লবঙ্গ দাঁতের গোড়া শক্ত করে এবং দাঁতের ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়কগবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। লবঙ্গ চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। তবে পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করাই ভালো।৫. লিভার ভালো রাখতে সহায়কলবঙ্গ চায়ে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর। নিয়মিত সেবনে লিভার সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।ভোরের আকাশ//হ.র
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর ও ত্বকে নানা পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে ত্বক ধীরে ধীরে পাতলা ও ফ্যাকাশে হয়ে যায়, যা বয়সের ছাপ স্পষ্ট করে তুলে ধরে। তবে ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, সকালে নিয়মিত কিছু নির্দিষ্ট ফল খেলে বয়সের চেহারা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সেই ৫টি অ্যান্টি-এজিং ফলের নাম।১. পেঁপেপেঁপে ভিটামিন এ, সি, বিভিন্ন এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ব্রণ কমায়, সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। পাশাপাশি পেঁপে অন্ত্রের স্বাস্থ্যেও উপকারী।২. আমলকিআমলকি ভিটামিন সি ও শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অন্যতম উৎস। এটি ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে।৩. কালো আঙুরকালো আঙুরে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এর ফ্ল্যাভোনয়েড ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, আলঝাইমার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।৪. স্ট্রবেরিস্ট্রবেরিতে রয়েছে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, যা ত্বক পরিষ্কার ও ব্রণ প্রতিরোধে কার্যকর। এটি কম ক্যালোরি ও চিনি সমৃদ্ধ হলেও ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়ামের ভালো উৎস।৫. কিউইকিউই ভিটামিন সি, কে, ই ও ফাইবারে পূর্ণ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে।বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন এই ফলগুলো নিয়মিত খেলে শরীর ও ত্বক সুস্থ থাকবে, যা চেহারায় বয়সের ছাপ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।ভোরের আকাশ//হ.র
প্রোটিন-সমৃদ্ধ ও পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ডিমের কদর সর্বজনবিদিত। কিন্তু প্রতিদিন কতগুলো ডিম খাওয়া নিরাপদ? এ প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘোরাফেরা করে। স্বাস্থ্যসচেতনদের জন্য বিষয়টি জানা জরুরি।বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন ১ থেকে ৩টি ডিম নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। তবে যারা উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদরোগে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।ডিমে কী কী পুষ্টি উপাদান থাকে?একটি মাঝারি আকারের ডিমে সাধারণত থাকে:প্রোটিন: ৬-৭ গ্রামকোলেস্টেরল: প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রামভিটামিন: B12, D, Aকোলিন: মস্তিষ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণলুটিন ও জিয়্যাক্সানথিন: চোখের যত্নে সহায়কওমেগা-৩ (বিশেষ করে DHA): হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারীদিনে বেশি ডিম খেলে কী ক্ষতি হতে পারে?কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে: প্রতিটি ডিমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকায় দিনে ৩টির বেশি ডিম খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে, বিশেষ করে যাদের ইতিমধ্যেই কোলেস্টেরলজনিত সমস্যা রয়েছে।কিডনির ওপর চাপ পড়তে পারে: অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে দীর্ঘমেয়াদে কিডনিতে চাপ সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে যদি শরীরে পানির ঘাটতি থাকে।বদহজম ও গ্যাস: কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার পর গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।কোনভাবে ডিম খাওয়া সবচেয়ে ভালো?সেদ্ধ ডিম: সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর, কম ক্যালোরি ও কম কোলেস্টেরলযুক্তপোচ বা স্ক্র্যাম্বলড ডিম: অল্প তেলে তৈরি হলে তুলনামূলক ভালো, তবে ভাজার সময় ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ বাড়তে পারেসকালে নাস্তার সময় খাওয়া: দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করেকারা কতটি ডিম খাবেন?সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক: দিনে ১-২টি ডিম নিরাপদযারা ব্যায়াম করেন বা পেশি গঠন করছেন: দিনে ৩টি পর্যন্ত খেতে পারেনযাদের ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা বা উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে: অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিতডিম ছাড়াও প্রোটিন পাবেন যেসব খাবারে:মাছ (স্যামন, টুনা)মুরগির মাংসডাল, ছোলাদুধ, দইবাদাম, বীজজাতীয় খাবারবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডিম একটি দারুণ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। তবে প্রতিদিন কতটি ডিম খাবেন, তা নির্ভর করে আপনার শরীরের চাহিদা, জীবনযাত্রা ও স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর। তাই বুঝে, হিসেব করে এবং ভারসাম্য বজায় রেখে খাওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।ভোরের আকাশ//হ.র
আপনি কি চুল পড়া রোধে কিংবা নতুন চুল গজানোর জন্য বাজারের দামি সিরাম ব্যবহার করেও সন্তুষ্ট নন? এবার ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই তৈরি করতে পারেন কার্যকরী হেয়ার সিরাম, যা আপনার চুলকে দেবে স্বাস্থ্যকর ও মজবুত করার শক্তি। নারকেল তেল, অ্যালোভেরা, গোলাপজল ও গ্লিসারিনের মতো সহজ উপাদান দিয়ে এই সিরামগুলো তৈরি করা যায়।সিরামের কার্যকারিতাচুলে ব্যবহৃত সিরামে থাকে আর্দ্রতা ধরে রাখার উপাদান যেমন হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও গ্লিসারিন, যা চুল শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ভালোভাবে আর্দ্র থাকা চুল সহজে ভাঙে না, ফলে চুল বাড়তে থাকে। নারকেল, বাদাম ও আরগান তেলের ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়, সময়ের সঙ্গে চুলকে ঘন ও মজবুত করে। সিরাম চুলের ওপর রোদ ও ধুলাবালি থেকে সুরক্ষা দেয়, ফ্রিজ কমায় এবং চুল মসৃণ রাখে।৫টি সহজ ঘরোয়া সিরাম১. অ্যালোভেরা ও নারকেল তেলের সিরামউপকরণ: ২ টেবিল চামচ টাটকা অ্যালোভেরা জেল, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ইচ্ছামতো ৩-৪ ফোঁটা রোজমেরি তেল।ব্যবহার: সব উপকরণ মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। গোসলের পর ভেজা চুলে শুধু মাঝখান থেকে আগা পর্যন্ত লাগান।২. গোলাপজল ও গ্লিসারিন সিরামউপকরণ: ৩ টেবিল চামচ গোলাপজল, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, ২-৩ ফোঁটা ভিটামিন ই তেল।ব্যবহার: সব উপকরণ স্প্রে বোতলে মিশিয়ে চুল ধোয়ার পর ভেজা চুলে স্প্রে করুন। দিনে একাধিকবার ব্যবহার করা যায়।৩. গ্রিন টি ও অ্যালোভেরা সিরামউপকরণ: ১/৪ কাপ ঠান্ডা গ্রিন টি, ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ চা চামচ মধু।ব্যবহার: উপকরণগুলো মিশিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। শ্যাম্পুর পর ভেজা চুলে লাগান।৪. জবা ফুল ও জলপাই তেলের সিরামউপকরণ: ৪-৫টি ধোয়া জবা ফুলের পেস্ট, ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল।ব্যবহার: ফুলের পেস্ট ও তেল মিশিয়ে হালকা গরম করুন। ভেজা চুলে ৩০ মিনিট রাখুন। প্রয়োজন হলে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।সতর্কতাঘরোয়া সিরাম নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ভাঙা কমে, আর্দ্রতা বজায় থাকে ও চুল শক্তিশালী হয়। তবে কোনো চুলের সমস্যা থাকলে, ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।তথ্যসূত্র: হেলথ শটসভোরের আকাশ//হ.র