স্ত্রীকে যেসব কথা না বললে সম্পর্ক টেকসই ও সুখী থাকে
দাম্পত্য জীবন যতই মজবুত হোক না কেন, কিছু ছোট মন্তব্য বা বাক্য এক মুহূর্তে সম্পর্কের বন্ধন দুর্বল করে দিতে পারে। অনেক সময় আমরা অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন কথা বলি, যা আমাদের স্ত্রীকে আঘাত করে—কিন্তু বুঝতে পারি না কতটা গভীর ক্ষত তৈরি হলো।
সম্পর্ক মানে শুধু একসঙ্গে থাকা নয়, এটি সম্মান, বোঝাপড়া ও সহানুভূতির বন্ধন। চলুন জেনে নিই, কোন কথাগুলো স্ত্রীর সঙ্গে বলার সময় এড়িয়ে চলা উচিত—যাতে সম্পর্ক থাকে ভালোবাসা ও বিশ্বাসে ভরপুর।
১. শরীর নিয়ে কটাক্ষ করা
বয়স বাড়া বা মা হওয়ার পর শরীরে পরিবর্তন আসবেই। তবে ‘মোটা হয়ে গেছো’, ‘আগের মতো লাগছে না’—এরকম মন্তব্য মজা মনে হলেও স্ত্রীর আত্মবিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভালোবাসা প্রকাশ করতে চাইলে নেতিবাচক মন্তব্যের বদলে সাহায্য বা প্রশংসা করুন।
২. রান্নার সঙ্গে মায়ের তুলনা
‘মায়ের রান্নার মতো স্বাদ পাচ্ছি না’—এ ধরনের তুলনা স্ত্রীর মমতা ও শ্রমকে অবমূল্যায়ন করে। রান্নার ক্ষেত্রে প্রশংসা ও উৎসাহ দেয়া সম্পর্ককে গড়ে তোলে।
৩. প্রাক্তনের সঙ্গে তুলনা
পুরোনো সম্পর্কের গল্প আজকের সঙ্গীর সঙ্গে তুলনা করা অসংবেদনশীল। স্ত্রী চায় আপনি তাকেই বোঝেন ও গ্রহণ করেন। তুলনা কেবল কষ্ট বাড়ায়।
৪. ‘তুমি ওভাররিঅ্যাক্ট করছো’ বলা
স্ত্রী রেগে গেলে ‘বাড়াবাড়ি করছো’ বা ‘ছোট ব্যাপারে এত রাগ’—এ ধরনের মন্তব্য তার অনুভূতিকে ছোট করে। বরং তাকে সময় দিন, শান্ত হতে দিন এবং বোঝার চেষ্টা করুন কেন সে রেগে গেছে।
৫. ‘এই বিয়েটা ভুল ছিল’ বলা
রাগের মুহূর্তে এমন কথাই হতে পারে সম্পর্কের ধ্বংসের শুরু। সমস্যা হলে মিলে সমাধান খুঁজুন, অপমান নয়।
৬. স্ত্রীকে ‘বোকা’ বা অপমান করা
ভুল হলে গঠনমূলকভাবে বোঝান। ‘তুমি কিছুই পারো না’ বা ‘অজ্ঞান’—এ ধরনের কথা তার আত্মমর্যাদায় আঘাত আনে। সম্পর্ক টেকসই রাখতে সম্মান ও ধৈর্য জরুরি।
সম্পর্ককে ধরে রাখার জন্য করণীয়
কথা বলার আগে ভাবুন—আপনার শব্দ কি কষ্ট দেবে?
রাগের সময় চুপ থাকা বা শান্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
কথার বদলে ভালোবাসা ও সহানুভূতি দিয়ে বোঝানো।
সম্পর্ক সুন্দর রাখতে শুধু ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়, সচেতনতা ও মনোযোগও অপরিহার্য।
ভোরের আকাশ // হ.র
সংশ্লিষ্ট
চুমু শুধু ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যমই নয়, এতে রয়েছে বেশ কিছু চমকপ্রদ শারীরিক উপকারিতাও। নিয়মিত চুমু খাওয়া মানসিক শান্তি থেকে শুরু করে মুখের পেশীর ব্যায়াম পর্যন্ত—নানাভাবেই শরীরকে উপকার করে। আসুন জেনে নিই চুমুর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:১. স্ট্রেস কমায়, বাড়ায় সুখানুভূতিচুমু খাওয়ার সময় শরীরে অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনগুলো মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়, মন ভালো রাখে এবং একটি ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি করে।২. হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় সহায়কচুমু খাওয়ার সময় হৃদস্পন্দন কিছুটা বেড়ে যায়, যা রক্ত সঞ্চালনকে সচল রাখে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।৩. মুখের পেশী শক্তিশালী করেচুমু খাওয়ার সময় প্রায় ৩০টির বেশি মুখের পেশী সক্রিয় থাকে। এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যায়ামের কাজ করে, যা মুখের টোন বজায় রাখে এবং বয়সের ছাপ ধীরে আসতে সাহায্য করে।৪. ঠোঁট ও ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করেচুমুর সময় ঠোঁটে রক্ত চলাচল বাড়ে, যা ঠোঁটকে নরম ও উজ্জ্বল রাখে। এটি ঠোঁটের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে।৫. শরীর গরম রাখেচুমু খাওয়ার সময় শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ে, যা শীতকালে দারুণ কার্যকর হতে পারে। এটি শরীরকে তাজা ও উদ্যমী রাখে।৬. মানসিক সংযোগ গভীর করেচুমু পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়, যা সম্পর্কে আবেগ ও বিশ্বাস গড়ে তোলে। দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি মানসিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।৭. ইমিউন সিস্টেমও উপকার পেতে পারেগবেষণায় দেখা গেছে, চুমুর মাধ্যমে কিছু ব্যাকটেরিয়া বিনিময় হয়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষণ দেয় এবং কার্যকর করে তুলতে পারে। ভোরের আকাশ/হ.র
উৎসব বা বিশেষ দিনে টেবিলে মাটন তেহারি থাকলে পরিবেশ আরও জমজমাট হয়। গরুর মাংস খেতে অনেকে অনিচ্ছুক হলেও, খাসির মাংস দিয়ে তেহারি রান্না করলে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়। রেসিপি ঠিকভাবে জানা থাকলে দ্রুত ও সহজভাবে গরম গরম তেহারি পরিবেশন করা সম্ভব। মাটন তেহারি তৈরির রেসিপি-তৈরি করতে যা লাগবেখাসির মাংস- আধা কেজিপোলাওর চাল- আধা কেজিটক দই- ১ কাপপেঁয়াজ কুচি- ১ কাপকাঁচা মরিচ- ১০-১২টিসয়াবিন তেল- ১ কাপরসুনবাটা- ১ চা চামচশাহি জিরা- ১ চা চামচআদা বাটা- ১ টেবিল চামচগোলমরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচকেওড়া জল- ২ টেবিল চামচগুঁড়া দুধ- ২ টেবিল চামচপেঁয়াজ বেরেস্তা- আধা কাপকিশমিশ- পরিমাণমতোগরম মসলা- পরিমাণমতো।সংগৃহীত ছবিযেভাবে তৈরি করবেনছোট ছোট টুকরা করে মাংস কেটে নিন। এরপর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার মাংসের সঙ্গে টক দই, আদা, রসুন, ও লবণ দিয়ে মেরিনেট করে রাখুন আধা ঘণ্টা। রান্নার হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে নিন। এরপর তাতে মাংস, কাঁচা মরিচ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল মাখামাখা হলে গোলমারিচ গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে দিন। অল্প আঁচে ঢেকে রাখুন।পোলাওর চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে চালের দেড় গুণ পানিতে গুড়া দুধ মিশিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে তাতে লবণ, তেজপাতা, এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে চালের সমান হয়ে গেলে রান্না করা মাংস চালের উপরে দিয়ে অল্প আঁচে দমে রাখুন। মিনিট দশেক পর মিনিট পর পোলাও ও মাংস ভালোভাবে মিশিয়ে কেওড়াজল ও শাহি জিরা ওপরে ছিটিয়ে আরও দশ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিন। এরপর গরম গরম পরিবেশন করুন।ভোরের আকাশ/তা.কা
এডিস মশার প্রকোপ কোনোভাবেই কমছে না। চলতি মাসেই একদিনে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন রেকর্ড ১২ জন। নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের জন্য এডিস থেকে বাঁচার সহজ হাতিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে মশার কয়েল।তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কয়েল কিছু ক্ষেত্রে মশা দূর করতে সাহায্য করলেও এর ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তাই মশা থেকে নিরাপদে বাঁচতে মশারি ছাড়া কার্যকর বিকল্প নেই বলেই মত চিকিৎসকদের।শহরের অলিগলির দোকানগুলোতে সহজেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মশার কয়েল। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় এসব কয়েল নিয়মিতই কেনেন সাধারণ মানুষ। কেউ ব্যবহার করছেন ২৪ ঘণ্টার, কেউ বা ৭২ ঘণ্টার কার্যকারিতা দাবি করা কয়েল। ফলে ঘরে ঘরেই জ্বলছে কয়েল, আর বন্ধ ঘর ধোঁয়ায় ভরে উঠছে।তবে রাতে কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমানো মানেই ডেঙ্গুর ভয়াল থাবা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকা নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, কয়েল শতভাগ মশা দূর করতে পারে না বরং এর ব্যবহারে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।চিকিৎসকরা জানান, মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে গিয়ে মানুষ নিজের অজান্তেই ফুসফুসের ক্ষতি করছেন। কয়েলের ধোঁয়ায় এমন কিছু গ্যাস থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণে বাধা সৃষ্টি হয়।রাজধানীর কিছু ঘুরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের অনেকেই নিয়মিত কয়েল ব্যবহার করতেন। কিন্তু কয়েল ব্যবহারের পরও তারা ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাননি। বরং ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা এবং নানা অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন তারা। রোগীদের ভাষ্য, কয়েল জ্বালালেও মশা পুরোপুরি দূর হচ্ছে না, উল্টো ধোঁয়ার কারণে শারীরিক সমস্যা বাড়ছে।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, মশার কয়েল মানবস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই ধোঁয়া মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, মশা তাড়াতে যে কয়েল বা অ্যারোসল ব্যবহার করা হচ্ছে, তা কখনও কখনও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। এসব পণ্যের ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুসের ক্যান্সার, অ্যাজমা, হাঁপানি, অ্যালার্জি এমনকি ফুসকুরিও দেখা দিতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, মশার কয়েল ব্যবহারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি এইসব পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণে কড়া নজরদারি প্রয়োজন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
কলা আমাদের পরিচিত একটি ফল, যা বছরের যেকোনো সময় বাজারে সহজলভ্য এবং খেতে ঝামেলাহীন। নাশতা, দুপুর বা বিকেলে—প্রায় সকল সময়েই এটি অনেকের প্লেটে জায়গা করে নেয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কলার পূর্ণ উপকারিতা পেতে খাওয়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ।শরীরকে শক্তি দিতে:ব্যায়ামের আগে: ব্যায়ামের ১৫–৩০ মিনিট আগে একটি কলা খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি আসে এবং পেশি কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত হয়।নাশতার সঙ্গে: দই, ওটস বা পাউরুটির সঙ্গে কলা খেলে দিনের শুরুটা হয় চাঙা, ক্লান্তি আসতে দেরি হয়।দুপুর বা বিকেলে: দুপুরের খাবারের পর বা বিকেলের স্ন্যাকস হিসেবে কলা খেলে শক্তি ফিরিয়ে আনা যায় এবং মনও ভালো থাকে।হজমশক্তি বাড়াতে:খাবারের সঙ্গে: নাশতা বা দুপুরের খাবারের সঙ্গে কলা খেলে ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে।অপক্ব কলা: আধাপাকা বা কাঁচা কলায় থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় ও হজমে সহায়তা করে।রাতের খাবারের পরে: সাধারণত হজমে সমস্যা না থাকলে রাতেও কলা খাওয়া যায়, তবে হজমের সমস্যা থাকলে এ সময় এড়িয়ে চলা যেতে পারে।ওজন নিয়ন্ত্রণে কলার ভূমিকা:খাবারের আগে: ভাত বা রুটির আগে একটি কলা খেলে পেট ভরে যায়, অতিরিক্ত খাওয়া কমে।স্ন্যাকস হিসেবে: দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝে কলা ক্ষুধা মিটায়, ক্যালরিও বাড়ায় না বেশি।ব্যায়ামের আগে: কলা খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়, যা পরে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে।অপক্ব কলা: ফাইবার বেশি, চিনি কম—রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ও ওজন কমাতে সহায়ক।পুষ্টিগুণ: একটি মাঝারি আকারের কলায় প্রায় ১০৫ ক্যালরি থাকে। এছাড়াও পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি ও বি৬ আছে। পাকা কলায় চিনি কিছুটা বেশি হলেও অপক্ব কলায় ফাইবার ও স্টার্চ বেশি থাকে। নাশতা বা ওটমিলের সঙ্গে খেলে কলার পুষ্টিগুণ আরও ভালোভাবে কাজে আসে।সতর্কতা: দিনে একটি কলাই যথেষ্ট। ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে নিয়মিত কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।সূত্র: ওয়েবএমডি, ভেরি ওয়েল হেলথভোরের আকাশ//হ.র