সানস্ক্রিন ব্যবহারে সতর্ক না হলে বাড়তে পারে যেসব সমস্যা
সানস্ক্রিন ব্যবহারে সতর্ক না হলে বাড়তে পারে যেসব সমস্যা গরমের তীব্রতা কিংবা প্রতিদিনের বাইরে চলাফেরায় সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে সানস্ক্রিন ব্যবহার এখন নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও সঠিক নিয়ম না মানার কারণে উল্টো নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, সানস্ক্রিন ব্যবহারে অসতর্ক হলে যেসব ঝুঁকি বাড়তে পারে—
১. অকার্যকর সুরক্ষা
সানস্ক্রিন যথাযথভাবে না লাগালে বা প্রয়োজন অনুযায়ী পুনরায় না দিলে সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে সঠিক সুরক্ষা পাওয়া যায় না। এতে ত্বক পুড়ে যাওয়া বা সানবার্নের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২. অ্যালার্জি ও ত্বকের জ্বালা
ভুল ব্র্যান্ড, মেয়াদোত্তীর্ণ বা নিজের ত্বকের ধরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বকে অ্যালার্জি, লালচে ভাব কিংবা চুলকানি হতে পারে।
৩. পিগমেন্টেশন ও দাগ
সঠিকভাবে প্রয়োগ না করলে সানস্ক্রিন ত্বককে সমানভাবে সুরক্ষা দিতে পারে না। ফলে নির্দিষ্ট অংশে রোদে পুড়ে কালচে দাগ ও পিগমেন্টেশন দেখা দিতে পারে।
৪. ব্রণ ও রোমছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া
অয়েল-বেইসড বা ভারী সানস্ক্রিন ত্বকে ব্যবহার করলে রোমছিদ্র বন্ধ হয়ে ব্রণ বা একনে বেড়ে যেতে পারে।
৫. দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি
নিয়মিত অসতর্ক ব্যবহারে সূর্যের ক্ষতি থেকে সঠিকভাবে রক্ষা না পাওয়ায় ত্বকের আগাম বার্ধক্য, বলিরেখা এমনকি ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
কীভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন-
* বাইরে যাওয়ার অন্তত ২০–৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।
* প্রতি ২–৩ ঘণ্টা পর পুনরায় প্রয়োগ করা জরুরি।
* নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক সানস্ক্রিন বেছে নিতে হবে।
* ঘরে থাকার সময়ও জানালার কাছাকাছি বসলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ভালো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সহজেই সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।
ভোরের আকাশ // হ.র
সংশ্লিষ্ট
চুমু শুধু ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যমই নয়, এতে রয়েছে বেশ কিছু চমকপ্রদ শারীরিক উপকারিতাও। নিয়মিত চুমু খাওয়া মানসিক শান্তি থেকে শুরু করে মুখের পেশীর ব্যায়াম পর্যন্ত—নানাভাবেই শরীরকে উপকার করে। আসুন জেনে নিই চুমুর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:১. স্ট্রেস কমায়, বাড়ায় সুখানুভূতিচুমু খাওয়ার সময় শরীরে অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনগুলো মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়, মন ভালো রাখে এবং একটি ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি করে।২. হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় সহায়কচুমু খাওয়ার সময় হৃদস্পন্দন কিছুটা বেড়ে যায়, যা রক্ত সঞ্চালনকে সচল রাখে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।৩. মুখের পেশী শক্তিশালী করেচুমু খাওয়ার সময় প্রায় ৩০টির বেশি মুখের পেশী সক্রিয় থাকে। এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যায়ামের কাজ করে, যা মুখের টোন বজায় রাখে এবং বয়সের ছাপ ধীরে আসতে সাহায্য করে।৪. ঠোঁট ও ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করেচুমুর সময় ঠোঁটে রক্ত চলাচল বাড়ে, যা ঠোঁটকে নরম ও উজ্জ্বল রাখে। এটি ঠোঁটের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে।৫. শরীর গরম রাখেচুমু খাওয়ার সময় শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ে, যা শীতকালে দারুণ কার্যকর হতে পারে। এটি শরীরকে তাজা ও উদ্যমী রাখে।৬. মানসিক সংযোগ গভীর করেচুমু পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়, যা সম্পর্কে আবেগ ও বিশ্বাস গড়ে তোলে। দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি মানসিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।৭. ইমিউন সিস্টেমও উপকার পেতে পারেগবেষণায় দেখা গেছে, চুমুর মাধ্যমে কিছু ব্যাকটেরিয়া বিনিময় হয়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষণ দেয় এবং কার্যকর করে তুলতে পারে। ভোরের আকাশ/হ.র
উৎসব বা বিশেষ দিনে টেবিলে মাটন তেহারি থাকলে পরিবেশ আরও জমজমাট হয়। গরুর মাংস খেতে অনেকে অনিচ্ছুক হলেও, খাসির মাংস দিয়ে তেহারি রান্না করলে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়। রেসিপি ঠিকভাবে জানা থাকলে দ্রুত ও সহজভাবে গরম গরম তেহারি পরিবেশন করা সম্ভব। মাটন তেহারি তৈরির রেসিপি-তৈরি করতে যা লাগবেখাসির মাংস- আধা কেজিপোলাওর চাল- আধা কেজিটক দই- ১ কাপপেঁয়াজ কুচি- ১ কাপকাঁচা মরিচ- ১০-১২টিসয়াবিন তেল- ১ কাপরসুনবাটা- ১ চা চামচশাহি জিরা- ১ চা চামচআদা বাটা- ১ টেবিল চামচগোলমরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচকেওড়া জল- ২ টেবিল চামচগুঁড়া দুধ- ২ টেবিল চামচপেঁয়াজ বেরেস্তা- আধা কাপকিশমিশ- পরিমাণমতোগরম মসলা- পরিমাণমতো।সংগৃহীত ছবিযেভাবে তৈরি করবেনছোট ছোট টুকরা করে মাংস কেটে নিন। এরপর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার মাংসের সঙ্গে টক দই, আদা, রসুন, ও লবণ দিয়ে মেরিনেট করে রাখুন আধা ঘণ্টা। রান্নার হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে নিন। এরপর তাতে মাংস, কাঁচা মরিচ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল মাখামাখা হলে গোলমারিচ গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে দিন। অল্প আঁচে ঢেকে রাখুন।পোলাওর চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে চালের দেড় গুণ পানিতে গুড়া দুধ মিশিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে তাতে লবণ, তেজপাতা, এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে চালের সমান হয়ে গেলে রান্না করা মাংস চালের উপরে দিয়ে অল্প আঁচে দমে রাখুন। মিনিট দশেক পর মিনিট পর পোলাও ও মাংস ভালোভাবে মিশিয়ে কেওড়াজল ও শাহি জিরা ওপরে ছিটিয়ে আরও দশ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিন। এরপর গরম গরম পরিবেশন করুন।ভোরের আকাশ/তা.কা
এডিস মশার প্রকোপ কোনোভাবেই কমছে না। চলতি মাসেই একদিনে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন রেকর্ড ১২ জন। নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের জন্য এডিস থেকে বাঁচার সহজ হাতিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে মশার কয়েল।তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কয়েল কিছু ক্ষেত্রে মশা দূর করতে সাহায্য করলেও এর ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তাই মশা থেকে নিরাপদে বাঁচতে মশারি ছাড়া কার্যকর বিকল্প নেই বলেই মত চিকিৎসকদের।শহরের অলিগলির দোকানগুলোতে সহজেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মশার কয়েল। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় এসব কয়েল নিয়মিতই কেনেন সাধারণ মানুষ। কেউ ব্যবহার করছেন ২৪ ঘণ্টার, কেউ বা ৭২ ঘণ্টার কার্যকারিতা দাবি করা কয়েল। ফলে ঘরে ঘরেই জ্বলছে কয়েল, আর বন্ধ ঘর ধোঁয়ায় ভরে উঠছে।তবে রাতে কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমানো মানেই ডেঙ্গুর ভয়াল থাবা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকা নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, কয়েল শতভাগ মশা দূর করতে পারে না বরং এর ব্যবহারে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।চিকিৎসকরা জানান, মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে গিয়ে মানুষ নিজের অজান্তেই ফুসফুসের ক্ষতি করছেন। কয়েলের ধোঁয়ায় এমন কিছু গ্যাস থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণে বাধা সৃষ্টি হয়।রাজধানীর কিছু ঘুরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের অনেকেই নিয়মিত কয়েল ব্যবহার করতেন। কিন্তু কয়েল ব্যবহারের পরও তারা ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাননি। বরং ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা এবং নানা অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন তারা। রোগীদের ভাষ্য, কয়েল জ্বালালেও মশা পুরোপুরি দূর হচ্ছে না, উল্টো ধোঁয়ার কারণে শারীরিক সমস্যা বাড়ছে।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, মশার কয়েল মানবস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই ধোঁয়া মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, মশা তাড়াতে যে কয়েল বা অ্যারোসল ব্যবহার করা হচ্ছে, তা কখনও কখনও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। এসব পণ্যের ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুসের ক্যান্সার, অ্যাজমা, হাঁপানি, অ্যালার্জি এমনকি ফুসকুরিও দেখা দিতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, মশার কয়েল ব্যবহারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি এইসব পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণে কড়া নজরদারি প্রয়োজন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
কলা আমাদের পরিচিত একটি ফল, যা বছরের যেকোনো সময় বাজারে সহজলভ্য এবং খেতে ঝামেলাহীন। নাশতা, দুপুর বা বিকেলে—প্রায় সকল সময়েই এটি অনেকের প্লেটে জায়গা করে নেয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কলার পূর্ণ উপকারিতা পেতে খাওয়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ।শরীরকে শক্তি দিতে:ব্যায়ামের আগে: ব্যায়ামের ১৫–৩০ মিনিট আগে একটি কলা খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি আসে এবং পেশি কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত হয়।নাশতার সঙ্গে: দই, ওটস বা পাউরুটির সঙ্গে কলা খেলে দিনের শুরুটা হয় চাঙা, ক্লান্তি আসতে দেরি হয়।দুপুর বা বিকেলে: দুপুরের খাবারের পর বা বিকেলের স্ন্যাকস হিসেবে কলা খেলে শক্তি ফিরিয়ে আনা যায় এবং মনও ভালো থাকে।হজমশক্তি বাড়াতে:খাবারের সঙ্গে: নাশতা বা দুপুরের খাবারের সঙ্গে কলা খেলে ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে।অপক্ব কলা: আধাপাকা বা কাঁচা কলায় থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় ও হজমে সহায়তা করে।রাতের খাবারের পরে: সাধারণত হজমে সমস্যা না থাকলে রাতেও কলা খাওয়া যায়, তবে হজমের সমস্যা থাকলে এ সময় এড়িয়ে চলা যেতে পারে।ওজন নিয়ন্ত্রণে কলার ভূমিকা:খাবারের আগে: ভাত বা রুটির আগে একটি কলা খেলে পেট ভরে যায়, অতিরিক্ত খাওয়া কমে।স্ন্যাকস হিসেবে: দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝে কলা ক্ষুধা মিটায়, ক্যালরিও বাড়ায় না বেশি।ব্যায়ামের আগে: কলা খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়, যা পরে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে।অপক্ব কলা: ফাইবার বেশি, চিনি কম—রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ও ওজন কমাতে সহায়ক।পুষ্টিগুণ: একটি মাঝারি আকারের কলায় প্রায় ১০৫ ক্যালরি থাকে। এছাড়াও পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি ও বি৬ আছে। পাকা কলায় চিনি কিছুটা বেশি হলেও অপক্ব কলায় ফাইবার ও স্টার্চ বেশি থাকে। নাশতা বা ওটমিলের সঙ্গে খেলে কলার পুষ্টিগুণ আরও ভালোভাবে কাজে আসে।সতর্কতা: দিনে একটি কলাই যথেষ্ট। ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে নিয়মিত কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।সূত্র: ওয়েবএমডি, ভেরি ওয়েল হেলথভোরের আকাশ//হ.র