কাঁচা পেঁপের জুস খেলে যেসব উপকার মেলে
পাকা পেঁপের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। তবে কাঁচা পেঁপেও উপকারে কম নয়—বিশেষত, জুস আকারে খেলে এটি শরীরের জন্য হয়ে উঠতে পারে এক শক্তিশালী প্রাকৃতিক পুষ্টি উৎস। যদিও এর স্বাদ প্রথমদিকে সবার ভালো না-ও লাগতে পারে, অভ্যাস গড়ে উঠলে এটি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার উপকারী এক অংশ হয়ে উঠতে পারে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, কাঁচা পেঁপের জুস খাওয়ার ফলে শরীরে কী ধরনের উপকার হয়—
১. হজমক্ষমতা বাড়ায়
কাঁচা পেঁপেতে থাকা পাপাইন এনজাইম প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে, যা খাবার সহজে হজমে সহায়ক। নিয়মিত এই জুস খেলে অম্বল, গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম প্রতিরোধে উপকার পাওয়া যায়।
২. শরীরকে রাখে শীতল ও হাইড্রেটেড
এই জুসে রয়েছে প্রচুর পানি (প্রায় ৮৮%)—যা শরীরকে আর্দ্র রাখে। একইসঙ্গে এটি হালকা মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে, ফলে বিষাক্ত উপাদান শরীর থেকে বের হয়ে যায়, এবং শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে।
৩. ওজন কমাতে সহায়ক
ফাইবার ও হজম সহায়ক এনজাইমসমৃদ্ধ কাঁচা পেঁপের জুস বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে, কম ক্যালোরির কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এটি নিয়মিত পান করলে মলত্যাগ স্বাভাবিক হয় এবং শরীর ডিটক্সিফাই হতে থাকে।
৪. ত্বককে করে উজ্জ্বল ও পরিষ্কার
এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষ অপসারণে সহায়তা করে, ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার ও মসৃণ করে তোলে। নিয়মিত খেলে মুখে উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ত্বক ফ্রেশ থাকে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁচা পেঁপের রস শরীরের ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে। এটি ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে, প্রদাহ হ্রাস করে এবং সংক্রমণের পর দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়ক হয়। বিশেষ করে মৌসুমি পরিবর্তনের সময় এই জুস উপকারী হতে পারে।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
পাকা পেঁপের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। তবে কাঁচা পেঁপেও উপকারে কম নয়—বিশেষত, জুস আকারে খেলে এটি শরীরের জন্য হয়ে উঠতে পারে এক শক্তিশালী প্রাকৃতিক পুষ্টি উৎস। যদিও এর স্বাদ প্রথমদিকে সবার ভালো না-ও লাগতে পারে, অভ্যাস গড়ে উঠলে এটি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার উপকারী এক অংশ হয়ে উঠতে পারে।চলুন দেখে নেওয়া যাক, কাঁচা পেঁপের জুস খাওয়ার ফলে শরীরে কী ধরনের উপকার হয়—১. হজমক্ষমতা বাড়ায়কাঁচা পেঁপেতে থাকা পাপাইন এনজাইম প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে, যা খাবার সহজে হজমে সহায়ক। নিয়মিত এই জুস খেলে অম্বল, গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম প্রতিরোধে উপকার পাওয়া যায়।২. শরীরকে রাখে শীতল ও হাইড্রেটেডএই জুসে রয়েছে প্রচুর পানি (প্রায় ৮৮%)—যা শরীরকে আর্দ্র রাখে। একইসঙ্গে এটি হালকা মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে, ফলে বিষাক্ত উপাদান শরীর থেকে বের হয়ে যায়, এবং শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে।৩. ওজন কমাতে সহায়কফাইবার ও হজম সহায়ক এনজাইমসমৃদ্ধ কাঁচা পেঁপের জুস বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে, কম ক্যালোরির কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এটি নিয়মিত পান করলে মলত্যাগ স্বাভাবিক হয় এবং শরীর ডিটক্সিফাই হতে থাকে।৪. ত্বককে করে উজ্জ্বল ও পরিষ্কারএতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষ অপসারণে সহায়তা করে, ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার ও মসৃণ করে তোলে। নিয়মিত খেলে মুখে উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ত্বক ফ্রেশ থাকে।৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁচা পেঁপের রস শরীরের ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে। এটি ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে, প্রদাহ হ্রাস করে এবং সংক্রমণের পর দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়ক হয়। বিশেষ করে মৌসুমি পরিবর্তনের সময় এই জুস উপকারী হতে পারে।ভোরের আকাশ/হ.র
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল শুধুই সুস্বাদু নয়, বরং পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এক কাপ কাঁঠালে রয়েছে প্রায় ১৫৭ ক্যালোরি, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ গ্রাম চর্বি, ৩ গ্রাম ফাইবার এবং ৩ গ্রাম প্রোটিন। এ ছাড়া এতে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার ও ম্যাংগানিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়ার ফলে মিলতে পারে নিচের উপকারিতাগুলো:১. চোখের জন্য উপকারীকাঁঠালে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় সাহায্য করে।২. হজমের সহায়কফাইবারসমৃদ্ধ কাঁঠাল কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।৩. আলসারের উপশমে সহায়কফলের বিশেষ উপাদান প্রাকৃতিকভাবে আলসারের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে।৪. রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টএতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে।৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেপটাসিয়ামসমৃদ্ধ কাঁঠাল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায়।৬. ত্বকের যত্নেভিটামিন সি থাকার কারণে কাঁঠাল ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।৭. ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়ককাঁঠাল খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভব হয়, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।৮. ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে কার্যকরএতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বারবার প্রমাণ করে কাঁঠালের উপকারিতা রোগ প্রতিরোধে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।৯. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়কশক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্যানসারের সম্ভাবনা হ্রাস করে।১০. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ভিটামিন সি-এর উপস্থিতি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে করে তোলে আরও শক্তিশালী।১১. হাড় মজবুত রাখেকাঁঠালে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠন ও দৃঢ়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।১২. রক্তস্বল্পতা রোধে সহায়কফলের আয়রন শরীরে রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে, যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর। ভোরের আকাশ/হ.র
ভালো ঘুম শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু আধুনিক জীবনের চাপ, মানসিক উদ্বেগ বা শারীরিক অস্বস্তির কারণে অনেকেই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের আগে কয়েক মিনিটের হালকা স্ট্রেচিং বা প্রসারণমূলক ব্যায়াম এ সমস্যা দূর করতে সহায়ক হতে পারে।মার্কিন শরীরচর্চা ও ঘুম বিশেষজ্ঞ ক্যাট প্যাসলে-গ্রিন বলেন, “সারা দিন শরীর ও মনে যে চাপ জমে, ঘুমের আগে কয়েক মিনিটের স্ট্রেচিং তা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। এটি শুধু শারীরিক প্রশান্তিই নয়, মানসিক ভারসাম্যও এনে দেয়।”স্ট্রেচিং নিয়মিত করলে মানসিক চাপ হ্রাস পায় এবং ঘুমের মান বাড়ে—এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা। নিচে ঘুমের আগে করা যায় এমন ছয়টি সহজ ব্যায়ামের কথা তুলে ধরা হলো:১. ফরোয়ার্ড ফল্ডদাঁড়িয়ে বা বসে পা সামনে বা পাশে রেখে কোমর থেকে ধীরে সামনের দিকে ঝুঁকুন। এ সময় নিজের শরীরের প্রতি মনোযোগ দিন এবং কয়েকবার গভীর শ্বাস নিয়ে ছাড়ুন। এটি মানসিক প্রশান্তি আনে।২. সিটেড অ্যাঙ্কল ক্রসচেয়ার, বিছানা বা সোফায় বসুন। এক পায়ের গোড়ালি অন্য পায়ের হাঁটুর ওপর রাখুন। ধীরে ধীরে সামনের দিকে ঝুঁকে বুক উপরের পায়ের দিকে নিন। ৩টি গভীর শ্বাস নিয়ে পা পরিবর্তন করে একইভাবে করুন।৩. চেস্ট ওপেনারসোজা হয়ে বসে হাত দুটো পিছনে রাখুন। মাথা পিছনে ঝুলিয়ে বুক টানটান করুন। হাত একটু পিছনেও নিতে পারেন। ডান-বাম ঘাড় ঘোরান। ধীরে ধীরে ৩টি শ্বাস-প্রশ্বাস নিন ও ছাড়ুন।৪. সাইড স্ট্রেচবসে ডান হাতে মেঝে ছুঁয়ে বা একটু দূরে রেখে ডানদিকে ঝুঁকুন। বাঁ হাত মাথার ওপর দিয়ে ডানদিকে প্রসারিত করুন। উভয় দিকে পালাক্রমে করুন এবং শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।৫. হাগ স্ট্রেচনিজেকে জড়িয়ে ধরুন, যেন নিজের বাহু দিয়ে নিজেকে আলিঙ্গন করছেন। শ্বাস নিতে নিতে চিবুক বুকের দিকে নামিয়ে শরীর সামনের দিকে ঝুঁকান। এবার হাতের অবস্থান পাল্টে আবার করুন।৬. টুইস্ট পোজপিঠের ওপর শুয়ে দুই হাঁটু বুকের কাছে টেনে নিন। হাঁটু একসঙ্গে একদিকে নামিয়ে হাতদুটি ছড়িয়ে দিন। এতে কোমর ও পিঠে হালকা মোচড় তৈরি হয় যা দারুণ আরামদায়ক।বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:এই ব্যায়ামগুলো দিনে যেকোনো সময় করা গেলেও, ঘুমের আগে করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। প্যাসলে-গ্রিন বলেন, “ঘুমানোর আগে যখন আমরা মন ও শরীরকে সচেতনভাবে আরাম দিতে চেষ্টা করি, তখন ঘুমের মান অনেক উন্নত হয়।”তিনি আরও বলেন, স্ট্রেচিংয়ের আগে মোবাইল ফোন একপাশে রেখে দিন। নিজেকে প্রযুক্তির বাইরে রেখে একটু ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ নেওয়াটাই বিশ্রামের প্রথম ধাপ।উপসংহার:ঘুমের আগে নিয়মিত কয়েক মিনিটের এই স্ট্রেচিং অভ্যাস গড়ে তুললে গভীর ও প্রশান্তিদায়ক ঘুম নিশ্চিত হতে পারে। ভালো ঘুম মানেই ভালো শরীর ও সুস্থ জীবন।ভোরের আকাশ//হ.র
আমরা সবাই পাকা পেঁপের স্বাদ ও হজমে সাহায্যকারী গুণাবলী সম্পর্কে জানি। কিন্তু কাঁচা পেঁপের রস নিয়ে অনেকেই অবগত নন। স্বাদে কিছুটা তেতো এবং কষা হলেও, চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণে কাঁচা পেঁপের রস এক ধরনের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা পুষ্টিগুণ শরীরের নানা সমস্যার সহজ সমাধান দেয়।হজমে কার্যকরী:কাঁচা পেঁপেতে থাকে ‘পাপাইন’ নামের একটি শক্তিশালী এনজাইম, যা খাবারের প্রোটিন ভেঙে হজমে সহায়তা করে। এতে পেট ভার, গ্যাস, অম্বল কমে যায়। নিয়মিত রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে থাকে।শরীরকে হাইড্রেট ও ঠান্ডা রাখে:৮৮ শতাংশ পানি নিয়ে গঠিত এই রস শরীরের জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখে এবং গরমকালে প্রাকৃতিক কুল্যান্টের মতো কাজ করে। হালকা ডায়ুরেটিক হিসেবে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে।ওজন কমাতে সহায়ক:উচ্চ ফাইবার ও পাপাইনের কারণে কাঁচা পেঁপের রস মেটাবলিজম বাড়ায়, ক্ষতিকর পদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে। খালি পেটে এক গ্লাস রস ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।ত্বক উজ্জ্বল ও পরিষ্কার করে:অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ ও সি থাকার কারণে এটি ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। অভ্যন্তর থেকে টক্সিন দূর করে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:শক্তিশালী ভিটামিন ও খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ঋতু পরিবর্তনের সময় নিয়মিত রস পান করলে সংক্রমণ ও সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমে।চোখের যত্নে কার্যকর:কাঁচা পেঁপেতে থাকা ক্যারোটিনয়েড চোখের ক্লান্তি কমায় ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত রাখে। গাজর বা টমেটোর চেয়ে এতে ক্যারোটিনয়েড বেশি পাওয়া যায়।কাঁচা পেঁপের রস বানানোর সহজ পদ্ধতিউপকরণ:কাঁচা পেঁপে (ছোলা ও কিউব করে কাটা) – ১ কাপপানি – ১ থেকে ১.৫ কাপ (রসের ঘনত্ব অনুযায়ী)লেবুর রস – ১/২ চা চামচমধু বা গুঁড় – ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)আদা – ছোট টুকরো (ঐচ্ছিক)বিট লবণ বা সাধারণ লবণ – এক চিমটি (ঐচ্ছিক)প্রস্তুতি:১. কাঁচা পেঁপে ভালোভাবে ধুয়ে ছেঁড়া খোসা ছাড়িয়ে নিন।২. ভেতরের বীজ ফেলে ছোট কিউব করে কাটুন।৩. কাটা পেঁপে, পানি, লেবুর রস, মধু এবং আদা ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ করে নিন।৪. ঝকঝকে রস চাইলে চালুনি দিয়ে ছেঁকে নিতে পারেন, তবে ফাইবারসহ খেলে বেশি উপকার।৫. গ্লাসে ঢেলে বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন। স্বাদ বাড়াতে লবণ বা অতিরিক্ত লেবুর রস দিতে পারেন।সতর্কতামূলক বিষয়াবলি:প্রথমবার পান করলে অল্প পরিমাণে শুরু করুন, কারণ শরীর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।গর্ভবতী নারীদের জন্য কাঁচা পেঁপে নিষিদ্ধ, কারণ এটি জরায়ুতে সংকোচন ঘটাতে পারে।সকালে খালি পেটে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।রসটি সর্বদা তাজা পান করুন, কারণ সময়ের সঙ্গে এনজাইম নষ্ট হয়।দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।কাঁচা পেঁপের রস খাদ্যতালিকায় যোগ করলেই আপনি পাবেন হজম, ত্বক ও চোখের যত্নসহ শরীরের নানা উপকার। এটি হতে পারে সুস্থতার এক নতুন প্রাকৃতিক গোপনীয়তা।ভোরের আকাশ//হ.র