× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শিশুকে শেখান ভালো আচার-আচরণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ মে ২০২৫ ১০:১১ পিএম

শিশুকে শেখান ভালো আচার-আচরণ

শিশুকে শেখান ভালো আচার-আচরণ

প্রতিটি বাবা-মা চান তাদের আদরের সন্তান যেন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। শিশুরা তাদের পরিবারের পাশাপাশি স্কুল, প্রতিবেশী ও বাইরের পরিবেশ থেকে বিভিন্ন জিনিস শেখে ও এভাবেই তৈরি হয় একটি শিশুর ব্যক্তিত্ব। তবে সঠিক পদ্ধতিতে অভিভাবকরা কৃতজ্ঞতা ও দয়াশীলতার মতো মূল্যবোধগুলো শিশুদের মনে গেঁথে দিতে পারেন। শিশুদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো কৃতজ্ঞতা ও দয়াশীলতা।

প্রাথমিকভাবে এটি কঠিন মনে হলেও পরিকল্পনা ও নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবেই শিশুদের মধ্যে এই গুণগুলো তৈরি করা সম্ভব। প্লিজ, দুঃখিত, স্বাগত এ ধরনের শব্দ শিশুকে বিনয়ী হতে সহায়তা করে এবং ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে শেখায়। এমন ১০টি শব্দ আছে, যেগুলোর নিয়মিত চর্চা শিশুর সামাজিক ও আবেগগত দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি তার ব্যক্তিত্ব গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই ভালো আচার-আচরণ ও শিষ্টাচারগুলি শেখানো উচিত। কারণ সু-আচার-আচরণগুলি পরবর্তীতে বাচ্চাদের জন্যই উপকারি হয়ে ওঠে। এতে করে শিশুদের আত্নসম্মান বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিকতা ও ভদ্র, বিনয়ী হয়ে উঠতে সাহায্য করে

জেনে নিন কীভাবে শিশুদের আরও দয়ালু ও কৃতজ্ঞতাবোধ সম্পন্ন করে তোলা যায়-

তাদের জন্য রোল মডেল বা আদর্শ হয়ে উঠুন: শিশুরা আপনার কাছ থেকে শেখে এবং আপনার আচরণ অনুকরণ করতে খুব পটু। তাই তাদের জন্য একটি আদর্শ রোল মডেল হোন এবং এমন উদাহরণ দিন যা তারা নিজের জীবনে যোগ করতে পারে। যেমন, কারো সাহায্য নিলে ‘ধন্যবাদ’ বলা, অন্যের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা ইত্যাদি। এভাবে তারা ভালো মূল্যবোধ নিয়ে বড় হবে।

অন্যকে সহযোগিতা করা: সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই অন্যের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মনোভাব তৈরি করতে হবে। শিশুকে শেখাতে হবে অন্য কেউ বিপদে পড়লে তাকে নিয়ে হাসি বা মজা না করে বরং সহযোগিতা করা উচিত।

ধন্যবাদ বলানোর অভ্যাস: সন্তানকে ভালো আচার-আচরণ শেখানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম কোনও কিছু চাওয়ার সময় ‘প্লিজ‘ বলা এবং কোনও কিছু পেলে ‘ধন্যবাদ‘ বলা শেখানো উচিত।

কোনও কিছু নেওয়ার আগে অনুমতি নেওয়া: অন্য কারও কোনও জিনিসে, এমনকি শিশুর মা-বাবার জিনিসেও হাত দেওয়ার আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিতে শেখানো উচিত। এ ছাড়া অন্য কারও জিনিস না বলে ধরা উচিত নয় এটা সন্তানকে বুঝিয়ে বলতে হবে। কারও কিছু নিলে সেটা যথাযোগ্যভাবে ফেরত দেওয়া শেখানোটাও জরুরি।

শেয়ারিং বা ভাগাভাগি করে নিতে শেখা: মানুষ সামাজিক জীব। পৃথিবীতে সবাইকে একত্রে বসবাস করতে হয়। তাই সন্তানকে ছোট থেকেই শেয়ারিং বা ভাগাভাগি করে নেওয়া শেখাতে হবে। ছোট বা বড় ভাইবোন থাকলে তাদের সাথে বা আশে-পাশের বন্ধুদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া উচিত। এতে শিশুমনে বিদ্বেষ ও লোভ জন্ম নিতে পারে না।

বড়দের সম্মান করা: সন্তানদের মা–বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং যেকোনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান করা শেখানো উচিত। বয়স্কদের কথা মেনে চলা, তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করা এসব শেখানোর পাশাপাশি নিজেও মেনে চলা উচিত। এতে করে আপনার সন্তান লক্ষ্য করবে এবং তারা বুঝতে শিখবে যে বয়স্কদের প্রতি শ্রদ্ধা ভাল আচরণের ইঙ্গিত।

আস্তে কথা বলা: বাচ্চাদের শেখানো উচিত যে চেঁচিয়ে বা চিৎকার করে কথা বলা উচিত নয়। তাই তাদের সাথে সব সময় নমনীয় এবং কোমলভাবে কথা বলা উচিত। আপনাকে দেখে আপনার বাচ্চাও নমনীয় হতে শিখবে। এ ছাড়াও তাদের জানান যে অন্যজনের কথা বলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকতে ও অপেক্ষা করতে হয়।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা: বাচ্চারা খাওয়ার সময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে নোংরা করে ফেলে, এ ছাড়া তাদের খেলনা ব্যবহারের পর যথাযথ স্থানে গুছিয়ে নাও রাখতে পারে। তাই শিশুর নিজেকে পরিষ্কার রাখার অভ্যাসটা তৈরি করতে তাদের খাওয়ার পরে নিজের প্লেট ধোয়া শেখাতে পারেন অথবা ঘরের কাজকর্মে তাদের সাহায্য করার কথা বলতে পারেন। সময়ের সাথে তারা নিজে থেকেই পরিষ্কার থাকতে শিখে যাবে।

সামাজিকতা: শিশুদের শেখানো দরকার কীভাবে অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে হয়। অন্যের কথার মাঝে বাধা না দেওয়া এবং অন্যের মতামতকে সম্মান করা ছোটবেলা থেকেই শেখাতে হবে। তাই বেশি বেশি করে শিশুকে বাইরে নিয়ে যেতে হবে মানুষের সাথে মিশতে দিতে হবে।

মিথ্যা না বলা: ছোট বয়স থেকেই বাচ্চাদের সৎ হয়ে উঠতে শেখান এবং বলুন কখনও যেন তারা মিথ্যে কথা না বলে। আর তাই আপনি নিজেও বাচ্চার সাথে মিথ্যা বলা ত্যাগ করুন ও তাকে ফাঁকা প্রতিশ্রুতি না দেয়ার চেষ্টা করুন। কেন সত্যি কথা বলা জরুরি তা তাদের সামনে ব্যাখ্যা করুন।

সহানুভূতি শেখান: কোনো বিষয় বুঝিয়ে বলার সময় শিশুকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনা বলুন। যেমন, কেউ যদি আপনার শিশুর কথায় কষ্ট পায়, তাহলে তাকে জিজ্ঞাসা করুন – ‘তারা কেন মন খারাপ করেছে বলে তুমি মনে করো?’ এভাবে চিন্তা করা শিখলে আপনার শিশুর মনে সহানুভূতি ও অন্যকে বোঝার অভ্যাস গড়ে উঠবে।

প্রতিদিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস করান: পরিবারে সদস্যদের মধ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার আচরণগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন। কারো দ্বারা উপকৃত হলে তা স্বীকার করা ও ধন্যবাদ দেওয়ার অভ্যাস করুন।

শিশুকে ঈশপের গল্পের মতো মূল্যবোধ সৃষ্টিকারী বই পড়তে দিন: শিশুদের জন্য গল্প বা বই পড়া একটি মজার ও কার্যকরী উপায়। তারা গল্পের চরিত্রগুলো অনুকরণ করতে চায় এবং নিজেদের কল্পনা করে। তাদের জন্য একটি শক্তিশালী রোল মডেল তৈরি করুন যিনি দয়ালু, সহানুভূতিশীল এবং সবার প্রিয়।

শিশুর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান: যখনই দেখবেন আপনার শিশু দয়াশীল আচরণ করছে, তাকে প্রশংসা করুন। যদি সে তার খেলনা অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করে, তাহলে তাকে জানান যে তার এই কাজটি আপনাকে গর্বিত করেছে। এই প্রশংসা তাকে আরও বেশি দয়াশীল হতে উৎসাহিত করবে।

ভোরের আকাশ/এসআই

  • শেয়ার করুন-
 প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

সংশ্লিষ্ট

শিশুকে শেখান ভালো আচার-আচরণ

শিশুকে শেখান ভালো আচার-আচরণ

অতিরিক্ত লবণ খেলে যা হয়

অতিরিক্ত লবণ খেলে যা হয়

গরমে নিজেকে সতেজ রাখার উপায়

গরমে নিজেকে সতেজ রাখার উপায়

কাঁচা কাঁঠাল কেন খাবেন

কাঁচা কাঁঠাল কেন খাবেন