গরমে নিজেকে সতেজ রাখার উপায়
এই গরমে কড়া রোদ থেকে নিজেকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব, যারা কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হন তারা বিষয়টি ভালো করেই বোঝেন। গরমে স্বাস্থ্য সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।
কারণ গরমেই অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ আমরা জানবো গরমে নিজেকে সুস্থ রাখার উপায়-
সকালের নাস্তায় ভারী তেল চর্বি খাবার না রেখে হালকা পানীয় যেমন কমলার জুস বা মিল্ক সেক রাখতে পারেন। এটি আপনাকে একদিকে যেমন মুখরোচক খাবার দিচ্ছে তেমনি আপনার শরীরকে দিচ্ছে সারাদিনের এনার্জি।
সকালে বের হওয়ার আগে গোসল সেরে নিন। এতে আপনি যেমন নিজেকে পাবেন ফুরফুরে মেজাজে তেমনি কাজের শুরুতেই দিনটা শুরু হবে প্রাণচঞ্চলভাবে। গোসলের পানিতে এক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন, এটি প্রশান্তি দেবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ। আপনার ব্যাগে কিংবা পকেটে আপনি খুব সহজেই এটি বহন করতে পারেন। গরমে হাতমুখ মোছার কাপড় ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
গরমে হালকা রঙের কাপড় পরার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সাদা রঙের কাপড় এই হালকা গরমে বেশি পরতে পারেন, তবে কালো রঙের কাপড় ব্যবহার না করাই ভালো।
এই সময় চুল বেঁধে রাখা চুল ছেড়ে রাখার থেকে ভালো। এতে আপনার কম গরম লাগবে। এই গরমে কোথাও যেতে খোঁপা কিংবা পনিটেইল খুব সহজেই আপনার সঙ্গে মানিয়ে যাবে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
এই গরমে কড়া রোদ থেকে নিজেকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব, যারা কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হন তারা বিষয়টি ভালো করেই বোঝেন। গরমে স্বাস্থ্য সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।কারণ গরমেই অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ আমরা জানবো গরমে নিজেকে সুস্থ রাখার উপায়-সকালের নাস্তায় ভারী তেল চর্বি খাবার না রেখে হালকা পানীয় যেমন কমলার জুস বা মিল্ক সেক রাখতে পারেন। এটি আপনাকে একদিকে যেমন মুখরোচক খাবার দিচ্ছে তেমনি আপনার শরীরকে দিচ্ছে সারাদিনের এনার্জি।সকালে বের হওয়ার আগে গোসল সেরে নিন। এতে আপনি যেমন নিজেকে পাবেন ফুরফুরে মেজাজে তেমনি কাজের শুরুতেই দিনটা শুরু হবে প্রাণচঞ্চলভাবে। গোসলের পানিতে এক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন, এটি প্রশান্তি দেবে।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ। আপনার ব্যাগে কিংবা পকেটে আপনি খুব সহজেই এটি বহন করতে পারেন। গরমে হাতমুখ মোছার কাপড় ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুন।গরমে হালকা রঙের কাপড় পরার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সাদা রঙের কাপড় এই হালকা গরমে বেশি পরতে পারেন, তবে কালো রঙের কাপড় ব্যবহার না করাই ভালো। এই সময় চুল বেঁধে রাখা চুল ছেড়ে রাখার থেকে ভালো। এতে আপনার কম গরম লাগবে। এই গরমে কোথাও যেতে খোঁপা কিংবা পনিটেইল খুব সহজেই আপনার সঙ্গে মানিয়ে যাবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
অনেকের কাছেই কাঁঠাল খুব পছন্দের একটি ফল। তবে তা পাকা অবস্থায়। রসালো ও মিষ্টি স্বাদের এ ফলটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পাকা কাঁঠালের স্বাদ নেওয়ার সময় এখনও আসেনি। তবে শুরু হচ্ছে কাঁচা কাঠালের মৌসুম। এমন অনেককে খুঁজে পাবেন যারা পাকা কাঁঠাল খেতে খুব একটা পছন্দ না করলেও কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খেতে ভীষণ ভালোবাসেন। কাঁচা কাঁঠাল বা এঁচোড়ের তরকারি খেতেই কেবল সুস্বাদু নয়, এটি আমাদের শরীরের জন্যও দারুণ উপকারী।আসুন জেনে নিই কাঁচা কাঁঠালের পুষ্টিগুণ: -কাঁচা কাঁঠালও ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান। এসব উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখে ও পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে। ভিটামিন ‘সি’ আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে দ্বিগুণ শক্তিশালী করে। তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বক, নখ, চুল, দাঁতের পুষ্টি জোগায়। চর্মরোগ প্রতিরোধে কাজ করে। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য। কাঁঠালের আঁশ কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। পাকা কাঁঠালে চিনির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে। পাকা-মিষ্টি কাঁঠাল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও ক্ষতিকর। কিন্তু কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খাওয়া যায়, ফলে কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খেলে তা বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না। কাঁচা কাঁঠালে ২০৬ গ্রাম ও কাঁঠালের বীজে ৬.৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। আমাদের শরীরের গঠনে সাহায্য করে এই প্রোটিন। সেইসঙ্গে কাঁঠালে থাকে শ্বেতসার। যারা মাছ-মাংস খান না বা কম খান তাদের জন্য একটি দারুণ উপকারী খাবার হতে পারে কাঁচা কাঁঠাল। এতে চর্বির পরিমাণ খুব কম। তাই বেশি খেলেও ওজন বাড়ার শঙ্কা নেই। বরং পেট ভরে রেখে ওজন কমাতে সাহায্য করে কাঁচা কাঁঠাল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন, যা চোখ ভালো রাখে। কাঁচা কাঁঠালে প্রায় কোনো কোলস্টেরল নাই বললেই চলে। তাই কাঁচা কাঁঠাল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। যেকোনো বয়সের মানুষ এটা খেতে পারেন। এটি শক্তির ভালো উৎস। এতে আয়রন থাকায় রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। রক্তাল্পতায় রোগীদের জন্য কাঁচা কাঁঠাল খুবই উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও বলিরেখাও কমে। কাঁচা কাঠালে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত রাখে।বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাংস খেলে যে উপকার পাওয়া যায়, তার অনেকটাই পাওয়া যায় কাঁচা কাঁঠাল খেলেও। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে কাঁচা কাঁঠাল। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এটি। ভোরের আকাশ/এসআই
খাবার খাওয়ার খাবার খাওয়ার পর পেট ভারী এবং ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হয় অনেকেরই। যদিও আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এটি মাঝে মাঝে অনুভব করে, কেউ কেউ প্রতিদিন এই সমস্যায় ভুগে থাকে। আপনি যদি ক্রমাগত খাওয়ার পরে পেট ফুলে যাওয়ার কারণগুলো জেনে নেওয়া জরুরি। তাই খাবারের পরের অস্বস্তি এড়াতে আপনার দৈনন্দিন খাবারে প্রতিষেধক যোগ করার কথা বিবেচনা করুন। সবচেয়ে ভালো দিক হল, আপনি রান্নাঘরের প্যান্ট্রিতে এই সমাধান খুঁজে নেওয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাবারের পর পেট ফুলে যাওয়ার কারণ-যথেষ্ট চিবানো না হলে : আপনার খাবার সম্ভবত যথেষ্ট চিবানো হচ্ছে না। আপনি যখন দ্রুত খাবেন, তখন খাবারটি আপনার পেটে বড় অংশে আঘাত করে, যা হজম এনজাইমগুলোর জন্য তাদের কাজ করা কঠিন করে তোলে। ফলাফল? অন্ত্রে গাঁজন, গ্যাসের দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং আপনার খাবারকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করতে সাহায্য করার জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চিবানোর জন্য সময় নিনমসলার অতিরিক্ত ব্যবহার: আমাদের বেশিরভাগ খাবার হলো মসলার মিশ্রণ। এগুলো খাবারে স্বাদ, গঠন এবং সুগন্ধ যোগ করে। কিছু মসলা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে বিবেচিত হলেও কিছু আবার গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ হলো অতিরিক্ত মসলার ব্যবহার।অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার: খাবারে অতিরিক্ত লবণ যোগ করলে কেবল স্বাদই নষ্ট হয় না বরং জল ধরে রাখা এবং ফোলাভাবও দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে অতিরিক্ত সোডিয়াম টিস্যুতে পানি টেনে নেয়, যার ফলে পেট ফাঁপা এবং অস্বস্তি হয়।ডালও গ্যাস তৈরি করতে পারে: মসুর ডাল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু আপনি কি জানেন, এটি কখনো কখনো শরীরে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি করতে পারে? শিম, মসুর ডাল এবং ছোলা অলিগোস্যাকারাইড সমৃদ্ধ, যা পেট ফাঁপা করতে পারে।খাওয়ার গতি: আপনি যখন দ্রুত খাবেন, তখন প্রচুর বাতাসও গিলে ফেলবেন। এই আটকে থাকা বায়ু আপনার পেটে জমা হয়, যার ফলে গ্যাস এবং ফোলাভাব হয়। কী করে ঠিক করবেন? ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং প্রতিটি কামড়ের স্বাদ নিন।খাবারের পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ: আপনি দিনে কী খান তার চেয়ে আপনি কতটা খান তা গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদরা বলছেন যে, স্বাস্থ্যকর খাবারও বেশি পরিমাণে খেলে পেট ফাঁপা হতে পারে। তাই প্রতিবেলার খাবারের পরিমাণের দিকে খেয়াল করুন।পেট ভরার সংকেত উপেক্ষা করা : আপনি কি জানেন যে খুব দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস পেট পূর্ণ হওয়ার সময় আপনার মস্তিষ্কের সংকেত পাঠানোর ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়? এটি অতিরিক্ত খাওয়ার কারণ হতে পারে, যার ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাস ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। ফলে পাচনতন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।ফোলা উপশম জন্য দ্রুত যা করতে হবে-গরম জল বা ভেষজ চা পান করুন: উষ্ণ জল হজমকে উদ্দীপিত করতে এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। আদা, পেপারমিন্ট বা ক্যামোমাইলের মতো ভেষজ চা হজম প্রক্রিয়াকে প্রশমিত করতে এবং গ্যাস গঠন কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর। সকালে বা খাবারের পর এক গ্লাস গরম পানি পান করুন। পেট ফোলাভাব কমাতে এবং পেট প্রশমিত করতে আদা বা পুদিনা চা পান করুন। হালকা শারীরিক কার্যকলাপ চেষ্টা করুন। একটি ছোট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম পাচনতন্ত্র থেকে গ্যাস বের করে দিতে এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। ক্রিয়াকলাপ হজমকে উৎসাহিত করে এবং পেটে গ্যাস আটকে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।খাবারের পর ১০-১৫ মিনিট দ্রুত হাঁটুন: অস্বস্তি দূর করতে হালকা স্ট্রেচিং বা যোগব্যায়াম করার চেষ্টা করুন, যেমন বিড়াল-গরু বা শিশুর ভঙ্গি। একটি হিটিং প্যাড ব্যবহার করুনতাপ আপনার পেট এবং অন্ত্রের পেশী শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে, যা গ্যাসের চলাচল বাড়ায় এবং ফোলা অনুভূতি কমায়।আপনার পেট ম্যাসেজ করুন: হালকা পেটের ম্যাসেজ হজমকে উদ্দীপিত করতে পারে এবং অন্ত্র থেকে গ্যাস বের করে দিতে সাহায্য করতে পারে, যা ফুলে যাওয়া থেকে তাৎক্ষণিক ত্রাণ প্রদান করে। পাচনতন্ত্রের গতিশীলতা বাড়াতে ঘড়ির কাঁটার দিকে বৃত্তাকার গতিতে আপনার পেটকে আলতো করে ম্যাসেজ করুন।ভারী খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন: বড় বা ভারী খাবার খাওয়া আপনার পাচনতন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ দেয় যা ফোলা বাড়াতে পারে। ছোট এবং আরও ঘন ঘন খাবার খাওয়া প্রদাহকে আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।ছোট খাবার ঘন ঘন খান: প্রচুর পরিমাণে খাবার খেলে পরিপাকতন্ত্রের উপর চাপ পড়ে, যা পেট ফাঁপা হতে পারে। পরিবর্তে, সারা দিন ছোট এবং ঘন ঘন খাবার খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন। এটি আপনার পরিপাকতন্ত্রকে আরও দক্ষতার সাথে খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং পেট ফাঁপা হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।লবণ গ্রহণ সীমিত : অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরে পানি জমতে পারে, যার ফলে ফোলাভাব হতে পারে। সোডিয়াম খাওয়া কমিয়ে দিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।আপনার ডায়েটে আরও ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করুন: একটি ফাইবার-সমৃদ্ধ খাদ্য নিয়মিত মলত্যাগকে উৎসাহিত করে এবং সামগ্রিক হজমের উন্নতি করে, যা ফোলা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। যাইহোক, আপনার পরিপাকতন্ত্রের অপ্রতিরোধ্যতা এড়াতে ধীরে ধীরে আপনার ফাইবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ান, যা কখনও কখনও অস্থায়ী ফুলে যাওয়া হতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় পুরো শস্য, ফল, শাকসবজি এবং মটরশুটি অন্তর্ভুক্ত করুন।কার্বনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলুন: সোডা এবং স্পার্কিং ওয়াটার সহ কার্বনেটেড পানীয় আপনার পেটে গ্যাস জমতে পারে, যার ফলে ফোলাভাব হতে পারে। এই পানীয়গুলি এড়িয়ে চলা পেট ফাঁপা সমস্যাকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে এবং ভাল হজম বজায় রাখতে সহায়তা করে।ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন: ফাস্ট ফুড, প্যাকেজড স্ন্যাকস এবং রেডি-টু-ইট খাবার সহ প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলিতে প্রায়শই উচ্চ পরিমাণে সোডিয়াম এবং প্রিজারভেটিভ থাকে, যা জল ধরে রাখা এবং ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে। ভোরের আকশ/এসআই
আমাদের জীবন এখন ভুলে ভরা। কোমরে ব্যথা, পায়ে ব্যথা এখন আর শুধু বয়সকালে হয় না। টানা আট-দশ ঘণ্টা চেয়ারে বসে কাজ করার ফলে ঘাড়ে, কোমরে ব্যথা কমবয়সিদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। বদলে যাওয়া জীবন, কাজের চাপ, ব্যস্ততার প্রভাব পড়ছে শরীরে। ডায়াবিটিস, আর্থ্রাইটাইটিসের মতো রোগে কাবু হচ্ছে তরুণ প্রজন্মও। অনিয়ন্ত্রত জীবনযাপন, ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতার ফলে বাড়ছে স্থূলত্বের সমস্যা।সেই সকালে ওঠা হয়। তারপর অফিসের কাজ। সারাদিন একজায়গায় বসে চলছে হাত, চলছে মাথা। তারপর দিনের শেষে একটু ফ্রি হওয়া যায়। তবে সেই দৌড়ে কোনওভাবেই যোগ থাকে না শারীরের। কারণ আমরা এখন কেবল মাথা খাটাই। শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় খুব কম। পাশাপাশি চিন্তা হয়ে গিয়েছে আমাদের নিত্যসঙ্গী। এই চিন্তার কারণে রাতের ঘুমও উড়ে যাচ্ছে। এই সব বিষয় মিলিয়েই দেখা দিচ্ছে মারাত্মক সমস্যা। হচ্ছে মানসিক থেকে শারীরিক রোগ। মন ভালো নেই থেকে শরীরে ভালো নেই! তাই এমন জীবনযাত্রার বদলের প্রয়োজন।দিনে ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করার পর ঘুমের সময় বাদ দিলে এক্সারসাইজ বা জিমে যাওয়ার সময় থাকে না। সমস্যার সমাধান লুকিয়ে দৈনন্দিন যাপনেই। স্বাস্থ্যকর খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত শরীরচর্চা এই সমস্যার সমাধান কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। খাওয়াদাওয়া না হয় নিয়ন্ত্রণ করা গেল, কিন্তু শরীরচর্চার জন্য আর কোন সময় পড়ে থাকে না।তবে সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণা বলছে, জটিল এক্সারসাইজ বা জিমের ভারী ওয়ার্কআউট না করেও সুস্থ থাকা যায় শুধু নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমেই। প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটা শরীর ও মন দুটোর ওপরই আশ্চর্যজনক প্রভাব ফেলতে পারে। হার্টের অসুখ থেকে হাইপার টেনশন, অ্যাসিডিটির মতো হরেক সমস্যা দূরে থাকবে। এই অভ্যাসে লুকিয়ে আছে স্বাস্থ্য রক্ষার ৭টি গোপন চাবিকাঠি।হদ্যন্ত্রের অসুখ: চিকিৎসকেরা বলছেন, নিয়মিত হাঁটাহাটি রক্তচাপ বশে রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে অনেকটাই।সুরক্ষিত থাকবে হৃদয়: নিয়মিত হাঁটা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। এর ফলে হৃদপিণ্ড আরও ভালোভাবে কাজ করে, আর কমে আসে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে : অতিরিক্ত ওজন এখন বিশ্বজুড়ে এক বড় সমস্যা। হাঁটার মাধ্যমে ক্যালোরি পোড়ানো সহজ হয় এবং বিপাক হার বাড়ে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। যারা স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য হাঁটা একটি দারুণ উপায়।মানসিক চাপ কমে: হাঁটা কেবল শরীর নয়, মনকেও করে হালকা। এটি শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমায় এবং মুড ভালো রাখতে সাহায্য করে এমন হরমোনের (যেমন-এন্ডোরফিন) নিঃসরণ বাড়ায়। প্রতিদিনের ব্যস্ততা ও চাপ সামলাতে চাইলে হেঁটে আসা হতে পারে চমৎকার এক টোটকা।বাড়ে শক্তি ও উদ্যম: দিনের শুরুতেই কিছুক্ষণ হাঁটলে শরীর ও মনের মধ্যে এক ধরনের প্রাকৃতিক উদ্দীপনা আসে। ক্লান্ত লাগলেও হাঁটা রক্ত চলাচল সক্রিয় রাখে ও পেশিগুলো জাগিয়ে তোলে, ফলে আপনি সারাদিন থাকেন ফুরফুরে।মন হয় সতেজ ও একাগ্র: নিয়মিত হাঁটার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে, যা স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগে উন্নতি ঘটায়। এটি মানসিক স্বচ্ছতা আনে এবং বুড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।উন্নত হয় রক্তসঞ্চালন: হাঁটা আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও অক্সিজেন পৌঁছায়। এর ফলে শরীরের কোষগুলো আরও কর্মক্ষম হয়ে ওঠে।শরীরে জমে থাকা চর্বি কমে: একটানা বসে থাকা জীবনের জন্য হাঁটা এক উত্তম ও সহজ প্রতিকার। এটি অতিরিক্ত চর্বি গলাতে সাহায্য করে, ক্ষুধার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং দেহের চর্বি বিপাকের গতি বাড়ায়-যা স্থূলতা প্রতিরোধে কার্যকর।ফুসফুসের কার্যদক্ষতা বৃদ্ধি করে: হাঁটার সঙ্গে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন যায়। হাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার অভ্যাস ফুসফুসের জন্যেও ভাল। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় শরীরে অক্সিজেন পৌঁছয় যা মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর হয়।ঘুম ভাল হয়: নিয়মিত হাঁটলে যেহেতু শারীরিক শ্রম হয়, তাই ঘুম ভাল হয়। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ঠিকমতো ঘুম না হলে যেমন হজমের সমস্যা হতে পারে তেমনই হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে। ঘুমের সময় ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতির কাজ সারে শরীর।ভিটামিন ডি: হাড়ের জন্য জরুরি হল ভিটামিন ডি। এই ভিটামিনটি ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে সরাসরি তৈরি করে নিতে পারে। ভোরের দিকে কেউ হাঁটাহাটি করলে শরীরে রোদ লাগবে। ইদানীং দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা, এসি ক্যাবে অফিস যাওয়া, দীর্ঘ ক্ষণ অফিসে কাজের ফলে শরীর সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসতে পারে না। যা ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার একটি কারণ।ডায়াবিটিস: ডায়াবিটিসের রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। টাইপ ২ ডায়াবিটিস বশে রাখতে হাঁটাচলা অত্যন্ত জরুরি।৩০ মিনিট জোরে পা ফেলে টানা হাঁটলে অবশ্যই তা ওজন ঝরাতে সাহায্য করবে। তবে যদি টানা হাঁটা সম্ভব না হয়, তা হলে নিজের ছন্দে হাঁটলেও হবে। হাঁটার কারণ শুধু ওজন কমানো না হলে, যে ভাবেই হাঁটুন না কেন, সুফল কম-বেশি মিলবেই। প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটার এই সহজ অভ্যাস আপনার জীবনধারায় আনতে পারে এক ইতিবাচক পরিবর্তন, সুস্থ শরীর, সতেজ মন আর আনন্দময় দিন। ভোরের আকাশ/এসআই